৩০ জুন, ২০২২ ২১:১৭

যার শক্তি বেশি, সেই সিল মারবে : কাজী ফিরোজ রশীদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

যার শক্তি বেশি, সেই সিল মারবে : কাজী ফিরোজ রশীদ

সংসদের ফাইল ছবি। ইনসেটে ডানে কাজী ফিরোজ রশীদের ফাইল ছবি।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, ‘‘সমকক্ষ সব দল যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে নির্বাচন সঠিক ও সুষ্ঠু হবে। ইভিএম বা ব্যালটের নির্বাচনে যার শক্তি বেশি, সেই সিল মারবে। দিনেই সিল মারা হবে, ভোটার ও এজেন্টের সামনে সিল মারা হবে। আপনি কিছুই করতে পারবেন না। কমিশন-টমিশন করে কিছু হবে না। রাজনৈতিক দল না চাইলে কমিশনের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের বাজেট অধিবেশনের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নির্দিষ্টকরণ বিলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ওপর আনা ছাটাই প্রস্তাবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘নির্বাচনে যদি সক্ষমতা নিয়ে না দাঁড়াতে পারে, প্রতিদ্বন্দ্বী যদি সমকক্ষ না হয়, তাতে ভোট হয় না। এটা যুদ্ধক্ষেত্র, এখানে কেউ কোনো এথিক্স মানে না। যে যেভাবে পারে জিততে চায়।’

‘আমরা বলি, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি কমিশন সবকিছুই স্বাধীন। প্রকারান্তরে কোনো কমিশনই স্বাধীন নয়। সব কমিশনই সরকার দ্বারা গঠিত হয়, সরকারের অধীনে কাজ করে। নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হলেও নিজস্ব জনবল না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের ওপরে নির্ভর হতে তারা বাধ্য হয়।’  

তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন যে দিকে শক্তি দেখে, যার লোক দেখে, সেন্টারে যার লোক বেশি, প্রশাসন সেই দিকে চলে যায়। কিচ্ছু করার থাকে না, যে যত টাকাই দিক।’ 

ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আমরা যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না করি, তাহলে ঢাকায় বসে নির্বাচন কমিশন কোনোদিন কোনো কিছুই করতে পারবে না। তার ঘোষণায় কিছু যায় আসে না।’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দাঁত আছে, তারা দন্তহীন বাঘ না, তারা সুষ্ঠু ভোট করতে পারে। এই আস্থার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য নির্বাচনী পুলিশ করা যেতে পারে। ইসির নিজস্ব কিছু পুলিশ থাকবে। দেশে টুরিস্ট পুলিশ আছে, শিল্প পুলিশ আছে। নির্বাচনী পুলিশও হতে পারে।’ 

এসময় তিনি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে কমিশন থেকে নিয়োগের অনুরোধ করেন। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর