বাংলাদেশ ব্যাংক নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা নগদ টাকা উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে। আসছে সপ্তাহ থেকে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বার্তা দিয়েছে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে।
শনিবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডিদের এক জরুরি বার্তায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একাধিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক ৫ লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও যেকোনো পরিমাণ টাকা আরেক হিসাবে স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত সপ্তাহে নগদ তোলার সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগদ উত্তোলনের সুযোগে আরও ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে নতুন সীমা ঠিক করে দিল আর্থিক খাতের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থাটি।
এর আগে আগে ১৭ আগস্ট অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলনের সীমা ৩ লাখ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তারও আগে গত ১০ আগস্ট বলা হয় অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তারও আগে ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার এক লাখ টাকার বেশি নগদ উত্তোলন করতে পারেনি গ্রাহক।
শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক লুটপাট, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থবৈভবের মালিকরা যেন টাকা পাচার করতে না পারে এ জন্য সতর্ক করতে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল