৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৬:৪৪

অতিদ্রুত আমরা এই সরকারকে বিদায় দিতে সক্ষম হবো : ড. মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অতিদ্রুত আমরা এই সরকারকে বিদায় দিতে সক্ষম হবো : ড. মোশাররফ

সরকারের উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা বলতে চাই আপনাদের সময় শেষ; আগামীতে হবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাংলাদেশ। সেজন্য আমরা আপনাদের বিদায়ের অগ্রীম শোভাযাত্রা হিসেবে এই পদযাত্রা করছি।

তিনি বলেন, এই দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য এদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব বিএনপির। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র করেছেন। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেছেন। এগুলো যারা ধ্বংস করে দিয়েছে তারা এদেশে কোনো সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। সেজন্য এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। আমরা সরকারের সেই বিদায়ের আন্দোলনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জনগণের সঙ্গে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে ইনশআল্লাহ পতন ঘটাবো। বেশি সময় নেই, অতিদ্রুত আমরা এই সরকারকে বিদায় দিতে সক্ষম হবো।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর গাবতলী খালেক পেট্রোল পাম্প চত্বর থেকে মীরপুর-১০ নম্বর অভিমুখে পদযাত্রা উদ্বোধনপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপি যখনই কর্মসূচি দেয় তখনই গায়ের জোরের সরকার যারা দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে সরকারে আছে, যারা স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট তারা বলে আমরা নাকি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবো কিন্তু আমরা বিভাগীয় সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। কয়েকদিন যাবত শান্তিপুর্ণ পদযাত্রা করছি।

তিনি বলেন, এই সরকারের মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি আর বিদেশে টাকা পাচার, লুটপাটের কারণে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারপরও বলে অর্থনীতি সবদিকে ভালো। তাহলে দ্রব্যমূল্য বাড়ে কেন? ১৯ দিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল, আজকে ফের ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। আবার বলেছে মাসে মাসে নাকি দাম বাড়াবে। তার মানে সরকারের হাতে টাকা নেই। জাহাজ এসে বসে আছে, টাকা দিতে পারে না সেজন্য মাল খালাস হয় না।

ড. মোশাররফ বলেন, যারা অর্থনীতি ধ্বংস করেছে তারা মেরামত করতে পারবে না। আজকে আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারে না। আমাদের নেত্রীকে বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশে আসতে দিচ্ছে না। লাখের বেশি মামলায় বিএনপির ৩৭ লাখ নেতাকর্মী আসামি। মনে করেছিলেন মামলা নির্যাতন করে বিএনপিকে দমন করবেন। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে, আপনারা দমন করতে পারবে না।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুল আলম নীরব, মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, এসএ সিদ্দিক সাজু, এসএম জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার হাজী ইউসুফ, যুবদল নেতা মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজিব আহসান, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বিএনপি নেতা মো. আক্তারুজ্জামান, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, মো. সুমন ভূইয়া, মো. কামরুজ্জামান, দেলোয়ার হোসেন দিলু, হাজী আব্দুল মতিন, দেলোয়ার হোসেন দুলু, সারোয়ার হোসেন সাকিফ, মিজানুর রহমান ইসহাক, এম এস আহমাদ আলী, মাসুম খান রাজেশ, মো. সেলিম মিয়া, আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, আনোয়ার হোসেন, নাসির আহমেদ, সাদেক হোসেন স্বাধীন, জাহিদ হোসেন ইমন প্রমুখ।

পরে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটের সময় গাবতলী থেকে মীরপুর-১০ নম্বর অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়। এতে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন।  

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর