জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ আসন রাজনৈতিক দলগুলো সংরক্ষিত রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির। তিনি দলগুলোর এই মনোভাবের সমালোচনা করেছেন।
ফারাহ কবির বলেন, ‘এই দয়াদাক্ষিণ্য কেন? পোশাক খাতে রেমিট্যান্স কারা দেয়? ৫০ শতাংশের বেশি অবদান আছে নারীদের। সেখানে (সংসদে) ৫ শতাংশ কেন, বুঝতে পারছি না।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীতে ‘জাতীয় সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারাহ কবির বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৫ সালেই নারীদের আসনের জন্য ৩০ শতাংশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সরাসরি নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। ৩০ শতাংশের বাস্তবায়ন প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলে যে নারীরা আছেন, তাদের প্রস্তুত করতে হবে। কিন্তু দলগুলো বলবে, নারী খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু নির্বাচন করতে মানদণ্ড কী—ভোটারদের সেবা দিতে পারছে কি না, নাকি মাস্তানি, দখলদারত্বের মাপকাঠি। দেশ গড়ার বিষয় হলে নারীর সমস্যা থাকার কথা না। নাগরিক সমাজ ১০০টা আসন ও সরাসরি নির্বাচন চায়।’
তিনি বলেন, অনেকেই মনে করে নারীরা দুর্বল। যদি দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে শক্তিশালী করুন। তাদের সংসদে যাওয়ার ক্রাইটেরিয়া নিশ্চিত করুন। আমি বিশ্বাস করি নারীরা সেটা পারবে এবং তারা যোগ্য।
ফারাহ কবির আরও বলেন, প্রত্যেকটি জেলায় প্রত্যেকটি থানায় নারীরা অবদান রাখছে। কৃষি থেকে শুরু করে সব জায়গায় নারীরা অবদান রাখছে। এই যে দয়াদাক্ষিণ্য কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নারীদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, নারীপক্ষের সভানেত্রী গীতা দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য ইলিরা দেওয়ান, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও শিক্ষার্থী নাজিফা জান্নাত।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ