২৬ মার্চ, ২০২৩ ২০:৩৪
নিউইয়র্কে সমাবেশে ফরিদা ইয়াসমিন

‘একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দূতাবাস-মিশনের সরব হওয়া জরুরি’

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

‘একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দূতাবাস-মিশনের সরব হওয়া জরুরি’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন নিউইয়র্কে প্রবাসীদের এক সমাবেশে বলেছেন, ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে দূতাবাস এবং মিশনসমূহকে আরও বেশি তৎপর হওয়া দরকার। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের কূটনীতিক এবং মার্কিন প্রশাসনের নীতি-নির্ধারকদের নিয়ে একাত্তরে পাকিস্তানি হায়েনাদের জঘন্য বর্বরতার আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। অথচ এবারের ২৫ মার্চে ওয়াশিংটন দূতাবাস, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন অথবা নিউইয়র্ক কন্স্যুলেটে তেমন কিছু দেখলাম না। 

তিনি বলেন, নিজেরাই আলোচনা এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া-মাহফিলে মিলিত হলেন। আমি আশা করছি কূটনীতিকরা সামনের দিনগুলোতে যথাযথ ভূমিকা পালনে দ্বিধা করবেন না। 

জাতীয় প্রেসক্লাবের টানা দু’দফা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর টানা দ্বিতীয়বার নির্বাচিত সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে উল্লেখ করেন, দলমত নির্বিশেষে এমন সমাবেশের প্রয়োজন ছিল ভীষণ। আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব (এবিপিসি) এবং যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, জাতিসংঘের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্কে গণহত্যা দিবসের সর্বজনীন সমাবেশ করার জন্য। 

এবিপিসির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে গুলশান টেরেসের এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.)মঞ্জুর আহমেদ, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিফ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, মূলধারায় প্রবাসীদের পথিকৃত মোর্শেদ আলম, কুইন্স ডেমক্র্যাটিক পার্টির লিডার এটর্নী মঈন চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের এশিয়ার বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া, নিউইয়র্ক কন্স্যুলেট জেনারেলের প্রতিনিধি কন্স্যুলেটের হেড অব চ্যান্সেরী ইশরাত জাহান, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সেলর (প্রেস) নাসিরউদ্দিন এবং প্রবাসের মুক্তচিন্তার লেখক ফকির ইলিয়াস। 

বক্তারা ২৫ মার্চের গণহত্যার রোমহর্ষক বিবরণ উপস্থাপনের পর বিশ্বে অন্যতম প্রধান এই জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘের সমালোচনা করা হয়। 

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার এবং এবিপিসির সেক্রেটারি আবুল কাশেমের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এবিপিসির যুগ্ম-সম্পাদক শাহ ফারুক এবং ইফতারের প্রাক্কালে দোয়া-মোনাজাতে নেতৃত্ব দেন ইমাম কাজী ক্য়া্যুম।
 
‘ইফতার মাহফিল’ শীর্ষক এ সমাবেশে কম্যুনিটির সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিবর্গ ছিলেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে এসেছিলেন এবিপিসি ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সদস্য-কর্মকর্তা ছাড়াও গণমাধ্যমের কর্মীরা। নতুন প্রজন্ম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারাও সরব ছিলেন। বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরও ছিলেন মুমিত ফুয়াদ, নুরুল আজিম, ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হক, মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান, নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার ভূইয়া, ইউএসবিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ, শেরপুর জেলা সমিতির সভাপতি মামুন রাশেদ, কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, কম্যুনিটি লিডার মোর্শেদা জামান, লেখক রাজু আহমেদ মোবারক, এডভোকেট মজিবর রহমান, শাহানারা রহমান, মনসুর আহমেদ, মিয়া আলিম পাখী, কম্যুনিটি বোর্ড মেম্বার শেখ শাহজাহান প্রমুখ।  

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর