মরার ওপর খাড়ার ঘা’র মত অবস্থা হয়েছে লুইঝিয়ানা স্টেটের। একদিকে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে, হাসপাতালে বেড খালি নেই, এরইমধ্যে হারিকেন আইডা আঘাত হানছে নিউঅর্লিন্স এবং ব্যাটেনরোজসহ আশপাশের এলাকায়।
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১৫৫ মাইলেরও অধিক বেগে হামলে পড়ছে আইডা ঐ অঞ্চলের জনপদে।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানায়, ঠিক ১৬ বছর আগে এই দিনেই ক্যাটরিনা আঘাত করেছিল লুইঝিয়ানাসহ আশপাশের এলাকায়। একইদিন আইডা হামলে পড়ছে।
নিউঅর্লিন্সে বসবাসরত প্রবীণ শিক্ষাবিদ এবং রিজিওনাল ট্র্যাঞ্জিট অথরিটির কমিশনার ড. মোস্তফা সারোয়ার বাদল এ সংবাদদাতাকে জানালেন, আমরা ভয়ংকর একটি পরিস্থিতিতে রয়েছি। অত্যাবশ্যক সার্ভিসের কমিশনার হিসেবে অন্যত্র পাড়ি জমাতে পারছি না এলাকাবাসীকে বিপদে ফেলে। আমার স্ত্রীও এখানকার হাসপাতালের চিকিৎসক। তাই উভয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করছি।
ড. সারোয়ার জানান, নিউঅর্লিন্স এবং ব্যাটেনরোজ এলাকায় আড়াই শতাধিক বাংলাদেশি রয়েছি। অনেকেই নিরাপদ স্থানে পাড়ি জমিয়েছেন। কেউ কেউ কষ্টার্জিত অর্থে গড়া বাড়ি ছেড়ে যেতে চাননি। করোনার মধ্যে কীভাবে অজানা স্থানে পাড়ি জমাবে-এমন শংকাও রয়েছে অনেকের। ফলে এক ধরনের ভীতির মধ্যে অসহায় হয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী। বলা যেতে পারে প্রকৃতির ভয়াল ছোবলে জিম্মি জনসাধারণ।
ড. সারোয়ার উল্লেখ করেন, সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১৪ ঘণ্টা আগেই। মানুষজন বাইরে নেই। রবিবার সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়া বইছে। বিপদের কথা হচ্ছে যে, এবারের হারিকেনের সাথে ঝরে পড়া প্রচণ্ড বৃষ্টির পানি থাকবে বেশ গরম। এটি প্রকৃতির প্রতিশোধ কিনা তা সময়েই বলে দেবে। তবে সিটি ও স্টেট প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে তাণ্ডব কমার পরই উদ্ধার ও পুনর্বাসন তৎপরতার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন