জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘পিস বিল্ডিং’- এ নারীদের ভূমিকা সহজাত। সেজন্য তারা লোকাল ডায়লগ এবং নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেন। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এসময় তিনি শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাজধানী ঢাকায় আজ বাংলাদেশ নারী গ্রগতি সংস্থা আয়োজিত ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা স্থানীয়করণ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ইউএন ওমেন’-এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনের কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল) ব্র্যাডলি কোটস, ইউএন ওমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ গীতাঞ্জলি সিং, বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।
বাংলাদেশে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (ইউএন উইং) তৌফিক ইসলাম শাথিল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপিএস-এর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেন্ডার এক্সপার্ট শিপা হাফিজা।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ফলে সর্বক্ষেত্রে নারীদের দৃশ্যমান উপস্থিতি রয়েছে। নারীদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে, ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে নারীরা সব সময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে বলে উল্লেখ করেন। তিনি নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা স্থানীয়করণে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, সংঘাতময় বিশ্ব পরিস্থিতিতে ২০০০ সালে জাতিসংঘ রেজুলেশন ১৩২৫ নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা গ্রহণ করে। তারই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার নারীদের সম্পৃক্তকরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সমঅংশগ্রহণ এবং নারীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সব সময় মানবাধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সোচ্চার থাকে বলে উল্লেখ করেন।
কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারী এমপিদের মধ্যে উত্থাপিত বিষয়ে মতামত প্রদান করেন মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, শবনম জাহান, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, কাজী কানিজ সুলতানা, মনিরা সুলতানা মনি, সেলিমা আহমেদ, অ্যারমা দত্ত, আদিবা আনজুম মিতা এমপি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত