তার বয়স সবে ১০ বছর। মাত্র ছয় মাসেই পূর্ণ কোরআনের হাফেজ হয়েছে মোহাম্মদ মোয়াজ। টাঙ্গাইলের অত্যন্ত মেধাবী ও মনোযোগী এ হাফেজ ইতোমধ্যে জিতেছে জেলার বেশ কয়েকটি পুরস্কার।
মোয়াজের বাবা মোহাম্মদ মুছা একজন ওষুধ ব্যবসায়ী এবং মা মনোয়ারা আক্তার স্কুল শিক্ষিকা। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকড়ায়।
দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় 'কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা' প্রতিযোগিতার পুরস্কার জিততে অংশগ্রহণ করেছে মোয়াজ।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসেছে।
টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ডের দেওলা এলাকার মাদরাসাতুয্ যিকরিল হাকীমের পরিচালক আন্তর্জাতিক হাফেজ ক্বারী মোফাজ্জল হোসেন কাতারের দোহারের সাবেক ইমাম ছিলেন। তিনি বলেন, মোয়াজ ৯ বছর বয়সে আমাদের মাদরাসায় ভর্তি হয়। ওর মেধা ও আল্লাহর রহমতে মাত্র ছয় মাসেই পূর্ণাঙ্গ হাফেজ হয়। ওকে নিয়ে আমাদের অনেক ভালো কিছু করার প্রত্যাশা।
মোয়াজের মা মনোয়ারা আক্তার বলেন, আমার দুই ছেলের মধ্যে মোয়াজ প্রথম। আল্লাহর রহমতে টাঙ্গাইলের সব প্রতিযোগিতায় ও প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হয়ে বিজয়ী হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর দারুল কুরআন রুপশান্তি হাফিজিয়া মাদরাসার মুহতামিম আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী আবদুল্লাহ বলেন, টাঙ্গাইল থেকে আমরা ঢাকায় এসেছি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। যাতায়াত ও খাওয়াসহ সকল খচর বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ বহন করেছে। তাদের এ মহতি উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
টাঙ্গাইল সদরের হাউজিং এস্টেটে মারকাজুত তা'আল্লুক মা'আল্লাহ হিফয মাদরাসার মুহ্তামীম হাফেজ আনাছ আব্দুল্লাহ বলেন, কুরআনের হাফেজদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতা সত্যি প্রশংসনীয়। আমরা টাঙ্গাইল থেকে অংশগ্রহণ করায় আনন্দিত।
ছয় মাসে হাফেজ হওয়া মোহাম্মদ মোয়াজ বলেন, এতো বড় একটি প্রতিযোগিতায় হঠাৎ করেই অংশ নিতে পারব এটা ভাবি নাই। আমি যেন বিজয়ী হতে পারি, আমার জন্য দোয়া করবেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত