শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২২

গল্প

চোখেই প্রেমের টান

নাসরীন জাহান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
চোখেই প্রেমের টান

যখন ছুটতে ছুটতে ধেয়ে আসছে নদীটি... যার স্রোত তো নয় নির্মল ঢেউয়ে প্রচ্ছন্ন ছায়া ফেলছিল অরেঞ্জ রঙ... ভাঁজে ভাঁজে যেন আকাশের মেঘ... তুলো তুলো কখনো, কখনো হরিণ... হাতি... কিন্তু আমি জলের মধ্যেও শুধু হাজারো ঢেউ ভেঙে একটা মুখকে স্থিত হতে দেখেছি।

যার চোখ কেবল আমাকে দেখলেই ভাষা বদলাতে দেখি। সেই নদী... বন্যার উদ্দামতা নিয়ে... কোমল নখর মিশ্রণ নিয়ে আমাকে যে আমূল তলিয়ে ডুবিয়ে যেন...

আহ!

পাশের বেডের রোগীর কত রাত্তিতে চৈতন্যের ক্ষীণ জাগরণ... মৃত্যু শয্যাশায়ী... আমারই মতন অসাড় নিঃসঙ্গ...পার্থক্য মৃত্যু তার সঙ্গী হয়েছে, বৃদ্ধ মহিলাটি যেন ডাক এসেছে চলে যাচ্ছে অনন্তে, এতদিন সারা দিন সৃষ্টিকর্তাকে ডাকত, কাঁদত, ভয় পেত... এসব আমার গ্রাহ্য নয় নিরন্তর, আজ কী বুঝে তার দিকে চোখ তাক করে দেখি, সাক্ষাৎ যমের সামনে প্রথমে তার চোখ বিস্ফারিত হলো... এরপর নিঃসাড় ঠোঁট একটা বাক্য ও স্থিত হলো... আজকেও তুমি আইলা না? হেই যৌবনে...।

স্তব্ধ সব।

চারুকলার তেপান্তর ছাদে পা ঝুলিয়ে ছেলেমেয়ে গলাগলি করে আড্ডা দিতাম। কোনো ছেলে বন্ধুর সঙ্গে দেহ লেপ্টে গেলেও আমার মতোন সুদেহী তার সভ্য অসভ্য কোনো কাঁপন অনুভব করেনি... বাদাম খাচ্ছে আর অনর্গল বলছে, হ্যাঁ, আমি ন্যুড আঁকি, ফিগার আমার ফেবারেট। ক্রমশ অভিজ্ঞতায় বোধ-বৃদ্ধরা স্পর্শের ব্যাপারে মারাত্মক কামুক। যৌবন শিহরণে ছিঁড়েখুঁড়ে দেহে ঢোকে সৌন্দর্য দেখতে দেখতে...কিছু বোদ্ধা বৃদ্ধও কোনো কিশোরীকে পাশে বসে সবার সামনে নিরাপদ হাস্যরত থাকলেও তার অবদমিত আগ্রাসী কাম তাকে শিল্পচ্যুত করে... সে কিশোরীর এ জায়গা ও জায়গা দু আঙুলের ভাঁজে টিপ দিতে থাকে, কিশোরী বিশ্বাস অবিশ্বাস অস্বস্তিতে উসখুস করলেও যে টের পেতে পারে, এ তার বোধেই থাকে না এক মহান চারুশিল্পী, আমি তার মুগ্ধ ছাত্রী-কাছে বসে একদিন হতভম্ব হয়ে দু আঙুলের স্তনের এক ভাঁজে, যা সোফাঘেঁষা ছিল... আঙুলের ডাটা ধরে ক্যানভাসে একের পর এক নারী... নদী সমুদ্র বিমূর্ততা সৃষ্টি করেন, আর্তনাদ করতে গিয়েও নিশ্চুপ ছিলাম যে কীভাবে আমি জানি না।

হতে পারে শৈশবে এক পুরুষ আমার ফেলে আসা গ্রামের নদীটি মফস্বলের কাছেই, আজানের আগের কাঁচাভোরে শহরের এক এক জায়গায় এসে রোজ দাঁড়ায় মজার জিনিস দেখো- এই বলে স্তব্ধ আঁধার ভেঙে ভীত, কম্পিত আমাকে স্তব্ধ এক গাছের নিচে ফেলে দুম করে লুঙ্গি খোলে...।

লুঙ্গির নিচে এত বড় সাপ এক স্থানে থেকে লাফাচ্ছে...কী করে লুকিয়েছিল? বাইরে থেকে একবিন্দু বোঝা যায়নি তো? বিমূঢ় স্তব্ধতায় ভাবছি... তখন আমার হাফপ্যান্ট খুলে... কী নারকীয় শাবল পাশবিকভাবে ঢুকে যেতে থাকল আমাকে রক্তাক্ত অচেতন করতে করতে এক হাতে মুখ চেপে।

এক কিশোরীকে অচেতন করতে পারে কোনো এক দেহে আটকে থাকা ছোট অংশ, যার নাম লিঙ্গ, কোনো অলৌকিক শক্তিতে সেই লিঙ্গ সটান শক্ত লৌহ এমন বিবর্তিত রূপ নিতে পারে-শৈশব-কৈশোর এক হয়ে গেছে এই রক্তাক্ত অলৌকিকতার সূত্র খুঁজতে খুঁজতে। আমাকে ওই অবস্থায় আবিষ্কার করে আরেক বৃদ্ধ পরম মমতায় আমার সব মুছে ধুইয়ে সেবা করে করে তার নিঃসঙ্গ একাকী ঘরে একদিন রেখেছিলেন। আমি তাকে আমূল জড়িয়ে তার সম্পূর্ণ কামহীন অনুভবে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিও। সে বলেছিল, বাড়িতে জানাইও না, এক্ষনি পায়ে শিকল পরাইব। ‘সব পুরুষ এক’ সে কারণেই সেই কিশোরী কোনো দিন এই বোধে পৌঁছায়নি।

বৃদ্ধ, যুবক...ভিন্ন ভিন্ন, নানা ক্ষেত্রে, প্রেক্ষাপটে, ক্যানভাসে।

আজ কি কষ্ট কম হচ্ছে?

তরুণ ডাক্তার আমার পালস চেক করতে করতে বললেন...

এসিডে দেহ কম মুখ পুড়েছে। পুরো মুখ তুলোয় ডোবানো, স্পষ্ট করে লক্ষ করুন চোখে স্পষ্ট দেখতে পান তো? দীর্ঘদিন রাত রক্তাক্ত পুড়ন দহনে... এমনও বোধ হতো বিরামহীনভাবে আমি শ্মশানের জ্বলন্ত কাঠে মুখ পেতে রেখেছি। কখনো আর্তনাদ কম্পন গোঙ্গানি করতে করতে আজ প্রায় এক মাসের কাছাকাছি, গণপিটুনির চোর হয়ে গেছি... বাড়ি খেতে খেতে আঘাত আর গা, আত্মা স্পর্শ করছে না।

একজোড়া চাহনি থেকে বিচ্যুত হয়েছিলাম... হু হু কষ্টে জটাজল বোনা ঘূর্ণি ঢেউয়ে পাক খেয়েছি কত... কষ্টের সাধ্য আমাকে কষ্ট দেয়?

তবে তলানির ধেই ধেই কান্না... ওই চোখ আমার মুখ দেখত কী গভীর প্রগাঢ় তার মুহুর্মুহু বদলের রোমান্টিকতায় কাঁপতে কাঁপতে আমি উপমা খুঁজে পেতাম না পেইন্টিংয়ে কোন ভাষায় তাকে মূর্ত করা যায়...।

সেই মুখটা পুড়িয়ে দিল?

কলাভবন পেরিয়ে কোন সে ঘোরে পাক খেতে খেতে অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর্যের সামনে এসেই যখন ছলকে উঠত ঢেউ... জানেন, আমার বাবা সংসার উদাসীন মানুষ, মা সংসারে হিমশিম... দাদার স্নেহে শৈশব কেটেছে। সেই দাদা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, গেরিলা যুদ্ধে যখন তিনি লড়ছেন একদিন তার পরম আত্মার একমাত্র ছোটবোনকে রাজাকাররা টেনে নিয়ে গিয়ে...।

সমুদ্রের রঙ যে আক্ষরিক অর্থেই নীল তা কখনো দেখেছ?

স্তম্ভিত কিছুক্ষণ দাদা যুদ্ধ তার বোন... ওসব ময়দান থেকে চ্যুত হয়ে একটু থেমে বললাম, সমুদ্র তো নীলই...।

দূর থেকে যেমন আকাশ তিনি বলেন, আক্ষরিক অর্থে তাহলে তোমাকে সেন্টমার্টিনের সমুদ্রে নিয়ে যাব।

তীব্র শীতেও তার গায়ের কোট থেকে বেরিয়ে আসা ঘ্রাণে তার হাতের সঙ্গে হাত স্পর্শে বিদ্যুতারোমাঞ্চে কাঁপতে কাঁপতে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি নিয়ে যাবেন? আপনার চারপাশের মানুষ সমাজ...

সে তো তোমার ভয়ই বেশি হওয়ার কথা। ভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারে আমি পাঁচ বছর ধরে রাজা, কত ছেলেমেয়ের সাথে মিশি, মিশতে হয়। সুযোগ পেয়েও ডাক্তারি না পড়ে কবি হতে ঢাকা এসেছিলাম। কবিদের সাথে কত হুজ্জোত, বাংলা মদের আড্ডায় গড়াগড়ি, মোহগ্রস্ত দিন কাটছিল জানো, যত অপেক্ষা করতাম বইমেলার জন্য, মেলা শেষে তেতো পীড়ন নিয়ে ফিরতাম। যেন শকুন মৃত গরুর অপেক্ষা কাকে খপ করে ডেকে বলা যায়, বইটা কেন, ক্রমশ বিমর্ষ হতে থাকল তার কণ্ঠ, অবচেতনে কখন যে পলিটিক্সের রাজ্যময় জগতে প্রবেশ করছি তখন...।

ক্রমশ জড়তা কাটিয়ে যখন এক বক্তৃতায় ভূমণ্ডল কাঁপিয়ে দিলাম মনে হলো কবিতা লিখে সারা জীবন ফকিন্নিগিরি করতে হবে। না না আমার দ্বারা হবে না।

এই অপ্রিয় সত্যের উচ্চারণে আমি যখন হৃদয়ের সাঁকোর স্বপ্নভঙ্গের শব্দে নেতিয়ে পড়েছি...এই লোকটাকে? যে পাঁচ বছর একই ক্লাসে পড়ে পড়ে পলিটিক্স করে দুই হাতে টাকা উড়িয়ে নিজেকে রাজা ভাবে... আমি এর প্রেমে এত...?

তখনই আমার দিকে ফিরে তার সেই চাউনি, সেই কাঁপন কেন, সেন্টমার্টিন যেতে এখন তোমার ভয় হচ্ছে? আমি মনে করিয়ে দেওয়ার পর? আমার নিঃসাড় দেহের ভেতর কেবল তরঙ্গ ফেলে আসা কংস নদীর ঢেউ, ব্রহ্মপুত্র, কাশফুল, প্রতি ঋতুর বদল, গ্রীষ্ম অরেঞ্জ, বর্ষা, ক্যানভাসে নর-নারীর নানা ভঙ্গির বিবর্তন, শরৎ সিলভার হেমন্ত আসন্ন শীতের মিহি কান্নার অনিন্দ্য কীর্তনের ঘ্রাণ...শীত কব্জায়ও কামুক বসন্ত প্রায় ফুল পল্লবহীন, বাতাসে অনেক পাখির সুরেলা কণ্ঠ, অস্ফুটে বলি, আপনার স্ত্রী?

যেন ফণা তোলা জোঁকের মুখে নুন ফেলেছি।

তিনি চুপসে গেলেন।

রাত-দিনময় কী দুঃসহ ঈর্ষার ছটফটানি। জ্যান্ত পুড়ে পরান খাক হয়। শয্যা নয়, অকূল দরিয়ায় ভাসি আর ডুবি-তার স্ত্রী, কোন সে নারী অপ্সরা? যে কারও উদ্ধত মাথা মুহূর্তে নত করে দেয়, উজ্জ্বল মুখ করে দেয় অনুজ্জ্বল, ফ্যাকাশে? তাঁর চোখ কি ওই নারীর দিকেও একই রকম? না না দুঃসহ অস্বীকার সঙ্গে দাঁড়ায়, অনেক অনিন্দ্য সুন্দরীর সামনে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন তা অকপটে স্বীকার করেছেন। সন্তর্পণে লক্ষ করেও তার চোখে অন্য কারও জন্য তখন আমি ওই চাহনি দেখিনি। তার দেহমন শয্যায় তিনি সেই নারীকে দেন, যা আমরা পরস্পরকে দেই, নিই। তার সাথেই প্রথম শরীর প্রেম নয় আমার জীবনে, প্রেম একাধিকবার এসেছে। অন্তত এর আগে তিনবার মনে হয়েছে এটাই প্রথম প্রেম। এর মতো আগে কাউকে...এর বর্ণ ঘ্রাণ আলাদা। একমাত্র এতেই কাঁপন। ওদের সঙ্গে জড়াজড়ি চুম্বন পর্যন্ত গেছি। যার সঙ্গে শরীরে গেছিলাম, প্রথম রোমান্সের কম্পন সামলে তার সঙ্গে ভেসে গিয়েছিলাম। ওকে নিয়ে রঙে হাত ছুঁয়ে আমরা বলেছিলাম, এ জীবনে বিচ্ছিন্ন হব না। কখনো তার কথায় চাহনিতেও উদ্দাম, চলায় হাসি, সান্নিধ্যেই কঠিন মুগ্ধতা। একসময় যখন ক্রমশ সে আমার কাছেও ডাল-ভাত হয়ে গেল- নানা ছুতোয় তার এখুঁত-ওখুঁত, এদোষ-ওদোষ বের করে সম্পর্কটা সচেতনভাবে মোটামুটি তেতো করে কেটে পড়েছিলাম। পস্তিয়েছি কি? অপরাধী নিজেকে হয়েছে মনে?

কে দাঁড়ায় সেই অবস্থার সামনে, যে অবস্থায় নিজেকে দায়ী করে কষ্ট পাওয়ার গ্লানিতে ভোগার ঝুঁকিতে যেতে হয়?

অন্তত অত শুদ্ধ মন আমার নেই।

দাদা নামাজ পড়তেন পাঁচ ওয়াক্ত। কংস নদীর উদার হাওয়ার প্রভাবেই কী অনুদারতা আমাদের পরিবারকে ছোঁয়নি? সাত ভাইবোনের মাঝে ছেলে... ছেলে বলে মাথাব্যথা শুনিনি।

নর্মাল সালোয়ার ওড়নায়ই চলতাম, গ্রামে গেলেও দেখতাম বেশির ভাগ মেয়ে এসবই পরে। শৈশবে ময়মনসিংহে এলেও বছর বছর কংস নদীর গ্রামে, নিঃসঙ্গ দাদার কাছে না গিয়ে পারতাম না। দাদা বলতেন, সব ধর্মের সার কথা এক-কল্যাণ। সম্পূর্ণ নামাজ করে যে কোনো ধর্মের মানুষকে আঘাত করা... লোভ... ধর্মের উৎসবের নামে লোকদেখানো খরচ ইত্যাকার বহু কিছুতেই দোজখ বেহেশত নিহিত।

একবার কোনো দুর্লভ অনির্বচনীয় আলোর বৃত্তে কৈশোর যৌবনে দলবেঁধে পূজা দেখার ধূপ গন্ধময় লেগে থাকা ঢাকের শব্দ সত্তায় নিয়ে কম্পিত যৌবনে আমার বর্তমানের কাক্সিক্ষত দুর্লভ প্রেমিকের সঙ্গে ঘোরগ্রস্ত জলে হাত রেখে দেখি... উঠতি সূর্যের সিঁদুর রং এই তো আমার কংস... এই তো আমার প্রেম! চোখ পাগলের মতো খুঁজছিল ইজেল, রঙ, ... ক্যানভাস।

অস্ফুট কণ্ঠ ভেসে এলো, অন্যতমা।

ভাবলাম নদী দেখে বলছে... তাকালাম, সেই চাহনি আমার দিকে তাক করা।

না না আগে কোনো দিন শুনিনি। এই শব্দ এই প্রথম এই প্রথম... বহুবার আগে নানা শব্দে প্রতিশব্দে শুনলেও এই বোধে বুঁদ হয়েছি এইবার প্রথম শুনলাম। সত্য শুনলাম। নিজেকে এরপর থেকে উড়াল পরি, অনির্বচনীয়, সবচেয়ে উজ্জ্বলিত ভেবে কত কিছুকে যে তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন রাজকন্যার মতো নানা বাঁকে নিজেকে ঘুরিয়ে, উদ্দামে পথ চলেছি! নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি... আজও হাজার ক্ষতেও যা কিছুতেই বিলুপ্ত হয়নি। অন্যতমা! যেন হাজার জলের নিক্কন, যেন চৌরাসিয়ার সুর... বেহালা সেতার, যেন এই এক্ষণও রূপ মুছে বিষ হয়ে গেছি ভুলে সম্পূর্ণ, ওই শব্দে ওর চোখ আমার চোখের দিকে...ভাবলেই... জ্বরতপ্ত হয়ে গড়ায়িত দিনের পরত পেরোতে পেরোতে দেখি তার স্ত্রীকে একটা প্রদর্শনীতে নিয়ে এসে তিনি তাকে ছবি বোঝাচ্ছেন।

পথের আটকা পা নিয়ে ঈর্ষা আর বিস্ময়ে স্তম্বিত হয়ে দেখলাম, একটা ক্লীষ্ট মুখের জীর্ণ দেহের নারী তার পাশে বোকার মতো একটা বিমূর্ত পেইন্টিং দেখে বলছে, আমার ছেলে কাগজে রঙ লেপটালে যা হয়, এ তো তাই? কী আঁকছে এইটা? এইসব দেখতে আসো তুমি?

কী হলো জানি না... কোন দুঃসময়ের গ্রাসে পড়ে আমি জ্ঞানশূন্য হয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে প্রায় আর্তনাদের মতো বললাম, এই আপনার স্ত্রী? এর জন্য আপনি আমাকে আজকাল এড়িয়ে চলেন?

যেন ভূকম্পন হলো, বজ্রাহত তাঁর সামনে থেকে আমাকে সরিয়ে নিয়ে আমারই এক প্রণয়প্রার্থী চারুকলার জয়নুলের ভাস্কর্যের সামনে আমাকে দাঁড় করিয়ে বলল, তোমার সবসহ তোমাকে গ্রহণ করতে চাই।

বিয়ে করবে?

করব।

এরপরও আমার দুর্লভ প্রেমিককেই পাগলের মতো ফোন করেছি। ধরেন না। মোবাইল বদল করেন। সামনে পড়লে যেন মশা... এমন তাচ্ছিল্যে ফেলে দলের সঙ্গে হেঁটে যান। আমি মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকি।

২.

ক্ষীণাক্ষী মহিলাটি সেমাই এগিয়ে দিয়ে বলল, উনি কিছুক্ষণ পরেই আসবেন।

মুখের জ্বলুনি ঘাই দিয়ে ওঠে। পাশের বেডের এক রোগী দেখতে একাকী আমাকে নিঃস্ব অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে নানা কারণে পরিবার বিচ্ছিন্ন আমাকে নিয়ে আসে নিজের বাড়িতে। আমি দুরবস্থায় একাকী ছটফট করতে গিয়ে কিনারা পাই না ...আকুল দয়া কী করে এ নারীর হয়, প্রদর্শনীর পর শুনেছিলাম, সেদিন বাড়ি এসে আমার প্রেমিক রূপী তার স্বামীকে রোজ অশ্রাব্য গালিতে ক্ষতবিক্ষত করত এই নারী, সে আমাকে তারই বাড়িতে এনে আমার সেবায় লিপ্ত হয়ে সেই লোকেরই অপেক্ষায় থাকে, যে তার...? কী করে? মানুষ বড় বিচিত্র।

ঘরে ঢুকেই চোখে পড়েছিল সুসজ্জিত দুজনের যুগল হাস্যরত ছবিটির দিকে। বেডরুমের জানালার ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করছে ঘুপছি আবছায়া আঁধার... নারীর এই মনের এই সৌন্দর্যের কাছেই হয়তো মানুষটি বিপন্ন। এই বোধে পাক খেতে খেতেই স্তব্ধ ঘরে নারীর কণ্ঠ ঝন ঝন করে, তোমার স্বামীটা পশু, না হলে অমন সুন্দর মুখটাকে কে পশুর মতো? পশুরা কী কাউকে ‘তোমার সবসহ তোমাকে গ্রহণ’ বলে নিরন্তর বিক্ষত করতে থাকে নিজের স্ত্রীকে? সব জেনেছে বলে দফায় দফায় তারই নির্মম প্রকাশে কুলটা, বেশ্যা... ওকে এই শরীর দিয়েছিস? এই দেখ দেখ আবার আমি আবার তোর এঁটো শরীরে ঢুকছি-কোনো শিশুকে নদীর প্রলোভনে তার সামনে শাবল বানায় লিঙ্গকে-শিশুকে নদীর কাছে নিয়ে যাওয়া লোকটার মতো পশুর ক্ষোভ এই পর্যায়ে থাকে কখনো, ঠাণ্ডা মাথায় এসিড মেরে স্ত্রীর আর্তনাদ শুনে ঠা ঠা হেসে বলে, যা যা এই মুখ তুই লম্পটটাকে দেখা, দেখিস কেমন চোখে তাকায়! তারা ক্ষুধায় অন্য প্রাণীকে খায়, যা পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ খায়। সঙ্গমে সঙ্গীকে জাগাতে তার পাশে পাক খায়। গণরেপ করে তারা? সেই মহান পশুদের সঙ্গে এইসব মানুষের তুলনা? হতচকিত হয়ে বসি। সত্যিই তো লোকটা এসে তুলোতে ঢাকা একটা থেঁতলানো পোড়াগন্ধময় শরীরের ভেতরটা মুহূর্তে দেখে ভয়ে চোখ ঢেকে ফেলবে না?

এ জন্যই কি তার চতুরা স্ত্রীর এত মমতা বোধের উত্থান? আমি কাঁপতে কাঁপতে উঠে বসি। মহিলা বলে, ঈদের সেমাই খান।

আজ ঈদ? তাই তো ধেয়ে আসছে কোটি কোটি খাবারের ঘ্রাণ। সেই ঈদ যা মেয়র মুচিকে এক করে আন্তরিক কোলাকুলিতে লিপ্ত করতে পারে... দাদার কথা মনে পড়ে, যুদ্ধে ঈদ আসছিল, কে যে আনছিল সেমাই, খিদায় কাঁপতে কাঁপতে খাইতে যামু রাজাকাররা পেশাব কইরা দিল ওর ওপর।

এই মহিলা ভিন্ন ধাঁচের হলেও এও এক ধরনের রাজাকার। যেন ঝড়ের তাণ্ডবে পড়েছি... পালাতে চাই, ক্ষরণ পুড়ন সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়ে গ্রীবা উচ্চকিত করে বাঁ-দিকে তাকিয়েই নিথর হয়ে পড়ি। ফ্রেমে বাঁধা ছবিতে আমার নায়ক হুবহু সেই চোখে পোজ দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

মুহূর্ত বিভ্রমে তরঙ্গিত, কম্পিত দেহে শুনি স্ত্রীর কণ্ঠ... আমার তোলা, সুন্দর না?

কার তোলা বিষয় না... শুধু আমাকে দেখে যার চোখ এমন তরঙ্গিত হয়, কোন সে অনির্বচনীয় ফটোগ্রাফি পেইন্টিংয়ে তা ফ্রেমের পোজ হয়?

নিজেকে ক্রমশ হারাতে হারাতে আমার সব মুছে যেতে থাকে-সুন্দর, প্রেম, কষ্ট, পীড়ন হৃদয়টা আছে কি নেই অনুভবের বাইরে চলে যেতে থাকি-যেন অনন্তকাল পর শান্ত হয়ে আসি, অনুভব করি, আজ আমি নির্ভার হয়ে গেছি।

এখন আমি নিশ্চিত, আমার মুখের সমস্ত পর্দা খুলে বাড়িয়ে দেব তার সামনে।

 

এই বিভাগের আরও খবর
স্বর্গে দাঁড়ানো নরকের কাক
স্বর্গে দাঁড়ানো নরকের কাক
তোমাকে ভালোবাসার পর
তোমাকে ভালোবাসার পর
রোদ বেয়ে বৃষ্টি নামে
রোদ বেয়ে বৃষ্টি নামে
বৃষ্টিসূত্রে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা
বৃষ্টিসূত্রে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা
রক্তমাংসের ফুল
রক্তমাংসের ফুল
সাহিত্যের রাষ্ট্রবিরোধিতা
সাহিত্যের রাষ্ট্রবিরোধিতা
বেদনা সেলাই
বেদনা সেলাই
আমি নদী অথবা নদীই আমি
আমি নদী অথবা নদীই আমি
প্রত্যাশা
প্রত্যাশা
নীলকবুতর
নীলকবুতর
দহনের সন্তরণ
দহনের সন্তরণ
অপ্রাপ্তি স্বীকার
অপ্রাপ্তি স্বীকার
সর্বশেষ খবর
ইরান-ইসরায়েল : কার কত সামরিক শক্তি?
ইরান-ইসরায়েল : কার কত সামরিক শক্তি?

৪০ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে যারা রক্ষার চেষ্টা করবে তারা হবে পরবর্তী টার্গেট, ইরানের হুমকি
ইসরায়েলকে যারা রক্ষার চেষ্টা করবে তারা হবে পরবর্তী টার্গেট, ইরানের হুমকি

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলা চালিয়ে ‘আরেকটি রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে ইসরায়েল, নিন্দা চীনের
ইরানে হামলা চালিয়ে ‘আরেকটি রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে ইসরায়েল, নিন্দা চীনের

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শতরানের এক ইনিংসে ইতিহাসের পাতায় মার্করাম
শতরানের এক ইনিংসে ইতিহাসের পাতায় মার্করাম

২২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানে ইসরায়েলি হামলার কঠোর নিন্দা জানাল পাকিস্তান
ইরানে ইসরায়েলি হামলার কঠোর নিন্দা জানাল পাকিস্তান

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা

৩৭ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

মার্করাম-বাভুমার ব্যাটিং দৃঢ়তায় শিরোপার অনেক কাছে প্রোটিয়ারা
মার্করাম-বাভুমার ব্যাটিং দৃঢ়তায় শিরোপার অনেক কাছে প্রোটিয়ারা

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: সৌদি যুবরাজ ও ট্রাম্পের ফোনালাপ
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: সৌদি যুবরাজ ও ট্রাম্পের ফোনালাপ

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লেভানদোভস্কির সঙ্গে দ্বন্দ্বে পোল্যান্ড কোচের পদত্যাগ
লেভানদোভস্কির সঙ্গে দ্বন্দ্বে পোল্যান্ড কোচের পদত্যাগ

৪৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কতগুলো পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে ইরানের?
কতগুলো পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে ইরানের?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্দেশনা না মেনে সফরসঙ্গী উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন
নির্দেশনা না মেনে সফরসঙ্গী উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডনে ডরচেস্টার হোটেলের সামনে দেখা গেল সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে
লন্ডনে ডরচেস্টার হোটেলের সামনে দেখা গেল সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুন)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হজ করে দেশে ফিরলেন ১৬ হাজার ৪৬৯ হাজি
হজ করে দেশে ফিরলেন ১৬ হাজার ৪৬৯ হাজি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যথেষ্ট হয়েছে, এবার থামুন : জাতিসংঘ মহাসচিব
যথেষ্ট হয়েছে, এবার থামুন : জাতিসংঘ মহাসচিব

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত
ইরানি হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম যেভাবে সব নবীর ধর্ম
ইসলাম যেভাবে সব নবীর ধর্ম

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫৮ রানের ইনিংসে মিচেল স্টার্কের একাধিক বিশ্ব রেকর্ড
৫৮ রানের ইনিংসে মিচেল স্টার্কের একাধিক বিশ্ব রেকর্ড

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাচিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ
অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাচিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পদ্মা সেতুতে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত
পদ্মা সেতুতে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস
আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতি সীমিত: বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতি সীমিত: বলছেন বিশেষজ্ঞরা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান এখন পারমাণবিক বোমার পথে আরও দৃঢ় : বিশ্লেষকদের মতামত
ইরান এখন পারমাণবিক বোমার পথে আরও দৃঢ় : বিশ্লেষকদের মতামত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রও দায়ী : জাতিসংঘে ইরান
ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রও দায়ী : জাতিসংঘে ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপলো তেলআবিব : নিহত নারী, আহত অন্তত ৬৩
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপলো তেলআবিব : নিহত নারী, আহত অন্তত ৬৩

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
নিজেদের আকাশসীমায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিরোধ করছে জর্ডান
নিজেদের আকাশসীমায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিরোধ করছে জর্ডান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইরানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ’
‘ইরানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও পাইলট আটকের দাবি ইরানের
ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও পাইলট আটকের দাবি ইরানের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের
রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান— ইসরায়েলকে ইরানের জবাবের পথ কী?
ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান— ইসরায়েলকে ইরানের জবাবের পথ কী?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে যা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে যা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা, কড়া বার্তা সৌদি আরবের
ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা, কড়া বার্তা সৌদি আরবের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল রাশিয়া
ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল রাশিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপলো তেলআবিব : নিহত নারী, আহত অন্তত ৬৩
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপলো তেলআবিব : নিহত নারী, আহত অন্তত ৬৩

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৭০, শক্তিশালী জবাবের অঙ্গীকার ইরানের
ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৭০, শক্তিশালী জবাবের অঙ্গীকার ইরানের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতিসংঘকে দেওয়া চিঠিতে ইরান — ‘গভীর অনুতাপ করবে ইসরায়েল’
জাতিসংঘকে দেওয়া চিঠিতে ইরান — ‘গভীর অনুতাপ করবে ইসরায়েল’

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান এখন পারমাণবিক বোমার পথে আরও দৃঢ় : বিশ্লেষকদের মতামত
ইরান এখন পারমাণবিক বোমার পথে আরও দৃঢ় : বিশ্লেষকদের মতামত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে তৃতীয় দফায় মিসাইল হামলা ইরানের
ইসরায়েলে তৃতীয় দফায় মিসাইল হামলা ইরানের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরের পাশে জ্বলছে আগুন
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরের পাশে জ্বলছে আগুন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে গোপন ঘাঁটি গেড়েই হামলা চালায় মোসাদ
ইরানে গোপন ঘাঁটি গেড়েই হামলা চালায় মোসাদ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আত্মগোপনে নেতানিয়াহু!
আত্মগোপনে নেতানিয়াহু!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইহুদিবাদীদের বর্বরোচিত হামলার জবাব’
‘ইহুদিবাদীদের বর্বরোচিত হামলার জবাব’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত
ইরানি হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে নতুন করে হামলা চালাল ইসরায়েল
ইরানে নতুন করে হামলা চালাল ইসরায়েল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নরকের দরজা খুলে যাবে ইসরায়েলের জন্য’
‘নরকের দরজা খুলে যাবে ইসরায়েলের জন্য’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানকে চুক্তির আহ্বান ট্রাম্পের, নইলে আরও ‘ভয়াবহ হামলার’ হুঁশিয়ারি
ইরানকে চুক্তির আহ্বান ট্রাম্পের, নইলে আরও ‘ভয়াবহ হামলার’ হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলায় ২০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে ইসরায়েল
ইরানে হামলায় ২০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে ইসরায়েল

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তারেক রহমান
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তারেক রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পাঠানো সব ড্রোন ভূপাতিতের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের পাঠানো সব ড্রোন ভূপাতিতের দাবি ইসরায়েলের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে আকাশপথ বন্ধ , সৌদি আরবে ভ্রমণ সতর্কতা
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে আকাশপথ বন্ধ , সৌদি আরবে ভ্রমণ সতর্কতা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গল্পের শেষটা ইরানই করবে, ইসরায়েলকে তেহরানের হুঁশিয়ারি
গল্পের শেষটা ইরানই করবে, ইসরায়েলকে তেহরানের হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ৬ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত, দাবি রিপোর্টে
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ৬ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত, দাবি রিপোর্টে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
ইরানে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান
ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডনে সমঝোতা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট
লন্ডনে সমঝোতা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমান বিধ্বস্তে অনেক প্রশ্ন
বিমান বিধ্বস্তে অনেক প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর যুদ্ধের দামামা
ভয়ংকর যুদ্ধের দামামা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লন্ডনে কী কথা হলো খসরু খলিলের
লন্ডনে কী কথা হলো খসরু খলিলের

প্রথম পৃষ্ঠা

সমালোচনার মুখে টাকা ফেরত দিলেন শাকিব
সমালোচনার মুখে টাকা ফেরত দিলেন শাকিব

শোবিজ

টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর নাখোশ হামজা!
টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর নাখোশ হামজা!

মাঠে ময়দানে

নাজমুলদের এবার শ্রীলঙ্কা মিশন
নাজমুলদের এবার শ্রীলঙ্কা মিশন

মাঠে ময়দানে

এখন প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে দেশবাসী
এখন প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে দেশবাসী

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঙাশের দাম ৩৫ হাজার টাকা
পাঙাশের দাম ৩৫ হাজার টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

হনুমানের সঙ্গে সখ্য
হনুমানের সঙ্গে সখ্য

শনিবারের সকাল

সোনালি যুগের সিনেমা ‘এপার ওপার’ - সোমার প্রেমে সোহেল রানা
সোনালি যুগের সিনেমা ‘এপার ওপার’ - সোমার প্রেমে সোহেল রানা

শোবিজ

ধরা পড়ে মাত্র ১০ শতাংশ
ধরা পড়ে মাত্র ১০ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দাম কমেছে সবজি মুরগির মাছের বাজার চড়া
দাম কমেছে সবজি মুরগির মাছের বাজার চড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

ঈদে যে নাটকগুলো আলোচনায়
ঈদে যে নাটকগুলো আলোচনায়

শোবিজ

নৃশংস হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
নৃশংস হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর তৎপরতা এনসিপির
সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর তৎপরতা এনসিপির

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসলামপন্থিদের ঐক্য সময়ের দাবি
ইসলামপন্থিদের ঐক্য সময়ের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নীরবে নিভৃতে ক্লাব বিশ্বকাপ
নীরবে নিভৃতে ক্লাব বিশ্বকাপ

মাঠে ময়দানে

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ

মাঠে ময়দানে

যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও
যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যানেল আইতে মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস আজ
চ্যানেল আইতে মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস আজ

শোবিজ

দুই নেতা জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখালেন
দুই নেতা জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখালেন

প্রথম পৃষ্ঠা

কাজলের অপছন্দ
কাজলের অপছন্দ

শোবিজ

চ্যাম্পিয়ন হয়েও এলোমেলো মোহামেডান
চ্যাম্পিয়ন হয়েও এলোমেলো মোহামেডান

মাঠে ময়দানে

ক্ষমা চেয়ে কামব্যাকের আশা আল আমিনের
ক্ষমা চেয়ে কামব্যাকের আশা আল আমিনের

মাঠে ময়দানে

খুলে দেওয়া হলো রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি গ্রেপ্তার আরও ৬
খুলে দেওয়া হলো রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি গ্রেপ্তার আরও ৬

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বাগত অধিকাংশ দলের, ক্ষোভ প্রকাশ এনসিপির
স্বাগত অধিকাংশ দলের, ক্ষোভ প্রকাশ এনসিপির

প্রথম পৃষ্ঠা

করোনা সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের মাস্ক বিতরণ
করোনা সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের মাস্ক বিতরণ

নগর জীবন

করোনায় মারা গেলেন দুজন, শনাক্ত ১৫
করোনায় মারা গেলেন দুজন, শনাক্ত ১৫

প্রথম পৃষ্ঠা