বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমাদের যে আন্দোলন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের মালিকানা তাদের হাতে যদি ফিরিয়ে দিতে পারি, তাহলে জনগণ একদিন আমাদের পুরস্কৃত করবে।’
শুক্রবার বিকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে কারো সাথে তুলনা করতে হয় না। কারণ, জিয়াউর রহমানের তুলনা জিয়াউর রহমান নিজেই। কারো সাথে তুলনা করে ছোট করা অথবা জিয়াউর রহমানকে বড় করার প্রয়োজন হয় না। কারণ, জিয়াউর রহমানের তুলনা জিয়াউর রহমান নিজেই। জিয়াউর রহমান জনগণের নেতা, জনগণই তার ভাই, জনগণই তার বোন। তিনি বিলাসিতায় বিশ্বাস করতেন না এবং অপচয়েও বিশ্বাস করতেন না।’
‘জিয়াউর রহমান একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেও গ্রামে গ্রামে হেঁটেছেন। কৃষক শ্রমিকদের সাথে হাত মিলিয়েছেন, শিশুদের কোলে নিয়ে আদর করছেন। নারীদের পাশে গিয়ে তাদের দুঃখ-দুর্দশা জানতে চেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি সমাজে দেখতে চেয়েছেন মানুষ কোন অবস্থায় রয়েছেন। জিয়াউর রহমান কর্মঠ ছিলেন, যার ফলে কেউ কর্মহীন থাকতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান নিজে সৎ ছিলেন বলেই তার মন্ত্রিসভায় কোনো অসততা ঠাঁই পায়নি। আজকে অসততা ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশটা শেষ প্রান্তে চলে গেছে। দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। মেঘা প্রজেক্টের আড়ালে অর্থাৎ উন্নয়নের আড়ালে দুর্নীতি। উন্নয়নটা ধারাবাহিক প্রকল্প এবং এটা জনগণের টাকায়। সুতরাং এখানে বাহবা পাওয়ার সুযোগ নেই। বাহবা তখনই পাওয়া যায় যখন সততার সাথে কাজ করা হয়।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে উন্নয়নের নামে মানুষের পকেট লুটপাট হচ্ছে। যদি লুটপাট না হয় উন্নয়নের নামে তাহলে ১০ লাখ কোটি টাকা কীভাবে বিদেশে প্রচার হলো? সুতরাং এখান থেকে স্পস্ট বোঝা যায়।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ করি জিয়ার মতো চলবো, জিয়ার মতো গড়বো, জিয়ার পথেই চলবো। তাহলে জনগণ বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রহণ করবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জাসাসের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক, জাহিদ হোসেন ইমন, হোসেন শাহিন রাব্বানী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ