বহুল প্রত্যাশিত ফ্রিডম টাওয়ারের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি ২৯ মে থেকে খোলে দেয়া হচ্ছে এবং তা চালু থাকবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সকাল ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত লিফট উঠবে ১৫ মিনিট অন্তর। অর্থাৎ একবার উঠলে নামার সুযোগ আসবে ১৫ মিনিট পর। টাওয়ারে স্থান না থাকলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও নামতে হবে পরবর্তী লিফটে। তবে ১০১ তলায় ক্যাফেতে যারা বসবেন এবং খাবার গ্রহণ করবেন তাদের টিকিটের মূল্য ভিন্ন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৩ বছর থেকে ৬৪ বছর বয়েসীদের জন্যে টিকিটের মূল্য ৩২ ডলার করে। ১২ বছর পর্যন্ত শিশুদের টিকিটের মূল্য ২৬ ডলার করে। ৫ বছর পর্যন্ত শিশুর কোন টিকিট লাগবে না। ৬৫ বছরের অধিক বয়সীদের টিকিটের মূল্য ৩০ ডলার করে। টিকিট বিক্রি হবে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত। শীতকালে এ টাওয়ারের সময়সূচি হবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত। তবে থ্যাঙ্কসগিভিং এবং ক্রিসমাসে খোলা থাকবে গভীর রাত পর্যন্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উঁচু অর্থাৎ ১৭৭৬ ফুট উঁচু (১০৪ তলা) এ টাওয়ার থেকে নিউইয়র্ক সিটিসহ আশপাশের হৃদয় দোলানো দৃশ্য অবলোকন করা যাবে নিমেষেই। ভ‚মি থেকে ১৭৫০ ফুট উঁচুতে ১০০, ১০১ এবং ১০২ তলায় উঠতে পারেন লোকজন। সেখানে থাকবে খাবার-দাবারের ব্যবস্থাও। বসে আড্ডাও দেয়া যাবে। তবে সুউচ্চ ওই টাওয়ারে উঠার যাত্রা শুরু হবে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ‘গ্লোবাল ওয়েলকাম সেন্টার’ থেকে। এ সেন্টারে ইংরেজীর পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষায় স্বাগত লেখা এবং সারাবিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের আলোকপাত থাকবে। নিচে থেকে ১০২ তলা টাওয়ারে উঠতে সময় লাগবে মাত্র ৬০ সেকেন্ড।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারের জন্যে কোন টিকিট লাগবে না। একইভাবে সন্ত্রাসী হামলার পর উদ্ধারকর্মে নিয়োজিতদেরও টিকিট লাগবে না। আরো উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় ধুলিসাত হওয়া ট্যুইন টাওয়ারের স্থান তথা গ্রাউন্ড জিরোতে এই ফ্রিডম টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। এটি হচ্ছে বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ ভবন। এ টাওয়ার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩.৯ বিলিয়ন ডলার। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ এপ্রিল এবং সমাপ্ত হয়েছে গত বছরের ৩ নভেম্বর।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ মে, ২০১৫/ রশিদা