করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষত-বিক্ষত নিউইয়র্ক সিটিতে লকডাউন শিথিলের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে গত ৮ জুন। দীর্ঘ ৮২ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ঐ দিন থেকে এই সিটির কন্সট্রাকশন ব্যবসা, কল-কারখানা এবং রাস্তার পার্শ্ববর্তী দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হয়। দোকানে কেনা-কাটার সুযোগ নেই। যারা অনলাইনে অর্ডার দিয়েছেন তারাই শুধু পণ্য পিকআপ করছেন। একই অবস্থা পাইকারি স্টোরেও।
প্রথম ধাপের পর ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রয়েছে শহরের করোনা পরিস্থিতি। ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকায় ২৩ জুন থেকে লকডাউন শিথিলের দ্বিতীয় ধাপে পদার্পণ করার যোগ্যতা অর্জন করছে নিউইয়র্ক।
স্টেট গভর্নর এ্যান্ড্রু ক্যুমো নিউইয়র্কবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্যে। প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপে পদার্পণের পরও এসব বিধি মেনে চলতে হবে। রেস্টুরেন্টের বারান্দায় বসার ব্যবস্থা করা যাবে মোট জায়গার অর্ধেকে ৬ ফুট অন্তর। ভেতরে বসে খাবারের সুযোগ তৈরি হবে এরও ১৪ দিন পর অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে। রেস্টুরেন্টের কর্মচারিরা সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকবেন। গ্রাহকেরাও খাবার শুরু পর্যন্ত মাস্ক ব্যবহার করবেন। এ ধাপে অফিস, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, গাড়ির ডিলারশিপের স্টোর খুলবে। তবে সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অফিসের স্টাফকে বসতে হবে ৬ ফুট অন্তর।
স্টোরের কর্মচারি এবং সেবা নিতে আসা লোকজনের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে। স্টেট গভর্নর এক নির্বাহী আদেশে বলেছেন, মাস্ক ছাড়া কোন গ্রাহককে গ্রোসারি, রিটেইল অথবা অন্য যে কোন দোকানে প্রবেশাধিকার দেয়া হবে না। এর উল্টোটা হলে ওই স্টোর-মালিকের জরিমানা হবে। সে সময় সেলুন, বডি ম্যাসেজ, থেরাপি সেন্টার, বিউটি পার্লারও একইবিধি অনুসরণ সাপেক্ষে খোলার অনুমতি থাকবে। সর্বোচ্চ ১০ জন একত্রিত হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে মিটিং করতে পারবেন বলে গভর্ণরের ঘোষণায় বলা হয়েছে। মসজিদগুলোতেও একই প্রক্রিয়ায় একসঙ্গে ২৫ জনের বেশি মুসল্লির নামাজ আদায় করার অনুমতি নেই।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা