শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেন। প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা তার বাবা বঙ্গবন্ধুর মতোই সাহসী একজন ব্যক্তিত্ব। এভাবেই তিনি নানা সীমাবদ্ধতা সত্বেও বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিণত করেছেন।
ফ্লোরিডার মায়ামীতে বৃহস্পতিবার নতুন কন্স্যুলেট অফিসের উদ্বোধনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন আরো বলেছেন, প্রবাসীরা হচ্ছেন একেকজন মাতৃভূমির রাষ্ট্রদূত। এছাড়া, করোনাকালেও তাদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা সম্ভব হয়। এজন্য আমরা প্রবাসীদেরকে অভিবাদন জানাচ্ছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজস্ব ভবনে আমাদের দূতাবাস, কন্স্যুলেট স্থাপিত হয়েছে। এ ধারা সূচিত হয় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আমলে। এরপর আবারো শুরু হয়েছে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপূর্ব পরিবেশ বিরাজ করছে, তা এই ফ্লোরিডার ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরাও লুফে নেনে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেলের অফিসের দাবি ছিল। এবং শেখ হাসিনা এখানকার প্রবাসীদের ২৭ বছর আগে প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন সেই দাবি পূরণের। তারই বাস্তবায়ন ঘটায় কমিউনিটির পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এ সংবাদদাতাকে বলেন, এ অঞ্চলের প্রবাসীদের বিশেষ এক টান রয়েছে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। তাঁরই পুরস্কার পেলাম আমরা। টেক্সাস, মিশিগান, জর্জিয়াতেও কন্স্যুলেট অফিস স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ছাড়া মায়ামীর আশপাশের কয়েকটি সিটির মেয়র শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ৭৬০ নর্থওয়েস্ট, ১০৭ এভিনিউতে অবস্থিত এপার্টমেন্ট ভবনের ৩২০ নম্বর স্যুইটে ফিতা কাটার মধ্যদিয়ে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে ইকবাল আহমেদকে কন্সাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি সামগ্রিক অবস্থার আলোকে মায়ামীকে বেছে নেন অফিস স্থাপনের জন্যে।
এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে মায়ামীতে পৌঁছলে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসীরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমান, মুজিবউদ্দিন, এডভোকেট জহীর, নান্নু আহমেদ, নাফিজ জুয়েল, আনোয়ার খান দিপু, লেবু চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের নেতা ইফজাল চৌধুরী, জামাল হোসেন প্রমুখ। বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন সমাজ-সংগঠক ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা জুনায়েদ আকতার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন