বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্যাংকক কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে সাড়ম্বরে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। এ আয়োজনে স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ এবং কম্বোডিয়া প্রবাসি বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কম্বোডিয়ায় সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত। এ অনুষ্ঠানে Guest of Honour হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের Secretary of State Mr Koy Kuong। উভয় দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতেই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সর্বস্তরের জনগণকে, যারা অধিকার আদায় ও মুক্তিসংগ্রামে বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন।
তিনি ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্বেলনে কম্বোডিয়ার জাতির পিতা প্রিন্স নরোদম সিহানুকের সাথে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভার কথা স্মরণ করেন। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সফরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক অনন্য মাত্রা পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগামী দিনে নতুন উচ্চতায় যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ।
অনুষ্ঠানের Guest of Honour Mr. Koy Kuong তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি এসময় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ এর সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাবের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশের ৫১ বছরের উন্নয়ন যাত্রায় এবং দেশ গঠনে জনগণ ও বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। Mr. Koy Kuong বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সফল নেতৃত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
তিনি কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালনের এ উদ্যোগের জন্য সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে দুই দেশের এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কম্বোডিয়া থেকে সিনিয়র মেম্বার এবং বাংলাদেশের কমিনিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির এই তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক