স্বাস্থ্যনীতির তোয়াক্কা না করে অনেক স্টেটে লকডাউন উঠিয়ে নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ২০ স্টেটে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। স্টেটগুলি হল আরিজোনা, আলাস্কা, আরকানসাস, ক্যালিফোর্নিয়া, হাওয়াই, ফ্লোরিডা, কেন্টাকি, মিসিসিপি, মন্টানা, নর্থ ক্যারলিনা, ওরেগন, সাউথ ক্যারোলিনা, টেক্সাস, মিশিগান, নেভাদা, নিউ মেক্সিকো, ওকলাহোমা, ভারমন্ট, ওয়াশিংটন এবং ইউটাহ। আরিজোনা স্টেটে নতুন করে সংক্রমণের হার প্রতিদিনই বাড়ছে। অপরদিকে, ভাইরাসের সংক্রমণ কমছে ২২ স্টেটে। ১০ স্টেটে স্থিতাবস্থায় রয়েছে।
স্বাস্থ্যনীতি মানছে না এমন স্টেটেই সংক্রমণ বেড়েছে। চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা অভিযোগ করে বলছেন, করোনাভাইরাসের ভয়াবহতাকে অনেকেই আমলে নিতে চাননি প্রথম দফাতে। তার পরিণতি ভোগ করছেন সহজ-সরল মানুষেরা। স্বাস্থ্যনীতিও অনুসরণের আগ্রহ কম পরিলক্ষিত হওয়ায় পুনরায় শুরু হয়েছে সংক্রমণ। এমন অবস্থা রোধ করা সম্ভব না হলে শীঘ্রই তা মহামারিতে রূপ নেবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গত ২৫ মে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে সারা আমেরিকায় যে ঝড় উঠেছে তা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না, সামাজিক দূরত্বও মানছেন না।
যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ মে থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুনরায় ১২ স্টেটে হাসপাতালে ভর্তির হার বেড়েছে। নর্থ ক্যারোলিনা স্টেটে সবচেয়ে বেশি নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যেসব স্টেটে লকডাউনকে শিথিল করা হয়েছিল সেগুলোতে ৯ জুন পর্যন্ত নতুন রোগীর হার বেড়েছে।
মিনেসোটা স্টেটের মিনিয়াপলিস ও সেন্টলুইসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হচ্ছে। তবে সেই সিটিতে এখন পর্যন্ত নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা ঘটেনি। নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, কানেকটিকাট, ম্যাসেচুসেটস স্টেটেও লাগাতার বিক্ষোভ হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সংক্রমণের হার বাড়েনি বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা