বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্বে) ডিআইজি মো. শাহ আলমকে।
তিনি এসবির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
এর আগে তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি হিসেবে ছিলেন।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন করা হয়।
একই প্রজ্ঞাপনে পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামকে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মো. শাহ আলম ২০ জানুয়ারি ১৯৯১ সালে ১২তম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। পুলিশে কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রয়োগে তার ব্যাপক অবদানের জন্য বহুল আলোচিত ও প্রশংসিত হন তিনি।
২০০৯-১১ সালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (আইসিটি) ও ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থাকাকালীন তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সব থানা, কোর্ট ও অন্যান্য ইউনিটে ব্যবহারের জন্য ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা সিডিএমএস সফটওয়্যার নির্মাণ করেন, যা দেশের সকল থানায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
মো. শাহ আলম ১৯৯৯-২০০২ সালে স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলার বিশেষ শাখাগুলোর জন্য ‘থার্ড আই’ নির্মাণ করেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর স্পেশাল ব্রাঞ্চে থাকাকালীন তিনি ইমিগ্রেশন পুলিশসহ স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিভিন্ন শাখায় কম্পিউটার প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে বিভাগটিকে একটি শতভাগ আইটিভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থায় পরিবর্তিত করেন।
তার ব্যবহৃত সফটওয়্যার ‘থার্ড-আই’ দিয়ে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অটোমেশন চালু হয়। ২০০৩ সালে ইমিগ্রেশনের পুলিশ সুপার থাকাকালীন তিনি দেশি-বিদেশি যাত্রীদের গমনাগমনের রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য ওরাকলভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ‘ফোরট্র্যাক’ নির্মাণ করেন। বাংলাদেশের সব বিমান, নৌ ও স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে ‘ফোরট্র্যাক’ ব্যবহৃত হচ্ছে।
পুলিশের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য তিনি ২০১২ সালে পুলিশ ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা পিআইএমএস তৈরি করেন। কর্মদক্ষতা, সততা ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সেবা পদকে ভূষিত হন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ