বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে টানা ১৬ বছরের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের প্রিয়ভাজনরা এখনও বিসিএসআইআর এ উচ্চপদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। মন্ত্রীপুত্র নাজিম জামান ২০১০ সালে সরকারি প্রকল্পে অস্থায়ী ভিত্তিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে সিনিয়র বিজ্ঞানীদের সরিয়ে প্রকল্প পরিচালকের পদ বাগিয়ে নেন। তার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াতে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ছেলে ড. নাজিম জামানের সহায়তায় এবং সরকারি অর্থায়নে দুর্নীতির মাধ্যমে বছরে একাধিকবার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেন। পুরস্কার স্বরূপ যোগ্যতা না থাকা স্বত্ত্বেও বিসিএসআইআর-এ তার চেয়ে ১৬ বছরের সিনিয়র বিজ্ঞানীদের বঞ্চিত করে তাকে সিনিয়ারটি লিস্টের এক নম্বরে উঠিয়ে দেওয়া হয়। আইএমএমএম, জয়পুরহাট এর প্রকল্প চলাকালে মন্ত্রী তার পিএস কায়েছুজ্জামান, প্রধানমন্ত্রী দফতরের পরিচালক জয় মোর্শেদ ও নাজিম জামান সিন্ডিকেটে ব্যাপক দুর্নীতি, অর্থ পাচার এবং লুটপাট করেন ও জয়পুরহাটকে একটি ফাইভ স্টার হোটেলে রূপান্তর করেন। এরই পুরস্কার স্বরূপ আবারও যোগ্যতা না থাকা স্বত্ত্বেও দাপট খাটিয়ে বিসিএসআইআর এর সদস্য পদ দখল করেন। এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে পদ বাগাতে চাচ্ছে।
বিসিএসআইআর এর বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময় এসকল অপরাধের প্রতিবাদ জানালেও বিভিন্নভাবে বিসিএসআইআর কর্মরত বিজ্ঞানীদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইয়াফেস ওসমান বিসিএসআইআর-এর নাজিম জামান, বিআরআইসিএম-এর ডিজি'র পদ বাগানো মালা খান এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে পড়েও আব্দুস সালাম ইঞ্জিনিয়ার সেজে সরকারের পদ জবর দখল করেন। মন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে তারা বারবার উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সিন্ডিকেটের গড়ে লুটপাট করেছেন। তাদের সকল অনিয়ম তদন্তের দাবি উঠেছে।