এক. ইহুদিবাদের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে ইরান টিকে আছে গৌরবের সঙ্গে। ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করা ছিল ইহুদিবাদীদের প্রধান টার্গেট। ইমাম খামেনিকে হত্যার নীলনকশাও এঁটেছিল তারা। ইসলামি শাসন পতনের জুতসই পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। ইরানে তাদের দালাল পাহলভি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতিও নিয়েছিল ইহুদিবাদীরা। ইসরায়েল-আমেরিকার সর্বাত্মক হামলায় ধ্বংসযজ্ঞের মুখে পড়ে ইরান। কিন্তু রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো ভস্মের মধ্য থেকে উড়াল দেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছে জুলকারনাইন বা সাইরাস দ্য গ্রেটের শিষ্যরা। বাধ্য হয়ে আমেরিকাকে স্বরূপে আবির্ভূত হতে হয়েছে। ইরানের প্রধান তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে তারা। ভয়াবহ বাংকার বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে। যে বোমা ভূপৃষ্ঠের ১০০ মিটার গভীরে থাকা স্থাপনায়ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ক্ষমতা রাখে। ইরানের সৌভাগ্য, তারা পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা হবে-এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল আগেভাগে। সেখান থেকে সবকিছু নিরাপদে গোপন স্থানে স্থানান্তরের কৃতিত্বও দেখায় তারা। ফলে ইসরায়েল ও তাদের গডফাদার আমেরিকার সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
ইরান বা পারসিকরা হার না-মানা ঐতিহ্যের অধিকারী। বিশ্ব ইতিহাসে পরাশক্তি হিসেবে তারা অবস্থান করেছে হাজার বছর ধরে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরান মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও তারা যেভাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে, তা শত্রু পক্ষকে গোঁফ নামাতে বাধ্য করে। দুই পক্ষের যুদ্ধবিরতি হয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে। তবে ইহুদিবাদীরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে আবদ্ধ হলেও এটি ফের হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেওয়ার বিরতি কি না, তা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে বোদ্ধাজনদের মাঝে। অনেকের ধারণা, ইহুদিবাদীরা আরও বড় প্রস্তুতি নিয়ে হামলা চালাবে ইরানের ওপর। সে হামলা কবে শুরু করা হবে, সেটিই এখন বিবেচ্য বিষয়।
দুই. তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ড. নাজিমউদ্দিন এরবাকান ইহুদিবাদের স্বরূপ উন্মোচন করেছেন যথার্থভাবে। ২০০৯ সালে ইরান সফরকালে তিনি বলেছিলেন, ইহুদিবাদ হলো কুমিরের মতো। সে কুমিরের ওপরের চোয়াল আমেরিকা আর নিচের চোয়াল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কুমিরের জিহ্বা আর দাঁত ইসরায়েল। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো অন্য সব রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী। যার মধ্যে মুসলিম দেশগুলোও রয়েছে। সব দেশের মিডিয়া, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোও তাদের হুকুমবরদারের ভূমিকা পালন করছে। সোজা কথায়, ১২ দিনের ভয়াল যুদ্ধে ইরানকে যেমন এককভাবে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ইহুদিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে, আগামী দিনেও লড়তে হবে নিঃসঙ্গভাবে। এটি ইরানের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে টিকে থাকতে হবে। নতুবা অনিবার্য হয়ে উঠবে ধ্বংস বা আত্মসমর্পণ। মুসলিম বিশ্বের জন্যও এটি বাঁচা-মরার প্রশ্ন।
তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. নাজিমউদ্দিন এরবাকান মুসলিম দেশগুলোকেও ইহুদিবাদের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেন ২০০৯ সালে। এত বছর পরও তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সহযোগিতায়। এমনকি পাকিস্তানের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। যে কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মনিরকে রাষ্ট্রপ্রধানের চেয়েও বেশি মর্যাদায় বরণ করেন। বিশ্বস্ত শাগরেদ হিসেবে বাহবা দিয়েছেন। ভবিষ্যতে কখনো যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলার নামে ইরানে হামলা চালালে তাতে যে মুসলিম দেশগুলো পক্ষে থাকবে না, তার আলামত ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রভাবশালী আলেমরা ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে ইরানিদের লড়াইকে মুসলমানদের লড়াই বলে ভাবছেন না। তারা কে শিয়া কে সুন্নি তা নিয়ে বাহাসে লিপ্ত। শিয়ারা মুসলমান নয়, এমন তত্ত্ব দিতে শুরু করেছেন ইহুদিবাদের কেনা গোলামরা। ইরানের ওপর ফের হামলার আগেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের দুটি দুর্বলতা ধরা পড়েছে। প্রথমত আকাশ প্রতিরক্ষার দুর্বলতা। দ্বিতীয়ত ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েল ও আমেরিকার গোয়েন্দাজালের ভয়াবহ বিস্তার। আশার কথা, ইরান দেরিতে হলেও বিমান প্রতিরক্ষার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। চীনের কাছ থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বিমান সংগ্রহ করছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে যৌথ বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে প্রস্তাবে সায় দিলে ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের আকাশসীমা একতরফাভাবে শত্রু পক্ষের দখলে চলে যেত না।
তিন. ইসরায়েল ও আমেরিকার হামলায় ইরান ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ইরানের সর্বত্র শত্রু দেশের গোয়েন্দাজালের কারণে। ফরাসি ইহুদি নাগরিক ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম ইসরায়েলের পক্ষে গোয়েন্দা থাবা বিস্তারের সুযোগ পায় ইরানের শীর্ষ মহলে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার টার্গেটে ক্যাথরিনকে নিয়োজিত করা হয়। ক্যাথরিন পেশায় সাংবাদিক। তিনি ইরানি নেতৃত্বকে ঘায়েলের উদ্দেশ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইরানের মিত্র ইয়েমেনের এক শিয়া মুসলিমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ক্যাথরিন সৌদি-সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরান-সমর্থিত হুতিদের পক্ষে কলম ধরেন। ইয়েমেনে সৌদি আরবের অন্যায় হস্তক্ষেপ ও ইসরায়েলবিরোধী একের পর এক প্রবন্ধ লিখে ইরানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের আস্থা কুড়াতে সক্ষম হন। সুযোগ বুঝে ফরাসি পাসপোর্ট নিয়ে ক্যাথরিন ইরানে আসেন। শুরু করেন জোরেশোরে ইসলামি বিপ্লবের পক্ষে প্রচারণা। তাঁর লেখা ইরানের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম তো বটেই, সর্বোচ্চ নেতা খামেনি পরিচালিত ওয়েবসাইটেও নিয়মিত প্রকাশ পায়। ইসলামের শিয়া মাজহাবের প্রতি আনুগত্য এবং ইরানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থনকে পুঁজি করে ক্যাথরিন অভিজাত মহলের অন্দরমহলেও ঠাঁই করে নেন। ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গেও ব্যক্তিগত যোগাযোগ গড়ে তোলেন এই নারী গুপ্তচর। এভাবেই এক শর কাছাকাছি ইরানি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন মুতাহ বিয়ের আড়ালে। ইরানিদের চেয়েও বেশি ইরানপ্রেমের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে তিনি সে দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করেন। ক্যাথরিন ২০১৭ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রচারণা দলের সদস্য হন। একের পর এক ইরানি পদস্থ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও গড়ে তোলেন তিনি।
স্কাই নিউজ আরবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ক্যাথরিনকে একজন ধর্মভীরু পর্দানসীন মুসলিম নারীর বেশে দেখা গেলেও আসলে তিনি ছিলেন উচ্চ প্রশিক্ষিত গুপ্তচর। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে যিনি ইরানে পা রাখেন।’ ক্যাথরিন ইরানে যাওয়ার পর থেকে একের পর এক ইরানি নেতা গুপ্তহত্যার শিকার হন। সেনাবাহিনী ও বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর একের পর এক কমান্ডার প্রাণ হারান। এই প্রেক্ষাপটে সক্রিয় হয়ে ওঠেন ইরানি গোয়েন্দারা। নিজের বিপদ বুঝে ক্যাথরিন পালিয়ে যান ইরান থেকে। তারপর স্বরূপে আবির্ভূত হন এই সাংবাদিক বেশধারী নারী গুপ্তচর। ২০২২ সালে দ্য টাইমস অব ইসরায়েলে প্রকাশিত নিবন্ধে ক্যাথরিন জানান দেন তিনি কীভাবে তেহরান অর্থাৎ দানবের পেটের ভিতরে প্রবেশ করেন। ক্যাথরিন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করার কথা স্বীকার করেননি। তবে বলেছেন, ইরানের আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ, সামরিক উচ্চাকাক্সক্ষা এবং আন্তর্জাতিক আইন অবজ্ঞার প্রবণতা তাঁকে ইসরায়েলপ্রেমী ও উগ্র ইহুদিবাদী হতে উদ্বুদ্ধ করে। নিজেকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা হিসেবে মেনে না নিলেও ক্যাথরিন অতীতে একটি ইসরায়েল-আমেরিকান গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করার কথা স্বীকার করেছেন।
চার. রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে গোয়েন্দাগিরির সম্পর্ক একটি চিরন্তন বিষয়। গোয়েন্দাবৃত্তির অস্তিত্ব ছিল আমাদের এই উপমহাদেশেও। আজ থেকে ২ হাজার ৩০০ বছর আগে সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের আমলে চাণক্যের লেখা অর্থশাস্ত্রে গুপ্তচরবৃত্তির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণে গোয়েন্দারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বখ্যাত অভিনেত্রী আড্রে হেপবার্নও গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত ছিলেন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে। ব্রিটেনে একসময় বিখ্যাত লোকজন যেসব বাড়িতে থেকেছেন, তাঁদের স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে সেগুলোতে নীল ফলক লাগানো হয়। ২০২০ সালে ব্রিটেনে ভারতীয় এক নারী বসবাস করতেন, এমন এক বাড়িতে লাগানো হয় নীল ফলক। বাড়িটিতে থাকতেন নুর ইনায়েত খান নামের এক মুসলিম নারী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি ব্রিটিশ গুপ্তচর হিসেবে ভূমিকা রাখেন। ব্রিটিশ সরকারের ‘স্পেশাল অপারেশনস এক্সিকিউটিভ’ নামের একটি গুপ্ত সংস্থার সদস্য ছিলেন ওই মুসলিম নারী। জার্মানির দখলকৃত বিভিন্ন দেশে গোয়েন্দা সংস্থাটি গুপ্তচর পাঠাত। উদ্দেশ্য ছিল সেসব দেশে যারা নাৎসি দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের সাহায্য করা। নুর ইনায়েত খানকে পাঠানো হয় প্যারিসে। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে গুপ্তচরের ভূমিকা পালনকারী প্রথম মুসলিম নারী। নুর ইনায়েত খান কুখ্যাত জার্মান গুপ্ত পুলিশ ‘গেস্টাপো’র হাতে ধরা পড়েন। নৃশংস নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বরে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে তাঁর মৃত্যু হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির দখলে থাকা ফ্রান্স থেকে গোপন বার্তা পাঠাতেন হেলেন টেইলর। সে সময়ের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের নেতৃত্বাধীন বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্য ছিলেন তিনি। সে বাহিনীর সদস্যদের কাজ ছিল গোপনে জার্মান বাহিনীর তথ্য সংগ্রহ করে ধ্বংসাত্মক অভিযান চালানো। টেইলর বলেছেন, তাঁদের সর্বক্ষণ সতর্ক থাকতে হতো। সামান্য ভুলে যে কারও জীবন বিপন্ন হতে পারত। টেইলরের অভিমত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নারীরা যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা স্মরণীয় করে রাখা উচিত। গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িতদের অনেককে অবিশ্বাস্য কষ্ট করতে হয়েছে। অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ফিরে আসতে পারেননি। জার্মানির দখলকৃত ফ্রান্সে গুপ্তচরদের কাছে গোপন বার্তা পাঠাতেন হেলেন। তাঁদের দলে অন্তত ৩০ জন ছিলেন নারী। যারা শত্রু এলাকায় গোপনে কাজ করতেন।
১৯১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল মাতাহারি নামের এক সুন্দরী নারীর। যাঁকে এই একবিংশ শতাব্দীতেও বলা হয় ইতিহাসের সবচেয়ে নিন্দিত বা নন্দিত নারী গুপ্তচর। ইউরোপের মক্ষীরানি হয়ে উঠেছিলেন এই ইন্দোনেশীয় নারী। তাঁর অভিনব নগ্ন নাচ দেখতে বা তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জন্য বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, জেনারেল, শিল্পপতিরা উন্মুখ হয়ে থাকতেন। এ অন্তরঙ্গ সম্পর্কের মাধ্যমে মাতাহারি যেসব গোপন তথ্য জানতে পারতেন তা জার্মানদের কাছে হাতবদল করেই তিনি হয়ে ওঠেন এক সাংঘাতিক গুপ্তচর। এ অভিযোগে তিনি ধরা পড়েন ও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। অনেকের ধারণা, ইরানে ক্যাথরিন নামের যে ফরাসি নারী ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত ছিলেন, তিনি মাতাহারিকেও হার মানিয়েছেন। ইমাম খামেনিকে হত্যা করতে না পারলেও ইরানের যে সর্বনাশ করেছেন, তা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ইরানকে বিদেশি গুপ্তচরদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
ইমেইল : [email protected]