সোমবার, ২০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই সরকারের অধীনে যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, তার মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন করতে হবে। এ বিষয়গুলোতে আমরা একমত হয়েছি, তা বাস্তবায়নে যুগপৎভাবে সবাই যার যার জায়গা থেকে আন্দোলন শুরু করব। গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) দ্বিপক্ষীয় সংলাপ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে যুগপৎ কর্মসূচি পালনে একমত হয়েছে বিএনপি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।

 প্রয়োজনে প্রথমে যুগপৎ ও পরে সরাসরি একসঙ্গে আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করবে তারা। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অংশ নেন। অন্যদিকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে দলটির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য আ হ ম জহির হোসেন হাকিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, শরীফ মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ফরিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফখরুজ্জামান, ধর্ম সম্পাদক মুফতি হাসিবুর রহমান ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ করছি তারই ধারাবাহিকতায় আজ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলাম। বৈঠক অত্যন্ত সন্তোষজনক হয়েছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশে গত এক যুগ ধরে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা হরণ, ভোটাধিকার হরণ, অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা অগণতান্ত্রিক অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে জনতার একটি ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে আজকে আমরা কয়েকটা বিষয়ে একমত হয়েছি। প্রধানত, গণতান্ত্রিক নেত্রী খালেদা জিয়া- যাকে মিথ্যা মামলায় অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। যিনি এখন অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাঁর মুক্তি, সেই সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে সব রাজবন্দির মুক্তি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যিনি দীর্ঘকাল ধরে দেশে বাইরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নির্বাসিত হয়ে আছেন, মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা একমত হয়েছি।

সর্বশেষ খবর