ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়াতে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সিডনিস্থ টুংগ্যাবির জর্জ মেফাম হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া।
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের টিভি রুমের ছাদ ধসে ৪০ জন শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও অতিথির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ দিনটিকে ঢাবি শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর ভক্তিগীতি ও কোরাস গেয়ে ওই ঘটনার তাৎপর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।
সিডনির বিভিন্ন স্থান থেকে অ্যালামনাইয়ের সদস্যরা এবং তাদের পরিবার অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনটি সংগীত পরিবেশন করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন নির্মল চৌধুরী, পংকজ বাড়ৈ, জ্যোতি বিশ্বাস, জয়ন্তি চৌধুরী, বর্ণালী রায়। আবৃত্তি করেন তুষার রায়, জয়শ্রী বিশ্বাস ও ড. সজল রায়। আর প্রখ্যাত শিল্পী সিরাজুস সালেকীন উপস্থিত হয়ে গানের সঙ্গে আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা ঢাবি শোক দিবসের ইতিহাস ও কার্যকারণ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কয়েকটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে বলেন, জগন্নাথ হলের ভবন ধসের পরবর্তী সময়ে আহতদের সাহায্যে এগিয়ে আসা সর্বস্তরের মানুষের সহ-মানবতার প্রকাশ, দুর্ঘটনা পরবর্তী তদন্তের রিপোর্ট অদ্যাবধি জনসমক্ষে প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ এবং দ্রুত সে রিপোর্ট প্রকাশ ও সেই রিপোর্ট অনুযায়ী এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা অপরাধীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা, নিহত ও আহতদের নিজস্ব ও পরিবারের বর্তমান পরিস্থিতি জানা ও প্রয়োজনীয় সাহায্যের উদ্যোগ নেওয়া।
ড. সমীর সরকারের সভাপতিত্বে এবং তুষার রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত ও নস্টালজিক হয়ে ওঠে। সংগঠনের সদস্যরা ও তাদের পরিবার উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানটিকে পূর্ণতা দান করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই