নিজেকে আমি পর্যবেক্ষক ভাবতে পছন্দ করি। ‘নতুন পথের মোহে তৃপ্তিহীন আমার অন্বেষা’, যেন এই শহরেই আছে আমার মরু, মাঠ, বন, অথৈ সাগর, যেন আমি ধ্যান করি পথ, সুষুপ্ত পাথর। নিজেকে আমার ভাবতে ইচ্ছা হয় সান্ত¡নাহীন মুসাফির, ছায়ার মধ্যে মিশে-থাকা প্রাণ, কিন্তু আমার পথ আগলে দাঁড়ায় এই তথাকথিত বাস্তবতা আর নিজেকে আমি আবিষ্কার করি ঘামগন্ধময় চাপ ধরা ভিড়ের মধ্যে একটি ব্যস্ত রাস্তার পাশে ফেরিওয়ালা ও পথচারী ভর্তি ফুটপাথে। এই ভিড়ের মধ্যে আমি হাঁটছি বিপুল নৈঃশব্দ বুকে নিয়ে আর খুঁজছি একটি সত্যিকারের কণ্ঠস্বর।
জায়গাটি ঢাকার গুলিস্তান, যার স্থানে স্থানে জটলা আর জটলা ঘিরে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভিন্ন ঘটনার বিস্তার। এই যেমন এখন, একটি মাঝারি মানের দৈনিক পত্রিকার প্রুফরিডার আবদুল মালেককে কেন্দ্র করে ঘটনা চলমান। আর মালেক নিতান্তই হতবিহ্বল। কারণ সে কেবল ফুটপাথে চাদরে বিছিয়ে রাখা অনেক জুতার মধ্যে তার পছন্দের এক জোড়া জুতা, কালো চকচকে চামড়ার তৈরি জুতার দাম জিজ্ঞেস করেছিল। আর গুলিস্তানে যেমনটি ঘটে, হকার হঠাৎ তার জামা টেনে ধরেছিল, জুতাটা না কিনে এমনকি কোনো দাম না বলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করার জন্য। ছোকড়া গোছের বেয়াদব হকারটি তার গায়ে লাথি মারার জন্য পা-ও তুলেছিল। আবদুল মালেক তার অপরাধ কী বোঝেনি, সে প্রথমে কুঁকড়ে গিয়েছিল, যেমন সে সচরাচর যায়, পরে আত্মরক্ষার তাগিদেই বোধহয় সে তোতলাতে থাকে, ‘আমি...আমি...’
Ñজিনিস নিবা না তো দাম করছ ক্যান, মিয়া, এতক্ষণ ধইরা মাগনা জুতা হাতাইছ! পায়ে লাগাইছ! ফাইজলামি পাইছ? দাম কওন লাগব।’
হকারের খেপে-যাওয়া চেহার সামনে আবদুল মালেকের অসহায় মুখ, অপমানিত দেহভঙ্গি, বাকশক্তিরহিত, অসাড় জিহ্বা....আশপাশে জড়ো হওয়া মানুষজন, তাদের সম্মিলিত প্রশ্ন ‘কী হইছে? কী হইছে?’
গুলিস্তানের গাড়িগুলোর কালো ধোঁয়া, ঘনায়মান সন্ধ্যা, সব মিলে এক অর্থময় স্থবিরতা যা মহানগরের প্রতি কেবল বিরাগ বাড়িয়ে তোলে। আত্মরক্ষার তাগিদেই কি না আবদুল মালেক তখন তার পত্রিকার নাম বলে আর তাতে কাজ হয়। মাস্তান গোছের কয়েকজন এসে আপসের সুর বাজায়। তারা হকারটিকে ধমকে দেয়, আবদুল মালেকের পিঠে হাত বুলায়। ‘আপনে ছাংবাদিক, আগে কইবেন তো !’ জটলা হালকা হয়। আবদুল মালেক এলোমেলো পায়ে বাড়ির পথে হাঁটে, আর ভাবে, কী দরকার ছিল হঠাৎ করে জুতার দাম জিজ্ঞেস করার। এটা কি গরিবের ঘোড়া রোগ নাকি আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর নেওয়াÑকোন বাগধারাটা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে ভাবতে ভাবতে সে চোখ কচলায় এবং চোখের জ¦ালাটা কী জন্য বোঝে না সে, আর তাই গুলিস্তান, গুলিস্তানের দূষিত কালো ধোঁয়াকে দায়ী করে আবুদল মালেক।
আমি আবদুর মালেকের পিছু নিয়ে তার বাড়ি পর্যন্ত যাই। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা এমনটি বলতে পারলেই হয়তো ঠিক হতো। ডেমরায় টিনের সেমি বিল্ডিং এক রুমের ঘরে মালেকের স্ত্রী রাশিদা কোলের বাচ্চাকে দুধ দিচ্ছিল, স্বামীর আগমনে তার মধ্যে কোনো চাঞ্চল্য দেখা যায় না, বড় ছেলেটি শুধু বাবার কোল ঘেঁষে এসে বসে। আবদুল মালেক একটু হাঁপাতে থাকে।
‘...বুঝলা রাশিদা ...জুতা দর করলাম একটা... খুব পছন্দ হইছিল.... ফুটপাতে...কালো চকচকা, মাথার দিকটা চাপা ...বুঝলা ... পনেরশো টাকা দাম চায় ...’ আবদুল মালেক হাত-পা ধোয়। আবার ঘরে এসে বসে।
‘...ছোটবেলায় খুব শখ ছিল একজোড়া চামড়ার জুতার ...বুঝছ ... আব্বারে অনেকবার বলছি ... প্লাস্টিকের জুতা পইরা কতদিন পায়ে ঠোসা উইঠ্যা গেছে।’
রাশিদা তখন হাসতে হাসতে বলে, ‘আমার গ্রামের পোলারা জুতার শখ মিটাইত অন্যভাবে। লাল শাহ্ ফকিরের দরবারে তার ধনী ধনী মুরিদরা আসত নতুন নতুন দামি জুতা পইরা। জুতা খুইলা তারা যখন দরবারের ভিতরে ঢুকত তখনই পোলাপানরা সেই জুতা চুরি করত।’
গল্পটা পছন্দ হয় না আবদুল মালেকের। সে আবার ঘুরে ঘুরে ফুটপাত দেখা জুতাটার কথা বলে।
...শোনো, জুতার কিসসা থামাও। ঘরে তেল নাই, লবণও শেষ।
রাশিদা বলে। আবদুল মালেক কিছুক্ষণ কুঁজো হয়ে বসে থাকে। তারপর দোকানে যাওয়ার জন্য বের হয়।
আমার এই সময় একটা মজা করার ইচ্ছা জাগে। আমি গুলিস্তানের ফুটপাথে দেখা কালো জুতার মতো একজোড়া জুতা হয়ে আবদুল মালেকের চলার পথে শুয়ে থাকি। দরজা খুলেই আবদুল মালেক আমাকে মানে তার খুব পছন্দের কালো জুতা জোড়া দেখতে পাবে। আমি মনে মনে তার হতভম্ব হয়ে যাওয়া চেহারাটা কল্পনা করে খুব মজা পাই।
আবদুল মালেক দরজার সামনে জুতা জোড়া দেখে থতমত খেয়ে যায়। সে আর তা থেকে চোখ সরাতে পারে না। এ কীভাবে সম্ভব? এটা কি স্বপ্ন, নাকি বাস্তব? আবদুল মালেক একবার ঘরের ভেতরে যায় আবার বাইরে বেরিয়ে আসে। তারপর চোখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে যেন কিছুই হয়নি কিংবা কিছুই দেখেনি এমনিভাবে দোকানে চলে যায়।
‘ফিরে এসে নিশ্চয়ই জুতা জোড়া আর দেখব না, কেউ হয়তো ভুল কইরা রাখছিল, যার জুতা সে এর মধ্যে ঠিকই এসে জুতা নিয়ে চলে যাবে।’ মালেক ভাবে। কিন্তু কী অবাক কা- দ্যাখো, কী মিল গুলিস্তানে দেখা সেই জুতা আর পথে-পড়ে-থাকা ওই জুতার মধ্যে, যেন ওটা আর এটা একই জুতা যেন ঠিক ওই জুতাটাই তার পিছে পিছে হেঁটে চলে আসছে...আজকের দিনটাই কেমন যেন...অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটছে...।’
দোকান থেকে ফেরার পথে আবার সেই দৃশ্য, সেই জুতা জোড়া, স্থির জড়োজীবন যেমন তেমনি...আবদুল মালেক এবার জুতা জোড়াকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে ঘরে ঢুকে যায় এবং উসখুস করে, একবার বিছানায় শোয় আবার উঠে বসে। স্বামীর এই চঞ্চলতা রাশিদাকে কৌতূহলী করে তোলে, ‘কী হইছে? এমন করতাছ ক্যান?’ সে স্বামীকে প্রশ্ন করে।
Ñএকবার যাও তো বাইরে...দরজাটা খুইল্যা দ্যাখো...বামদিকে, কিছু দেখতে পাও?’
রাশিদা যায়, তারপর সেই জুতা জোড়া হাতে নিয়ে ঘরে ফিরে আসে।
Ñএইগুলা? এছাড়া তো কিছু দেখলাম না।
আবদুল মালেক আঁতকে ওঠে ‘...করছ কী...করছ কী... কার-না-কার জুতা!’
রাশিদা জুতাগুলো ছুড়ে দেয় মেঝের ওপর। বলে...দ্যাখো, জুতাগুলো ঠিক তোমার মাপের...একটু পইরা দ্যাখো-না!
Ñনা, না, ধুর!
Ñআরে পরো-না একটু।
রাশিদা আবদুল মালেকের পায়ের কাছে বসে স্বামীর পায়ে জুতা জোড়া যতœ করে পরিয়ে দেয়। জুতা পায়ে লাজুক ভঙ্গিতে ঘরের মধ্যে হাঁটে আবদুল মালেক। রাশিদা বলে, ‘লাগে জানি, তোমার পায়ের মাপ দিয়াই কারিগরে জুতাটা বানাইছে।’ এই দম্পতিকে অনেক দিন পর খুব খুশি-খুশি মনে হতে থাকে।
পরদিন অফিসে গেলে জুতাগুলো প্রথম দেখে রিসেপশনিস্ট মেয়েটি। ‘জুতা কিনলেন নাকি, মালেক ভাই? খুব সুন্দর হইছে! আপনার পায়ে মানাইছে ভালো।’
কলিগদের মধ্যে কয়জন জিজ্ঞেস করে, ‘দাম কত?’
আবদুল মালেক সরাসরি কোনো উত্তর দেয় না, কখনো হাসে, কখনো মাথা ঝাঁকায়Ñযেন সে মহা অস্বস্তিতে পড়েছে, কিংবা গুরুতর কোনো অপরাধ করে ফেলেছে অথবা জুতাগুলো খুব ভারী, যা তার পায়ের মধ্যে চেপে বসে আছে। অফিসের কয়েকজন বলল পর্যন্ত, ‘জুতা কি টাইট লাগতেছে নাকি, মালেক ভাই?’
বানান কাটতে কাটতে পা নাচানো দীর্ঘদিনের অভ্যাস আবদুল মালেকের। দুপুরে দিকে হঠাৎ তার মনে হলো সে পা নাচাচ্ছে না বরং জুতাটা যেন নিজে নিজেই নাচছে... উঠছে, নামছে, ঝুঁকছে, ডানে, বাঁয়ে, উপরে, নিচে... যেন খুব আনন্দ তার। জুতার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে গেল আবদুল মালেক। এটা নিশ্চয়ই আমার মনের ভুল, ভাবল সে। পা স্থির রাখার চেষ্টা করল। তবু যখন জুতার কম্পন থামল না তখন শরীর খারাপের অজুহাত দেখিয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ল অফিস থেকে।
রাস্তায় বেরিয়ে আবদুল মালেকের মনে হলো, প্রতিটি লোক তার পায়ের দিকে তাকাচ্ছেÑ রাস্তার ভিখারি, পথচারী, এমনকি দুইটা পুলিশ পর্যন্ত তাকিয়ে আছে ওর পায়ের দিকে। কিছু কি বলবে ওরা? বলবে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হল। এক্ষুনি থানায় চলুন। রাশিদা কাছে থাকলে হয়তো বিরক্ত হয়ে বলত, তোমার মতো ডরাইল্যা মানুষ দেখি নাই।
ওই লোকটা এমন ত্যারচা চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে কেন? আমার পায়ের দিকে? জুতাগুলোর দিকে? লোকটা কি এখনই এসে বলবে, এই জুতাগুলো কই পাইছেন? দেখিÑতারপর সে ঠিকই একটা চিহ্ন খুঁজে বের করবে, বলবে এই যে আশপাশের মানুষ, এই যে জনগণ, দেখেন দেখেন ভদ্রবেসী চোরকে দেখেন। চোরাই জুতা পইরা দিব্যি ভালো মানুষের মতো ঘুইরা বেড়াইতেছে।
আবদুল মালেক দরদর করে ঘামতে থাকে। জুতাগুলোকে মনে হয় লোহার তৈরি, তার এখন পা ফেলতেই কষ্ট হচ্ছে। কোনোরকমে জুতাশুদ্ধ ভারি পা টেনে টেনে ঘরে ঢোকে সে। তাড়াতাড়ি বিছানায় বসে এক হাতে জুতা খোলার চেষ্টা করে। গোড়ালিতে হাত রেখে চাপ দেয়, কিন্তু জুতা খোলে না। এবার এক হাতের বদলে দুই হাত লাগাতে গিয়ে বিরক্তিতে আপনমনেই বিড়বিড় করে আবদুল মালেক, শালার জুতা, তোমারে নিয়া তো বিরাট মুশকিলে পড়লাম! দুই হাত দিয়ে টানাটানি করেও কাজ হয় না। জুতার জায়গায় জুতা অনড়, যেন কামড়ে ধরেছে আবদুল মালেকের পা। সব শক্তি একসঙ্গে করে পা থেকে জুতা খুলতে চায় আবদুল মালেক। কিন্তু হায়, জুতা খোলে না!
ভয়ে-দুঃখে, ঘৃণায়-লজ্জায়-আতঙ্কে হিস্টিরিয়া রোগীর মতো গাঁ গাঁ করে চিৎকার করতে থাকে আবদুল মালেক। রান্নাঘর থেকে সব ফেলে এবার দৌড়ে আসে রাশিদা।
‘আমার জুতা.... আমার জুতা ...’ বলে তোতলাতে থাকে আবদুল মালেক। রাশিদা বুঝতে পারে না। সে চিৎকার করে ওঠে, ‘কী হইছে? কী হইছে?’
আবদুল মালেক কেঁদে ফেলে ‘...আমার জুতাগুলি পায়ের সঙ্গে আইটকা গেছে... আমারে বাঁচাও রাশিদা...।’
রাশিদা ছুটে এসে স্বামীর জুতা ধরে টান দেয়, আর আপসে আপ জুতাজোড়া খুলে তার হাতে চলে আসে। রাশিদা ধমকে ওঠে, ‘কী যে তুমি খামাকা চিল্লাও, এই তো সুন্দর খুইলা গেল।’
আবদুল মালেক তখন ধীরে ধীরে ধাতস্থ হয়। ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে থাকে জুতাগুলোর দিকে। রাশিদা ন্যাকড়া এনে জুতাগুলো মুছতে মুছতে বলে, ‘একদিনেই কেমন ধুলা লাইগা জুতাগুলি ময়লা দেখাইতাছে।’
‘সরাও, সরাও, এই জুতা আমার চোখের সামনে থেইকা সরাও, যেইখান থেইকা আনছিলা সেইখানে ফালায়া দিয়া আসো এইগুলারে ...’ বলে প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে আবদুল মালেক।
প্রথমে হতবাক হয়ে যায় রাশিদা, তারপর চেঁচিয়ে ওঠে, ‘ক্যান, ফালামু ক্যান? এত সুন্দর জুতা। তুমি পায়ে না দিলে না দিবা, তোমার পোলা পায়ে দিব।’
‘তর্ক কইরো না, যা কইতাছি শোনো।’
বলে স্ত্রীর দিকে কড়া চোখে তাকায় আবদুল মালেক। রাশিদা তাড়াতাড়ি চৌকির তলায় জুতা জোড়া লুকিয়ে ফেলে, কবে তার ছেলে বড় হবে আর কবে সে এই জুতা জোড়া পরবে, তা হয়তো রাশিদাই জানে। রাতে শরীর কাঁপিয়ে জ¦র এলো আবদুল মালেকের। জ¦রের ঘোরে কয়েকবার জুতা, জুতা বলল সে।
‘আহারে মানুষটার কতদিনের শখ দামি জুতা পরার...’ আবদুল মালেকের জ¦রতপ্ত মাথায় পানি ঢালতে ঢালতে ভাবে রাশিদা।
চৌকির তলায় শুয়ে শুয়ে আমি মানে কালো জুতা জোড়া এই দৃশ্য দেখি, তারপর ওরা ঘুমিয়ে গেলে নিজের রূপ পালটে আবার পথে বেরিয়ে পড়ি। আমি তো আসলে খুঁজছি একটা সত্যিকারের কণ্ঠস্বর, খেলছি পথে পথে। আবদুল মালেকের জ¦র একদিন ভালো হবে। সেই পুরনো প্লাস্টিকের জুতো পরে ক্লান্ত ভঙ্গিতে সে পা ঘষে ঘষে অফিসে যাবে, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশকে ঘুষ খেতে দেখে চোখ ঘুরিয়ে নেবে। মাঝে মাঝে ফুটপাথে কালো জুতা দেখে সে নিশ্চয়ই থমকে দাঁড়াবে। আর রাশিদা কুড়িয়ে-পাওয়া কালো জুতা জোড়া অনেক চেষ্টা করেও আর খুঁজে পাবে না। সে ভাববে নিশ্চয়ই আবদুল মালেক কোনো একদিন চোখের সামনে পেয়ে জুতাগুলো বাইরে ফেলে দিয়েছে।
আর আমি পথে পথে হাঁটতেই থাকব। আত্মমগ্ন অন্ধকারে...