পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। একই সঙ্গে কমিশনের বাকি সদস্যরাও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পদত্যাগের কথা জানাতে হাবিবুল আউয়াল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ইসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা নানান প্রশ্ন করার চেষ্টা করলেও তিনি কোনো প্রশ্ন নেননি। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন’। নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে উদ্দেশ্য ও অর্জন আরও সুনিশ্চিত হতে পারে বলেও এসময় মন্তব্য করেন বিদায়ী সিইসি।
লিখিত বক্তব্যে সিইসি বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফল এবং প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, পরিশেষে আপনাদের অবহিত করতে চাই, আমিসহ মাননীয় কমিশনারগণ দেশের পরিবর্তিত বিরাজমান অবস্থায় পদত্যাগ করতে মনস্থির করেছি। আমরা অদ্যই পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতির সমীপে উপস্থাপনের নিমিত্তে কমিশনের সচিব মহোদয়ের হাতে দেব।
২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আসন পেয়েছিল ৬টি। আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৫৮টি। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ‘
এর আগে, তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘সেই নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৭টি এবং আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়েছিল। নির্বাচন বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। নিরাপদ প্রস্থানের প্রশ্নে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সাথে সেনা সমর্থিত অসামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দর কষাকষির বিষয়টি প্রকাশ্য ছিল। সেই প্রশ্নে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের অবস্থানও গোপন ছিল না।’
শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হলে উদ্দেশ্য অর্জন আরও সুনিশ্চিত হতে পারে। পরিশেষে আপনাদের অবহিত করতে চাই, আমিসহ মাননীয় কমিশনারগণ দেশের পরিবর্তিত বিরাজমান অবস্থায় পদত্যাগ করতে মনস্থির করেছি। আমরা অদ্যই পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতির সমীপে উপস্থাপনের নিমিত্তে কমিশনের সচিব মহোদয়ের হাতে দেবো।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক