ইউরোপের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের দেশ পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার নেতৃত্বে পর্তুগাল সোশ্যালিস্ট পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়াই পুনরায় নির্বাচনে জয় লাভ করে।
স্থানীয় সময় রবিবার ১৬তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৩০টি আসনে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচন নিয়ে তরুণ পর্তুগিজ নাগরিকদের মধ্যে আগ্রহ কম থাকায় এতে সর্বমোট ৪৫.৫০ ভাগ ভোট পড়েছে।
২৩০টি আসনের মধ্যে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য দরকার ১১৬টি আসন। এর মাঝে ক্ষমতাসীন সোসালিস্ট পার্টি ৩৬.৬৫ ভাগ ভোটে ১০৬টি আসন পায়, যা গত নির্বাচনের চেয়ে ২০টি আসন বেশি।
প্রধান বিরোধীদল পিএসডি ২৭.৯০ ভাগ ভোটে ৭৭টি আসন পায়, যা গত নির্বাচনের চেয়ে ২৫টি কম। বাম ব্লক এসকেরডা ১৯টি, পর্তুগিজ কমিউনিস্ট পার্টি ১২টি, সিডিএস ৫টি, পান ৪টি ও অনন্য দল ৩টি এবং অমীমাংসিত রয়েছে ৪টি আসন।
এবারই প্রথম বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পর্তুগিজ নাগরিক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যার ফলে প্রবাসীদের মাঝে ছিল ব্যাপক উৎসাহ আর উদ্দীপনা।
সোশ্যালিস্ট পার্টি অভিবাসীদের নিকট জনপ্রিয়তা হলেও নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সামরিক ঘাঁটিতে অস্ত্র চুরির একটি কেলেঙ্কারিতে পড়তে হয় দলটিকে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (পিএসডি) সর্বাধিক ১০২টি আসনে ভোটে জয়লাভ করেছিল। তবে ছোট বামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করে সেই সময় আন্তোনিও কস্তার নেতৃত্বে সোশ্যালিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসে। আর এর ফলে ব্যাপক উন্নতি হয় পর্তুগালের অর্থনীতি। সেই সঙ্গে সরকারি খাতের মজুরি ও পেনশন খাতে আনা হয় অমুল পরিবর্তন।
নির্বাচনের আগ মুহূর্তের জরিপে জানা যায়, ৪৩.৭% ভোট পাবে পর্তুগাল সোস্যালিস্ট পার্টি। তাই এবারের নির্বাচনে এককভাবে সরকার গঠনের প্রত্যাশা করছিলেন ক্ষমতাসীন ও অভিবাসন বান্ধব দল পিএস। কিন্তু ভোটের রাজনীতি আর ফলাফলে তাদের ক্ষমতায় ফিরতে আবারও জোটবদ্ধ হতে হচ্ছে।
তবে পূর্বের মিত্র অভিবাসন বান্ধব আরেক দল বাম ব্লক এসকেরডার প্রধান ক্যাটরিনা মাটিনস রাতেই ঘোষণা দেন সোস্যালিস্ট পার্টির সঙ্গে পুনরায় জোট সরকার গঠনের। পর্তুগালের জনগণ এবং এখানে অবস্থানরত অভিবাসীরা নতুন সরকার এবং সোসালিস্ট পার্টির এই জয়ে স্বাগত জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম