জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কনসেপ্ট বিশ্বাস করে না। দলীয় সরকার অথবা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। আনুপাতিক হারে নির্বাচন করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
বৃহস্পতিবার বিকালে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাপার বনানী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চুন্নু বলেন, ‘১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর সামরিক আইন তুলে দিয়ে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন করেন। তাই ১০ নভেম্বরকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে জাতীয় পার্টি। ১৯৯১ এর পরে দুটি দল গণতন্ত্রের নামে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ৩২ বছর দেশ পরিচালনা করেছে কিন্তু দেশে কোনো সুশাসন দিতে পারে নাই। দুই দলই সবকিছু দলীয়করণ করেছে। সারা দেশে দুর্নীতি দুঃশাসন কায়েম করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য এত বৃদ্ধি পেয়েছে যা জনসাধারনের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। দেশে কোনো বাণিজ্যমন্ত্রী আছে তা মনে হয় না। সরকারের কোনো এক মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ এখন বেহেস্তে আছে। এই সরকার দেশে পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি সার্জের নামে ৮৬ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। সরকারি লোকেরা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।’
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দুইদলই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। গণতন্ত্রের কথা বলে জনগণের সাথে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তা কেউ রক্ষা করেনি।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব ফকরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, এম এ রাজ্জাক খান, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ সোবহান, জাতীয় তরুণ পার্টির সদস্য সচিব মোড়ল জিয়াউর রহমান, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ