প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অভিবাসী সমাজের সার্বিক কল্যাণে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নিউইয়র্কের মোহাম্মদ এন মজুমদারের সম্মানে রবিবার ‘মোহাম্মদ এ মজুমদার এন্ড বাংলাদেশি-আমেরিকান কম্যুনিটি কাউন্সিল ডে’ ঘোষণাসহ ‘কংগ্রেসনাল স্বীকৃতি’ দিলেন নিউইয়র্কের কংগ্রেসনাল ডেলিগেশনের ডীন কংগ্রেসম্যান চার্লস বি র্যাঙ্গেল। ৭৫ বছর বয়েসী এই কংগ্রেসম্যান নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস-হারলেম এলাকা থেকে টানা ৪৪ বছর যাবৎ নির্বাচিত হয়ে আসছেন। আফ্রিকান-আমেরিকান চার্লস বি র্যাঙ্গেল কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসেরও প্রভাবশালী সদস্য।
ফেনী জেলার সন্তান মোহাম্মদ এন মজুমদার যুক্তরাষ্ট্রে আগমণের আগে চট্টগ্রাম বার কাউন্সিলের আইনজীবী ছিলেন। নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসতি গড়ার পর একই পেশায় নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশিদের সার্বিক কল্যাণে নিরন্তরভাবে কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আইন শাস্ত্রে গ্র্যাজুয়েশনের পর নিউইয়র্কে স্বনামধন্য একটি ল’ ফার্মের সাথে কাজ করছেন। দিনে দিনে তার কর্মপরিধি বিস্তৃত হয়েছে প্রতিবেশি আফ্রিকান, হিসপ্যানিক, মেক্সিকানসহ আমেরিকানদের মধ্যেও। ‘নিউ ইমিগ্র্যান্ট ওয়েলকাম সেন্টার’র নির্বাহী পরিচালক, ‘কম্যুনিটি প্ল্যানিং বোর্ড-৯’ এর ফার্স্ট ভাইস চেয়ার এবং বোর্ড-৯ এর ‘ল্যান্ড ইউজ এ্যান্ড জোনিং কমিটি’র চেয়ারম্যান এন মজুমদারকে কংগ্রেসনাল এ ঘোষণাপত্র প্রদান করা হয় ব্রঙ্কসে বিরাট এক পথমেলার মঞ্চে।
কংগ্রেসের প্রবীনতম এ সদস্য তা হস্তান্তরের সময় প্রদত্ত বক্তব্যে নিউইয়র্ক সিটির অভিবাসী সমাজের ভাগ্য পরিবর্তনের ধারাবিবরণী সংক্ষেপে উপস্থাপনের সময় চার্লস র্যাঙ্গেল বলেছেন, ‘বাংলাদেশি আমেরিকান কম্যুনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এন মজুমদারের মত তৃণমূলে অনেক সমাজকর্মী রয়েছেন বলেই নিউইয়র্ক সিটি এখন সারাবিশ্বের অভিবাসীদের নির্ভরযোগ্য স্থানে পরিণত হয়েছে। এন মজুমদারসহ বাংলাদেশী-আমেরিকান কম্যুনিটি কাউন্সিলকে এ সম্মান প্রদানের মাধ্যমে গোটা কম্যুনিটিকেই মার্কিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হচ্ছে।’
কংগ্রেসম্যানের কাছে থেকে সম্মাননা ও স্বীকৃতি পত্রটি গ্রহণের পর প্রদত্ত বক্তব্যে এন মজুমদার বলন, ‘২৬ বছরের প্রবাস জীবনে এটি হচ্ছে আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া এবং তা সম্ভব হলো প্রবাসীদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্যে। সকলেই আন্তরিকতার সাথে সেবামূলক কাজে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং এখনও সাথে রয়েছেন। নবাগত অভিবাসীদের কল্যাণে এ উদ্যম যত সংগঠিত হবে ততই আমেরিকান স্বপ্ন পূরণ সহজ হবে।’ এন মজুমদার বলেন, ‘নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে প্রবাসীরা ইতোমধ্যেই মূলধারার রাজনীতিতে বড় একটি আসন দখলে সক্ষম হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি আরো এগিয়ে যেতে।’
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ মে, ২০১৫/ রশিদা