মিথ্যাচার করে জিয়াউর রহমানের অবদানকে মুছে ফেলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে কত বছর হয়ে গেলো জিয়াউর রহমানের নাম কি মুছে ফেলতে পেরেছে? পারে নাই, পারে না। যে সমস্ত মানুষ, ক্ষণজন্মা মানুষ যারা ইতিহাস তৈরি করে, যারা একটা রাষ্ট্রের জন্মের জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করে, যারা জনগনের কল্যাণের জন্য একটা রাষ্ট্র নির্মাণের সমস্ত ভিত্তি তৈরি করে তাদের এভাবে মুছে ফেলা যায় না, ভুলিয়ে দেওয়া যায় না।
শুক্রবার সকালে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭৫-এ তো বিএনপির জন্মই হয়নি। শহীদ জিয়াউর রহমান তখন সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন না। তিনি ছিলেন ডেপুটি প্রধান। যে সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন অর্থাৎ সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান বিমান বাহিনী প্রধান তারা ওই দুর্ঘটনার পরে যখন খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছিলো তখন তারা সবাই স্যালুট করে খন্দকার মোশতাককে প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিপাহী-জনতার বিপ্লবে যখন জিয়াউর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হলো তখন তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর আগে আওয়ামী লীগ করেছিলো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, সমস্ত পত্রিকার বন্ধ, মানুষের অধিকার হরণ। আর জিয়াউর রহমান করলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র… সবাই রাজনীতি করবে, সংবাদপত্রের ওপর বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হবে, মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে তাদের কথাগুলো বলতে পারবে, মুক্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক