বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অতিরিক্ত ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর কারণে মূল্যস্ফীতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি কেন হলো? টাকা ছাপিয়েছেন, ৬০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন। এগুলোর ইমপ্যাক্ট উল্টো রথে আনতে হলে তো আমাদের একটু সময় লাগবে।
সোমবার ঢাকায় সচিবালয়ে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা টাকা ছাপানোর বিষয়ে কথাগুলো বলেন।
মূল্যস্ফীতির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি কমে আসছে। আগস্টে তা ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কমবে। তবে মূল্যস্ফীতি কমার প্রভাব বাজারে পড়তে কিছুটা সময় লাগবে।
চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কঠোরভাবে চাঁদাবাজি দমন করবে। চাঁদাবাজি বন্ধ হলে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়টি শুধু অর্থনৈতিক নয়, এর সঙ্গে বাণিজ্যও সম্পর্কিত। এর সঙ্গে আরও জড়িত রাজনৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়।
বাজারব্যবস্থায় চাঁদাবাজি বন্ধ না হয়ে শুধু মুখবদল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কঠোরভাবে চাঁদাবাজি দমন করবে। এ জন্যও কিছুটা সময় লাগবে।
ইউএনডিপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আর্থিক খাত সংস্কারে তারা কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা দেবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারেও তারা কাজ করবে। চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি ইউএনডিপি নতুন প্রকল্প নিয়েও বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন