বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এই সরকার আবারও নিজেদের মতো করে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুদক ও আদালতকে ব্যবহার করা শুরু করেছে। কিন্তু এগুলো করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত রূপরেখা : ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ মূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান কোন ধর্মগ্রন্থ নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। তৎকালীণ আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন শুরু করলে বিএনপি গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদের মাধ্যমে পাশ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে। অথচ এই বিনা ভোটের সরকার ক্ষমতায় এসে তাদের স্বার্থে সংবিধান বার বার পরিবর্তন করলেও তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কোন কাজ তারা করছেন না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন কোন ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা নেই যে কোর্ট থেকে জামিন পাননি। অথচ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে সাজা প্রদান করা করে জেলে রাখা হয়েছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতিটি পণ্য জনসাধারণের নাগালের বাহিরে নিয়ে গেছে। এখন মানুষ অত্যন্ত অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। অথচ সরকার মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। এইগুলো অন্যায় থেকে বাঁচতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনযন্ত্র ব্যবহার করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহান মিনু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহারগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর হক মিলন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বক্তব্য রাখেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত