ওয়াশিংটন ডিসিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম স্টেটে পরিণত করার বিল পাশ হলো মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে। ২৩২-১৮০ ভোটে ২৬ জুন এই বিল ডেমক্র্যাটদের নিরঙ্কুশ ভোটে পাশ হলেও রিপাবলিকান শাসিত ইউএস সিনেটে তা পাশের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কারণ, ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ প্রস্তাবে ভেটো দেবেন বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে, এই প্রথম ওয়াশিংটন ডিসিকে (হোয়াইট হাউজ, ক্যাপিটল হিল, ইউএস সুপ্রিম কোর্টসহ ফেডারেল ভবনগুলো বাদে) স্টেটের মর্যাদা প্রদানের আনুষ্ঠানিক একটি প্রক্রিয়া শুরু হলো। এটি সিনেটের অনুমোদন নিয়ে বিধিতে পরিণত হলে ইউএস সিনেটর দু’জন বেড়ে ১০২ হবে এবং প্রতিনিধি পরিষদে যে কংগ্রেসম্যান রয়েছেন তিনিও ভোটাধিকার পাবেন।
এমন একটি বিধির জন্যে বহুবছর ধরেই ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসরতরা দাবি জানিয়ে আসছেন। তারা উল্লেখ করছিলেন যে, ফেডারেল প্রশাসনে তারা নিয়মিত ট্যাক্স প্রদান করলেও কংগ্রেসে তাদের ভোটাধিকার নেই। সিনেটে তো আসনই নেই। প্রতিনিধি পরিষদে এই বিল উত্থাপন করেছিলেন ভোটাধিকারহীন কংগ্রেসম্যান ইলিনর হোলস নরটন। নতুন স্টেটের নামকরণ করা হবে ‘স্টেট অব ওয়াশিংটন ডোগলাস কমনওয়েলথ’ অর্থাৎ ‘ওয়াশিংটন ডিসি’।
এ বিল উত্থাপনের সময় প্রদত্ত বক্তব্যে নরটন উল্লেখ করেন যে, ডিসির জনসংখ্যা ৭ লাখের মত। অথচ এরচেয়েও কম জনসংখ্যা নিয়ে অনেক আগেই স্টেটের মর্যাদা পেয়েছে ওয়াইওমিং এবং ভারমন্ট। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর ওয়াশিংটন ডিসির অধিবাসীরা যে ট্যাক্স প্রদান করেন তা ২২ স্টেটের চেয়েও বেশি। সামনে ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। তাই অনেক দিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটতে পারে স্বাধীনতা দিবসের আগেই। অনেক আগে থেকেই ‘নো ট্যাক্সেশন উইদাউট রিপ্রেজেনটেশন’ স্লোগান উঠেছে, এখন তার বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা