শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫

গল্প

দুজনের সম্পর্ক যা

নাসরীন জাহান
প্রিন্ট ভার্সন
দুজনের সম্পর্ক যা

আকাশে রোদ উঠছিল কুয়াশার মতো দেখতে। অদ্ভুত এক ছায়া চারপাশে ডানা মেলছিল। রিনু বারান্দায় বসে চুল মেলে দিয়েছে রোদে। এই সকালে রোদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ভঙ্গিটা চমৎকার লাগে বলেই নাশতা খেয়ে না খেয়ে ছুটে আসে সেতু। বারান্দার এককোণে মোড়া নিয়ে চুপচাপ গল্প করার ছলে রিনুকে দেখে। রিনু রোদের ঠোঁটে চুলকে ছুঁইয়ে দিতে দিতে নাক কুঁচকে বলল, তুই রোজ এভাবে...

আমাকে তুই তুই করবে না। সেতু বলল, আমাদের সম্পর্কটা সেসবের ঊর্ধ্বে চলে গেছে।

রিনু বিষণœ হলো। তারপর রোদ থেকে একটু সরে এসে সেতুর মুখোমুখি বসল, কেমন আছ?

হেসে ফেলে সেতু, সম্বোধনটা শোনানোর জন্যই এই প্রশ্ন, না সত্যি সত্যি জানতে চাইছ?

সত্যি সত্যি, রিনু অনেক দূর থেকে বলল, আসলে তুমি কখন কেমন থাকো ইদানীং খুব জানতে ইচ্ছে হয়

আমার।

সেতু সহজ হয়ে বলল, তাই?

তাই না, রিনুও সহজ হয়, এমনিই বলার জন্য বললাম। সেতু রিনুর দিকে তীব্র চোখে দেখল। তারপর বলল, আমিও বলার জন্য একটা কথা বলি?

রোদটা তেতে উঠছে। রিনু মোড়া সরিয়ে বারান্দার ভেতরের দিকে চলে এলো। এতে সেতুর সঙ্গে তার বাহ্যিক দূরত্বটা কমে গেল। সে ইচ্ছে করলেই হাত সোজা না করেই সেতুকে ছুঁয়ে দিতে পারে। ইচ্ছেটা হলোও একবার। কিন্তু নিজেকে এক মুহূর্তের জন্য সামলে নিয়ে বলল, তোমার কোনো কথাই আপাতত ভালো লাগছে না আমার।

সেতু অপমানিত হলো। ওর নাক-মুখ লাল হওয়া দেখে রিনুর তা-ই মনে হলো। রিনুর ইচ্ছে হলো কথাটা ফিরিয়ে নেওয়ার। কিন্তু এক ধরনের আলস্য ওকে গ্রাস করল।

তাই সে চুপচাপ উঠোনের দিকে চেয়ে রইল। সেখানে কয়েকটা কাক একটা কিছু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠছে। রিনু রোদের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে একটা স্বপ্ন সৃষ্টি করতে চাইছিল, তখনই সেতুর গলা তাকে সচকিত করল, তুমি না শুনতে চাইলেও কথাটা আমাকে বলতেই হচ্ছে। আমি তোমার প্রতি আকর্ষণ ফিল করছি।

রিনু মিশ্র অনুভূতির ভেতর পড়ে গেল। ওর বুকের ভেতর দ্রুত শব্দ হতে থাকে। ঘোরের ভেতর থেকে সে বলল, সত্যি বলছ?

ততক্ষণে সেতু বারান্দার সিঁড়িতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তারপর একটু জোরেই বলল, এটাও আমার একটা কথার কথা, সেটা ভুলে যেও না।

রিনু ভাবল সেতুকে ডেকে বসায়। কিন্তু আলস্য কিংবা মিশ্র অনুভূতির ধাক্কায়ই হোক, সেতুকে ডাকা হলো না। সে দেখল সেতুর ছায়াটা উঠোন থেকে মিলিয়ে যাচ্ছে। ওর মনে হলো সেতুর সঙ্গে কিছু জরুরি কথা আছে। তবুও সেতুকে ডাকা হলো না। উঠোন থেকে সেতু হাওয়া হয়ে গেল।

বিছানায় চুপচাপ শুয়েছিল রিনু। জানালা দিয়ে বাতাস সোজা ঘরে ঢুকছে। বইয়ে অসংলগ্ন চোখ রেখে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছিল সে। রাতে খুব সম্ভবত কোনো নাজুক স্বপ্ন দেখেছে সে। অর্ধেক দৃষ্টি বইয়ে এবং বাকি অর্ধেকটাকে স্বপ্নের ভেতর ডুবিয়ে একটা মিশ্র অনুভূতির ভেতর পড়ে গেছে সে। স্বপ্নটা আবছাভাবে স্মৃতির শরীরে দাগ কাটছে আবার মিলিয়ে যাচ্ছে। রিনু বই রেখে স্বপ্নকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে উঠল।

পাহাড়ের কাছাকাছি কোথাও সবুজ কী লাল রোদ উঠেছিল। সেই পাহাড়ের শরীর বেয়ে একটা মানুষ কি দেবতা রিনুকে টেনে টেনে পাহাড়ে উঠাচ্ছিল। পাহাড়টাকে যত সুন্দর দেখাচ্ছিল তার শরীরে ততবেশি ক্ষতের চিহ্ন ছিল। তাই হোঁচট খেতে খেতে রিনুর মতে, খুব সম্ভবত সারা রাতই লেগে গিয়েছিল পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে। যা হোক ভোরের স্বপ্নে রিনুকে অনেক কষ্টে পাহাড়ের চূড়ায় উঠাল মানুষটা। তারপর রিনুর চোখের দিকে কয়েক মুহূর্তের জন্য তাকাল এবং এক ধাক্কায় সেই উঁচু পাহাড় থেকে নিচে ফেলে দিল।

স্বপ্নের মতোই স্বপ্ন বটে। রিনু অবাক হলো, এটা তার সারা দিন মনে হয়নি। সারা দিন তো তার কোনো ব্যস্ততায়ও কাটেনি। হাজব্যান্ড বিদেশে আছে, খরচ পাঠাচ্ছে-বাবার বাড়িতে ওর রাজকীয় ভঙ্গিতেই দিন কাটছে। এতে এমন একটা জটিল সুন্দর স্বপ্নের কথা ওর মনে আসেনি কেন? মা ওয়্যারড্রোবে কাপড় গুছিয়ে রাখছেন। রিনু মাকে দেখছে এবং তারপর মার ভেতর স্বপ্নের মানুষটার চেহারা মনে করতে চাইল। কিছুতেই মনে হচ্ছে না। রিনু মরিয়া হয়ে উঠল। তখনই সেতু এল। রিনু তার স্বপ্নে ফেরা অসম্ভব জটিল মানুষটাকে মনে করতে পারল।

মা বললেন, তোমার পরীক্ষা কবে?

একটু অপ্রস্তুত হয়ে হাসল সেতু। আগামী মাসে।

প্রিপারেশন কেমন? মা কাপড় গুছিয়ে রান্নাঘরের দিকে চললেন, যেন বলার জন্যই বলা। এর উত্তর দেওয়ার আর প্রয়োজন হলো না। মা রান্নাঘরে পা রেখেছেন। বুকের ভেতর অস্থিরতা টের পেল রিনু। ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জ্যাকেটটাকে ঘাড়ে ঝুলিয়ে ঘরে আলো জ্বালালো সেতু। তারপর বিছানায় রিনুর কাছাকাছি বসল।

আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি জানো... রিমু বলতে চাইল। সেতু চুপচাপ চেয়ে রইল রিনুর দিকে। রিনু থেমে গেল। না এমনিই। এসবের সঙ্গে পরিচিত সেতু। সে উঠে দাঁড়াল। তারপর টেবিলের ওপর রাখা ক্যাসেট নিয়ে নাড়াচাড়া করল কিছুক্ষণ। প্লেতে চাপ দিল। বন্যা জেগে উঠল। দেয়ালে ঠেস দিয়ে বিছানায় কাঁচুমাচু হয়ে বসে থাকে রিনু।

আসলে তোমাকে আমি প্রচ- একটা ধাক্কা দিতে চাইছি-রিনুর প্রশ্নবোধক চোখের সামনে বলতে থাকে সেতু, তার কারণ... সেতু জানালা দিয়ে সন্ধ্যার চলে যাওয়া দেখে। তারপর হেসে ফেলে, না কোনো কারণ নেই, এমনিই বললাম।

রিনুর একটা কিছু মনে হওয়ায় তোশকের নিচে থেকে একটা ইনভেলাপ বের করে সেতুর দিকে বাড়িয়ে দিল। সেতু একপলক ইনভেলাপের ওপর চোখ বুলিয়ে বলল, তোমাদের ব্যক্তিগত চিঠি আমাকে দেখাচ্ছ কেন।

ফেব্রুয়ারিতে আমার টিকিট আসছে।

রিনু উচ্ছল হলো, এটা খুব ভদ্র চিঠি তুমি পড়তে পারো ইচ্ছে করলে।

সেতুর মুখের দিকে তাকালে ওর প্রতিক্রিয়া কম বোঝা যায়। রিনু সেতুকে পড়াতে চাইল। সেতু চিঠিটা বিছানায় রেখে রিনুর দিকে সরাসরি তাকাল-আমার প্রতি তোমার কোনো ফিলিংস আছে?

রিনু হাসতে থাকল। অসম্ভব রেগে গেল সেতু-তুমি অসভ্যের মতো হাসবে না। আমার ভালো লাগছে না।

রিনু স্থির হলো। সেতু নিজেকে সামলে নিল, আই অ্যাম সরি! রিনু বিষণœ চোখে সেতুকে দেখল, অনেক দূর থেকে। তারপর বলল জানি না।

সেতু অস্থির হলো। রিনু পা গুটিয়ে চুপচাপ বসে রইল বিছানায়। তারপর সেতুর অস্থিরতায় চোখ রেখে ক্লান্ত কণ্ঠে বলল, তুমি আর এসো না। আর না।

পালাতে চাইছ? সেতুর চাউনি তেমনই তীব্র। রিনুর বুকের ভেতর শব্দটা ধাক্কা লাগল। রিনু অস্থিরভাবে বলল-তাই চাচ্ছি। কেননা আর পথ নেই।

সেতু স্থির হলো। তারপর রিনুর কাছাকাছি বিছানায় বসে বলল, তোমাকে ছুঁয়ে দিই?

রিনুর ঠোঁট কেঁপে ওঠে। তারপর প্রাণপণে নিজেকে সামলাতে গিয়েও হোঁচট খায়-না, মরে যাব।

লেকের জলে চোখ রেখে উদাস হয়ে যায় রিনু। সেতু রিনুর হাতে আঙুলের ডগা ছোঁয়ায়। রিনু স্পষ্টভাবে একটু কেঁপে ওঠে। রিনু লেকের জল দেখে। সেতু রিনুর উড়ো চুলে চোখ রাখে। তারপর চিবুকের গর্তে। সেতু চারপাশের মানুষজন থেকে অনেক দূর থেকে বলে, যমুনা, হাত ধরো, স্বর্গে যাব। রিনু ঠায় লেকের জলই দেখে। সেতু রিনুর হাতটা নিজের হাতে নিয়ে আলতো চাপ দেয়। রিনুর বুকে আনন্দ শংকরের মিউজিক বাজে। রিনু সেতুর চোখে চোখ রেখে বলে, আর কত কষ্ট দেবে? আর কত? সেতু হাসল। ওর হাসির ম্লান ভঙ্গিটা আবারও কাঁপাল রিনুকে। সেতু খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল, ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দাও সবকিছু...। সেতুর চোখ জ্বলে। হাসল রিনুও। তারপর সেতুর দিকে সরাসরি তাকাল-যে ভালোবাসায় একবিন্দু সুখ নেই কষ্ট ছাড়া, তাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়াই উচিত। হাত বাড়াও সেতু। আমি ফুঁ দেব আঙুলে। তোমার সমস্ত সত্তায়ও।

সেতু হাত বাড়াল। ফুঁ দিতে গিয়ে সেতুর চোখে চোখ রাখল রিনু। স্থির হয়ে গেল ওর সমস্ত অস্তিত্ব। তারপর হাত দিয়ে মুখ ঢাকল। রিনুকে ছুঁয়ে দিল সেতু। রিনুর চুলের গভীরে মুখ রাখল। রিনুর ঠোঁটে আঙুল ছুঁইয়ে রিনুর অনেক কাছাকাছি চলে গেল সে। রিনু ভাসতে ভাসতে শেষে মাটিতে এসে নামল। তারপর সেতুর দিকে তাকাল, তীব্র শীতেও ঘামছে যেন। সে রিনুর কাছ থেকে একটু দূরত্ব রেখে বসল। রিনু হাঁটুতে মুখ গুঁজে আছে। ওর বুকের ভেতর সমুদ্রের শব্দ। রিনুর চোখ জ্বলছে। একসময় তা ভিজে আসে। সেতু অস্থির হয়। সে দাঁড়ায়। তারপর রিনুর পাশের চেয়ারে গিয়ে বসে তীব্র কণ্ঠে বলে, আমি তোমাকে ভালোবাসি রিনু।

আমি তোমার চেয়ে বয়সে বড় সেতু। রিনু সেতুর দিকে তাকাল। সেতু ঘাড় নাড়ল-ওটা পুরোনো কথা।

আমার হাজব্যান্ড কদিন পর বিলেত থেকে ফিরছে-রিনু দাঁত দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরল।

সেতু বলল, আমি জানি।

রিনু উত্তেজিতভাবে সেতুর হাত চেপে ধরল, এত জানো তুমি এরপরও এদ্দূর এলে কেন?

আমি একা আসিনি-সেতু বিষণœ কণ্ঠে বলল।

রিনু নিজেকে সামলে নিল দ্রুত। তারপর সেতুর হাতে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল, আসলে সব দোষ আমার নিঃসঙ্গতার। কখনো আমরা আমাদের মধ্যকার উঁচু দেয়ালগুলো ডিঙাতে পারব না। আত্মদহন আর কাকে বলে। রিনু হাসতে থাকে।

মা বাসায় নেই। ছোট বোনটা বাইরে খেলছে। বড় ভাই কোথাও আড্ডা দিচ্ছে। নির্জন বাড়িতে সেতুর উপস্থিতি রিনুকে একটা কষ্টকর অনুভূতিতে ফেলল। এই কষ্টটা নিতে যেমন কষ্ট হচ্ছে তেমন ভালোও লাগছে। রিনু ঠিক বুঝতে পারছে না এর পক্ষে না বিপক্ষে যাবে। বয়স এবং সামাজিক বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে কী করে সেতু ওর এত কাছে এল? ওর নিজের ভেতরই কি প্রশ্রয় ছিল না? শূন্যতাও ছিল কি? রিনু ওর হাজব্যান্ডের চেহারাটা বুকের কাছে নিয়ে এল। কিছু বুঝতে না পেরে সে সেতুর দিকে তাকাল। সেতুর দৃষ্টি বাইরে। রিনু বলল, কাল তুমি ভার্সিটিতে যাবে না?

সেতু রিনুর দিকে পলকহীন তাকাল, তারপর বলল, যাব।

ক্লাস ঠিকমতো করো তো? অনার্সে এসে আমার মতো লাড্ডু মারবে না তো? সহজ হয়ে বসল রিনু।

সেতু দাঁড়াল। তারপর দরজার কাছে গিয়ে বলল, দেশের বাইরে চলে যাব এবং কোনোদিনই ফিরব না, লাড্ডু মারলেই কী?

শোনো, রিনু তাকালো সেতুর দিকে, এভাবে কথা বলবে না কখনো, এসে বসো।

সেতু বলল, কী বলবে বলো, দাঁড়ালেও আমার কান খোলা থাকে।

গোঁয়ার্তুমি ছাড়ো, রিনু স্থির কণ্ঠে বলল, ছবি আঁকাও ছেড়ে দিয়েছ মনে হয়? প্রেমে পড়ে এমনভাবে মরে

যাওয়া তোমাকে মানায় না।

সেতু হাসে। হাসতেই থাকে, ভালোই জানো দেখছি। মরে যাচ্ছি। নিজের সম্পর্কে শিওর হও, আমার ব্যাপারে তোমার অতটা ধারণা না থাকাই ভালো। আর আমি আবার ছবি আঁকা ধরব কোন শর্তে সেটা নিশ্চয়ই নতুন করে বলতে হবে না তোমাকে। কেঁপে ওঠে রিনু। সেতু এসে বসেছে। রিনু ঠোঁট কামড়ে ধরে বলল, তুমি বললেই আমি নির্লজ্জের মতো আমার পুরো শরীর তোমাকে দেখাব-তুমি এতটা আশা করো কী করে?

নির্লজ্জের মতো? সেতু তীব্র কণ্ঠে বলল, তুমি আমাকে চিনতে ভুল করেছ রিনু। শরীরটা আমার কাছে শুধুই শিল্প। এটাতে লজ্জা, নির্লজ্জতার প্রশ্নই আসে না। তুমি আমাকে অতটা ভুল বুঝবে জানলে... আমি যাচ্ছি।

রিনু ক্লান্ত কণ্ঠে বলল, তোমার আকুলতা হিমালয় হোক সেতু।

রিনুর টিকিট আসার দিন ঘনিয়ে আসছে। তার ভেতরটা ক্রমশ তীব্র অস্থিরতায় ভরে যায়। রিনুর প্রথম প্রেম সেতু। বিয়ের আগেও এমন একটা বন্দিত্বের ভেতর জীবন কাটিয়েছে যেখানে ইচ্ছে থাকলেও কাউকে ভালোবাসার কথা ভাবতে পারেনি সে। ভাইজান স্কুল থেকে শুরু করে কলেজজীবনেও ওকে রোজ কলেজে পৌঁছে দিত, নিয়ে আসত। বন্ধুদের সঙ্গে কখনোই কোনো সিনেমা বা অনুষ্ঠানে একাকী যাওয়ার স্বাধীনতা পায়নি সে। বিয়ের পর হাজব্যান্ডকে ভালো করে চেনা-জানার আগেই সে বাইরে চলে যায় এবং তার সঙ্গে একটা হাওয়াই সম্পর্ক চলাকালীনই সেতু এদের পাড়ায় ভাড়াটে হয়ে এসে ওর বুকের ভেতরটা তছনছ করে দিল। রিনু বাথরুমে যায়। বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখে ওর বুক ঠেলে একটা কান্না বেরিয়ে আসতে চায়। চোখ জ্বালা করে। চোখে পানি দেওয়ার সময়ই ওর বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল। সেতু এসেছে। ও এলেই রিনুর ভেতরে একটা কবুতর লাফায়। রিনু দেখল ভাইজানের সঙ্গে গল্প করছে সেতু। ভাইজান রিনুর দিকে চেয়ে বলল, ইস তুই চলে গেলে খুব খারাপ লাগবে।

সেতু কিছুই না বলে একটা বই উল্টাতে থাকে। রিনু পাশের রুমে যায়। মা কাপড় সেলাই করছেন। রিনু রান্নাঘরে যায়। কাজের বেটি মসলা বাটছে। রিনু বারান্দায় আসে। ছোট বোনটা কুতকুত খেলার দাগ কাটছে বারান্দায়। রিনু মাকে ডিঙিয়ে আবার ড্রয়িংরুমে যায়। ভাইজান বেরিয়ে গেছে। সেতুর চোখ বইয়ে। রিনু ক্যাসেটের প্লেতে চাপ দিল, নুসরাত ফতেহ আলী জেগে উঠল। সেতু রিনুর চোখে চোখ রাখল, আজ আমার বাসায় কেউ নেই, তুমি এসো। আকুলতা হিমালয়... বলতে চাইল রিনু। হিমালয় ছাড়িয়ে সেটা আকাশ ছুঁয়েছে রিনু, প্রায় চিৎকারের ভঙ্গিতে বলল সেতু। আমি তোমাকে আবিষ্কার করব। বিশ্বাস করো আমার দৃষ্টিতে একবিন্দু কাম থাকবে না। রিনু ঠান্ডা চোখে সেতুকে বলল, চলো।

সেতু কাঁপছে। চোখ বুজে শুয়ে আছে রিনু। ওর পা থেকে মাথা পর্যন্ত উদোম শরীরে সেতুর দৃষ্টি ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। রিনুর ঠোঁট কাঁপছে। সেতু ঘনঘন শ্বাস নিচ্ছে। তারপর সে নতজানু হয়ে বলল, তুমি আমার ভাগ্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছ ঈশ্বরের মতো। তুমি এত সুন্দর রিনু। রিনু যেন জমে আছে। সেতুর কোনো কথাই তার মনে গেল না। সেতু চোখ বুজে প্রচ- শক্তিতে নিজেকে ফেরাল, তারপর পাশের রুমে চলে গেল।

রিনু স্বাভাবিক হয়ে ফিরে এল সেতুর কাছে। তারপর মুখ ঢেকে কাঁদতে লাগল। সেতু রিনুর হাত ছুঁয়ে বলল, পৃথিবীতে এত সুন্দর শিল্প থাকতে আমি শুধু শুধুই বনে বনে ঘুরি শিল্পের সন্ধানে। রিনু তুমি আসলেই... তুমি...।

ক্লান্ত অবসন্ন দেহে সেতু বারান্দায় পা রাখল। রিনু ড্রয়িংরুমে বসে দেখল সেতুর হাতে বড় একটা ক্যানভাস। সেতু আলতো পায়ে এগিয়ে এল ড্রয়িংরুমের দিকে। রিনু স্থির কণ্ঠে বলল, আমি কালই যাচ্ছি।

আমি জানি, সেতু বলল। রিনু সেতুর দিকে তাকিয়ে থাকে। সেতু সোফায় বসতে বসতে বলল, তোমার চোখ খুব সুন্দর। রিনু স্থির বসে থাকে। ক্যানভাসটা রিনুর সামনে মেলে ধরে সেতু। একটা ঘন সবুজ বন এবং সেই সবুজের ভেতর একটা সাদা উদোম শরীর মিশে আছে। মেয়েটার হাত চাঁদের শরীর ছুঁতে চাইছে। চোখ বুজল রিনু।

আমার হাজব্যান্ডকে নতুন করে জানব আমি রিনু ঠোঁট কামড়ে বলল, ওর বুকের প্রতিটি শব্দ নিয়ে ওকে ভালোবাসতে চেষ্টা করব।

সেতু তুমি...।

সেতু ক্যানভাসটা রিনুর হাতে দিল। তারপর ক্লান্ত কণ্ঠে বলল, তাই করো। আজ থেকে আমি তোমার অস্তিত্বের বাইরে চলে যাব। তোমাকে আর ছুঁতেও আসব না কোনোকালে।

তুমি এয়ারপোর্টে যাবে না? রিনুর আকুল কণ্ঠ।

ওই সৌজন্যতার ভয়েই তো পালাচ্ছি। তুমি যা দিয়েছ তার ভার নিয়ে আজই আমাকে যেতে দাও। রিনু বলল, তবে সমস্ত স্মৃতির মুখে ফুঁ দেই? তুমিও ফুঁ দিয়ে ভাসিয়ে দাও সব সম্পর্কের অস্তিত্ব। রিনুর দিকে তীব্র চোখে তাকাল সেতু, তারপর বলল, এত সহজেই ভাসিয়ে দেওয়া যায় মনে করো, তবে আগে তুমিই ফুঁ দাও।

রিনু চোখ বুজে সেতুর হাত টেনে নিল ঠোঁটে। চোখ ভিজে এল। সে ঠোঁট দুটো জড়ো করল-ফুঁ। সেতু রিনুর ঠোঁটের বাতাস হাতে পেয়ে সচেতন হলো। সে বিস্ময়ভরা চোখে রিনুর দিকে তাকাল। রিনু সেতুর হাত চেপে ধরল। তুমি ফুঁ দিলে না? সেতু হাত ছাড়িয়ে দরজায় গিয়ে দাঁড়াল। রিনু প্রায় চিৎকার করে উঠল। সেতু আমি হেরে গেছি সেতু, প্লিজ...।

সেতু বারান্দার বাইরে পা রাখল। রিনু দাঁড়াতে চাইল। কিন্তু অনুভব করল ওর শরীর জমে আসছে। রিনু সেতুর ক্যানভাসে চোখ রাখল, একটা সবুজ বন, উদোম নারীর এবং একটা হাত যে চাঁদের শরীর ছুঁতে চাচ্ছে। রিনু পরাজয় অথবা স্থির অনুভূতির কষ্টে হু হু কান্নায় ভেঙে পড়ল। ততক্ষণে সেতুর নীল জ্যাকেটের ছায়া উঠোনের বাঁকে মিলিয়ে গেছে।

♦ লেখা পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা 

[email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
তপ্ত রৌদ্রময়
তপ্ত রৌদ্রময়
নাকে যার নথ নেই
নাকে যার নথ নেই
পলিকন্যা
পলিকন্যা
সময়
সময়
নীরার উৎসব
নীরার উৎসব
রাজশাহীর সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার
রাজশাহীর সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার
স্বর্গে দাঁড়ানো নরকের কাক
স্বর্গে দাঁড়ানো নরকের কাক
তোমাকে ভালোবাসার পর
তোমাকে ভালোবাসার পর
রোদ বেয়ে বৃষ্টি নামে
রোদ বেয়ে বৃষ্টি নামে
বৃষ্টিসূত্রে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা
বৃষ্টিসূত্রে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা
রক্তমাংসের ফুল
রক্তমাংসের ফুল
সর্বশেষ খবর
‘সিচুয়েশন রুমে’ ট্রাম্পসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা
‘সিচুয়েশন রুমে’ ট্রাম্পসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাহরাইনে সাইরেন বাজিয়ে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ
বাহরাইনে সাইরেন বাজিয়ে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার-আমিরাতের পর আকাশসীমা বন্ধ করলো কুয়েত
কাতার-আমিরাতের পর আকাশসীমা বন্ধ করলো কুয়েত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উখিয়ায় ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় গুলিতে একজন নিহত
উখিয়ায় ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় গুলিতে একজন নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুষ্টিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে বিলুপ্তপ্রায় ৬৭ কচ্ছপ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে বিলুপ্তপ্রায় ৬৭ কচ্ছপ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হামলায় কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ইরান
হামলায় কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোদিন ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা শেখাচ্ছে কীভাবে ভোট হবে: রনি
কোনোদিন ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা শেখাচ্ছে কীভাবে ভোট হবে: রনি

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঝুঁকিতে পোশাকশিল্প
ঝুঁকিতে পোশাকশিল্প

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অর্থনৈতিক সংকট বাড়বে আগামী বছর
অর্থনৈতিক সংকট বাড়বে আগামী বছর

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কাতারে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের হামলার নিন্দা আমিরাতের
কাতারে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের হামলার নিন্দা আমিরাতের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল কাতার
ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল কাতার

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে আছে ৮ হাজার মার্কিন সেনা
কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে আছে ৮ হাজার মার্কিন সেনা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি ১৩ হাজার টাকায়
আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি ১৩ হাজার টাকায়

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী আয়েশা গ্রেফতার
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী আয়েশা গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে যা জানা গেল
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে যা জানা গেল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে বিস্ফোরণ, বন্ধ আকাশপথ
কাতারে বিস্ফোরণ, বন্ধ আকাশপথ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রংপুর মেডিকেলে টিটেনাস আতঙ্ক, সাময়িক বন্ধ আইসিইউ সেবা
রংপুর মেডিকেলে টিটেনাস আতঙ্ক, সাময়িক বন্ধ আইসিইউ সেবা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুষ্টিয়ায় ৬৭ বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করল র‌্যাব
কুষ্টিয়ায় ৬৭ বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করল র‌্যাব

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিনে আলোচনা-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিনে আলোচনা-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা দুর্বল দেখতে চাই না : সারজিস আলম
অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা দুর্বল দেখতে চাই না : সারজিস আলম

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিখোঁজের চার দিন পর তরুণীর লাশ উদ্ধার, পরিচয় মিলল
নিখোঁজের চার দিন পর তরুণীর লাশ উদ্ধার, পরিচয় মিলল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে কি হবে?
ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে কি হবে?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুয়াকাটায় জীবনমান উন্নয়নে জেলে পরিবারে বিশেষ প্রকল্প
কুয়াকাটায় জীবনমান উন্নয়নে জেলে পরিবারে বিশেষ প্রকল্প

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাকৃবিতে আমের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ
গাকৃবিতে আমের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পন্তের অনন্য রেকর্ড
দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পন্তের অনন্য রেকর্ড

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে দেশ : আমীর খসরু
লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে দেশ : আমীর খসরু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেড় মাস পর প্রকৃতিতে ফিরল জোড়া টিয়া
দেড় মাস পর প্রকৃতিতে ফিরল জোড়া টিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল
বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র
হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে ধেয়ে আসছে মিসাইলের বহর, ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা
ইরান থেকে ধেয়ে আসছে মিসাইলের বহর, ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব
ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আকাশ প্রতিরক্ষায় ইরানের ভরাডুবি: রাশিয়ার যে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার খেসারত
আকাশ প্রতিরক্ষায় ইরানের ভরাডুবি: রাশিয়ার যে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার খেসারত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে যা জানা গেল
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে যা জানা গেল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল পাকিস্তানের পিছু নিলে তখন আর কেউ অবশিষ্ট থাকবে না: বিলাওয়াল
ইসরায়েল পাকিস্তানের পিছু নিলে তখন আর কেউ অবশিষ্ট থাকবে না: বিলাওয়াল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ শেষ করতে ইরানের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
যুদ্ধ শেষ করতে ইরানের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান কোথায় পাল্টা আঘাত হানতে পারে?
ইরান কোথায় পাল্টা আঘাত হানতে পারে?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প
ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র  হামলা
সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প
মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা
তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, দুটি তেলবাহী জাহাজের ইউটার্ন
হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, দুটি তেলবাহী জাহাজের ইউটার্ন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুকে ‘হাঁটু গেড়ে না বসানো’ পর্যন্ত হামলা চলবে: ইরান
নেতানিয়াহুকে ‘হাঁটু গেড়ে না বসানো’ পর্যন্ত হামলা চলবে: ইরান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে হামলায় আরেকটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল ইরান
ইসরায়েলে হামলায় আরেকটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল ইরান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর হবু পুত্রবধূর তথ্য ইরানে পাচারকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল
নেতানিয়াহুর হবু পুত্রবধূর তথ্য ইরানে পাচারকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইরানি জনগণের পাশে রাশিয়া থাকবে’, পুতিনের ঘোষণা
‘ইরানি জনগণের পাশে রাশিয়া থাকবে’, পুতিনের ঘোষণা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে মর্টার হামলা
সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে মর্টার হামলা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’
‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির
চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!
উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান এখন কি করবে?
ইরান এখন কি করবে?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলা, ৩৫ মিনিট বাজল সাইরেন
ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলা, ৩৫ মিনিট বাজল সাইরেন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহযোগিতার বদলে বোমা হামলা পেল ইরান'
'পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহযোগিতার বদলে বোমা হামলা পেল ইরান'

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে বিস্ফোরণ, বন্ধ আকাশপথ
কাতারে বিস্ফোরণ, বন্ধ আকাশপথ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে ‘পানিতে গুঁড়া হলুদ মেশানো’র ট্রেন্ডের শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়
যেভাবে ‘পানিতে গুঁড়া হলুদ মেশানো’র ট্রেন্ডের শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়

১৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

হামলায় কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ইরান
হামলায় কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
হাসিনা পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ
হাসিনা পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যত বাধা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যত বাধা

খবর

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সুরক্ষা অ্যাপের নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সুরক্ষা অ্যাপের নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

পেছনের পৃষ্ঠা

হরমুজ প্রণালি নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা
হরমুজ প্রণালি নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমানত নিয়ে উৎকণ্ঠায় বিনিয়োগকারীরা
আমানত নিয়ে উৎকণ্ঠায় বিনিয়োগকারীরা

শিল্প বাণিজ্য

বিপুর দুই গডফাদার জয় ও ববি
বিপুর দুই গডফাদার জয় ও ববি

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদের অনুমোদন বাতিল চায় বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদের অনুমোদন বাতিল চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

পেছনের পৃষ্ঠা

মুক্তা চাষে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
মুক্তা চাষে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি

পেছনের পৃষ্ঠা

মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা
মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা কাটছে না সচিবালয়ে
অচলাবস্থা কাটছে না সচিবালয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

বেপরোয়া মব সন্ত্রাসে উৎকণ্ঠা
বেপরোয়া মব সন্ত্রাসে উৎকণ্ঠা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের
ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের

নগর জীবন

ভারতে বিধানসভা উপনির্বাচনে নাটকীয় ফল
ভারতে বিধানসভা উপনির্বাচনে নাটকীয় ফল

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিম মুনিরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক মার্কিন দূতের
আসিম মুনিরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক মার্কিন দূতের

পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ
ইরানে হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

নিত্যপণ্যের দাম জানা যাবে মোবাইলে
নিত্যপণ্যের দাম জানা যাবে মোবাইলে

পেছনের পৃষ্ঠা

এয়ার ইন্ডিয়ার লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি
এয়ার ইন্ডিয়ার লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি

পূর্ব-পশ্চিম

সন্ত্রাসী-সেনাবাহিনী গোলাগুলি, নিহত ১
সন্ত্রাসী-সেনাবাহিনী গোলাগুলি, নিহত ১

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্যায়ের প্রতিবাদ না করার শাস্তি
অন্যায়ের প্রতিবাদ না করার শাস্তি

সম্পাদকীয়

এমন আবহাওয়া ২০ বছর দেখেনি রাজশাহী
এমন আবহাওয়া ২০ বছর দেখেনি রাজশাহী

নগর জীবন

ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা
ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা

স্বাস্থ্য

হার্ট ব্লকের উপসর্গ কী?
হার্ট ব্লকের উপসর্গ কী?

স্বাস্থ্য

কারমাইকেল কলেজ শাটডাউন
কারমাইকেল কলেজ শাটডাউন

নগর জীবন

কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে মিষ্টি কুমড়া
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে মিষ্টি কুমড়া

স্বাস্থ্য

টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট নিয়ে নতুন নিয়ম
টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট নিয়ে নতুন নিয়ম

নগর জীবন

করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু
করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু রোগীরা কী খাবেন
ডেঙ্গু রোগীরা কী খাবেন

স্বাস্থ্য

ইরানের জনগণকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রাশিয়া : পুতিন
ইরানের জনগণকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রাশিয়া : পুতিন

পূর্ব-পশ্চিম

যারা ভোটাধিকার হরণে সহায়তা করেছে, তাদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে
যারা ভোটাধিকার হরণে সহায়তা করেছে, তাদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে

নগর জীবন