ইতালির রাজধানীতে অভিবাসীদের অধিকার আদায় ও পাস হওয়া বর্ণবাদী আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। ইসকুইলিনো চত্তরে ধুমকেতু সামাজিক সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় ও ইতালি বাংলাদেশ সমিতির আয়োজনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।
ইতালি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালবিনীর ডিক্রী কার্যকর করার ফলে অভিবাসীরা আতংকের মধ্যে রয়েছে। আইনটি ইতিমধ্যে মন্ত্রীপরিষদের অনুমোদন পেয়ে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর কার্যকর হয়। যার ফলে পাস হওয়া আইন বাতিলের দাবিতে ইতালির বিভিন্ন শহরে বিদেশীদের সংগঠন প্রতিবাদ সভা ও ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ করে যাচ্ছেন।
রোমের সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, অরিজিন ইতালিয়ানদের সাথে আইন করে আমাদের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যা একটি দেয়াল হিসেবে আমাদের মাঝে দাড়ানো করা হয়েছে। এছাড়া কোন বসত বাড়ির নিচে কোন সামাজিক সংগঠন থাকতে পারবে না। এটি ধর্মীয় কার্যক্রম বন্ধের পাঁয়তারা।
তাই সকলের অধিকার আদায় ও বর্নবাদী আইন বাতিলের জন্য সাবেক বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি ও ধূমকেতুর কর্নধার নূরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু সকলের পক্ষ থেকে কিছু দাবি তুলে ধরেন। সমাবেশে ধারাবাহিক আন্দোলন চালানোর জন্য আহ্বান করেন বাংলাদেশ সমিতি ইতালির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী,সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম সায়মান।
এই আন্দোলনের সাথে অন্যদিকে ইতালিয়ানসহ অন্যদেশের অভিবাসীদের প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশীদের রিপুবলিকা চত্বরে উপস্থিত হন বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। এদিকে, এ আইনের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। আইনের পক্ষে নিরাপত্তা ও অভিবাসীদের বিরুব্ধে বিভিন্ন সময় কথা বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,বিভিন্ন মিডিয়া ও সরাসরি লাইভে এসে।
সম্প্রতি অভিবাসীদের সহযোগিতা করার কারনে ইতালির একটি অঞ্চল কালাব্রেসের নির্বাচিত মেয়রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতালিয়ান বিভিন্ন সংগঠনও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর