শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫

রাজশাহীর সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার

ড. তসিকুল ইসলাম
প্রিন্ট ভার্সন
রাজশাহীর সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার

শিক্ষানগরী নামে খ্যাত রাজশাহী জেলার সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে ইতিহাসের পাতায় আশ্রয় খুঁজে পেতে হয়। সেই দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগালে অনুভব করা সহজ হবে যে আজকের রাজশাহীর ভৌগোলিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক জীবনচর্চার ক্ষেত্র সীমিত। কিন্তু প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ, আধুনিক যুগ তথা ইংরেজ আমল, পাকিস্তান কাল এবং বর্তমান বাংলাদেশের পটভূমিকায় বারেন্দ্রীয় ঐতিহ্যলালিত শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহীর প্রসিদ্ধি সর্বজনবিদিত।

রাজশাহী শহরের উপকণ্ঠে সিন্দুরী কুসুমী গ্রামের মাসুদ ১৭০৫ খ্রিস্টাব্দে ‘যোগীর পুথি’ কাব্য রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। উল্লেখ্য, তিনি বিখ্যাত কবি ভারতচন্দ্রেরও (১৭১২-১৭৬০) পূর্বসূরি ছিলেন। এ ছাড়া গিরিশচন্দ্র লাহিড়ী ‘মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবনী’ রচনা করে প্রশংসা অর্জন করেন। তিনি পুঠিয়ার অধিবাসী ছিলেন। মির্জা মুহম্মদ ইউসুফ আলী (১৮৫৮-১৯৩০) সমাজ সংস্কারক ও ধর্মীয় পুস্তক রচনা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ইসলামতত্ত্ব’, ‘দুগ্ধসরোবর’ এবং বিখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজ্জালির ‘কিমিয়া সা’আদাত’-এর বঙ্গানুবাদ ‘সৌভাগ্যের স্পর্শমণি’। কান্তকবি রজনীকান্ত সেনের (১৮৬৫-১৯২৪) সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও ছাত্রজীবন-কর্মজীবন রাজশাহী শহরেই অতিবাহিত করেন। তিনি ‘বাণী’, ‘কল্যাণী’, ‘আনন্দময়ী’, ‘অভয়া’, ‘বিশ্রাম’ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ ও গান রচনা করে যশস্বী হয়েছেন। ইতিহাসবিদ অক্ষয় কুমার মৈত্রর (১৮৭০-১৯৮৫) ‘মুঘল সাম্রাজ্যের পতন’ ও ‘আওরঙ্গজেব’ উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। বিনোদী বিহারী রায় (১২৬৯-১২৫২ বাংলা) রাজশাহী শহরের অধিবাসী। ‘পৃথিবীর পুরাতত্ত্ব’ তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। মহম্মদ মহসেন উল্লাহর ‘বুড়ীর সুতা’, কাজী জসিমউদ্দীনের ‘দীন ও দুনিয়া,’ হাজী কেয়ামতুল্লাহ খন্দকারের ‘৫০ খানা গজলগীতি’, মৌলভী শামসুদ্দীন আহমদের ‘Inscriptions of Bengal’ সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চার ইতিহাসে অনন্য বলা যেতে পারে।

 

দুই

বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগের অবদান গবেষণা ও অনুসন্ধানের ব্যাপার। বরেন্দ্র অঞ্চলকে ইদানীং কেউ কেউ বাংলা ভাষার আদি নীড় বলে দাবি করছেন। বৌদ্ধ, নাথধর্ম, বৈষ্ণব প্রভাব এবং পুথি সাধনায় প্রাচীন ও মধ্যযুগে রাজশাহীতে সাহিত্য সাধনার নমুনা লক্ষ করা যায়। বিশেষত মুসলমানদের আগমনের পর আউলিয়া দরবেশদের ইসলাম প্রচার ও ইসলামি শিক্ষার প্রসারে সুফি সাহিত্যের পরিচয় এ অঞ্চলে পাওয়া যায়। এই প্রেক্ষাপটে শাহ মখদুমের (রহ.) (মাজার শহরে পদ্মা নদীর ধারে অবস্থিত) আগমনে রাজশাহীর জনজীবন ধন্য হয়েছে।

আধুনিক যুগে অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে ‘বরেন্দ্র সমিতি’র (১৯১০) কার্যক্রমে এবং ‘বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়াম’ (১৯১৬)-এর তৎপরতায় সেই সঙ্গে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শরৎকুমার রায়ের অবদানে ইতিহাসের অনেক হারানো অধ্যায়কে উদ্ঘাটিত করে আমাদের অতীত ঐতিহ্যে লালিত আলো-ঝলমল জীবনের সন্ধান দিয়েছে। অবশ্য রাজশাহী শহর ও আশপাশের এলাকায় নাটোরে রানী ভবানী ও মহারানী হেমন্তকুমারী পুণ্যকর্মের যে দানের অবদান রেখেছেন তা নজিরবিহীন। এ ছাড়া রাজশাহী শহরে ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে ২১ জুলাই ‘রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন’ (রাজশাহী সভা), ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী কলেজ’ ও ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে ১৯ জুলাই ‘রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার’ প্রতিষ্ঠার ফলে কলকাতার বাইরে শিক্ষা-দীক্ষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চার জোয়ারে রাজশাহী জনজীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। সেই ধারা অব্যাহত রাখতে গিয়ে ১৯৪৭-এ দেশ বিভাগের পূর্বে রাজশাহীর রাজা-জমিদাররা সাহিত্য সম্মেলন, সংগীত সম্মেলনের আয়োজন করেন এবং দেশ বিভাগের পর সাংস্কৃতিক বন্ধ্যত্ব লক্ষ করা যায়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর রাজশাহীতে ওস্তাদ মোজাম্মেল হোসেন, ওস্তাদ হরিপদ দাস, আবদুল আজিজ ওরফে মুন মাস্টারের সুর-বাণী-সংগীত বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সর্বজনাব আবদুল মালেক খান, আবদুল আজিজ বাচ্চু ও মরহুম আবদুল জব্বার সংগীতকে জনসমাজে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এর ফলে সাংস্কৃতিক জীবধার গতিশীল পথ খুঁজে পেয়েছে।

১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ভাষা আন্দোলনের ঢেউ রাজশাহীতে চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি করে এবং ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর রাজশাহীর জনজীবন মন-মানসিকতার দিক থেকে উন্নত ও রুচিশীল পর্যায়ে উন্নীত হয়। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে গণ আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জোহার মৃত্যু এবং পরবর্তীতে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ সমস্ত কর্মকাণ্ডের অগ্রভাগে রাজশাহীতে তরুণ ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এসব কর্মপ্রয়াসকে সার্থকভাবে বাস্তবায়িত করে তুলতে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদী কণ্ঠের বহিঃপ্রকাশ সাহিত্যচর্চা ও সাংস্কৃতিক জীবনচর্চার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। মহত্তর জীবনবোধ ও মননশীল কর্মকাণ্ডে বিশেষত সাহিত্যে বরেন্দ্র একাডেমি, উত্তরা সাহিত্য মজলিশ, স্পন্দন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংসদ, স্বপন, রবিবাসরীয় সাহিত্য সংসদ, কিশোর সাহিত্য সংসদ, রাজশাহী লেখিকা সংঘ, কতিপয় সাহিত্যগোষ্ঠী, কবিতা সারথি, বাংলা সাহিত্যিকী, প্রফেসর আবদুল হাই সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক সংঘ, রংধনু নাট্যচক্র, রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘ, পলাকার নাট্যগোষ্ঠী, কথাকলি নাট্যগোষ্ঠী, হিন্দোল সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, উত্তরা নাট্যগোষ্ঠী, সুরবাণী সংগীত বিদ্যালয়, সংগীত শিক্ষা ভবন (১৯৪৩), জেলা শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, আন্দোলন নাট্যগোষ্ঠী, সুর-বিতান, গুঞ্জন সাংস্কৃতিক একাডেমি, ত্রিবেণী সাংস্কৃতিক পাকিস্তান আমলে এবং অব্যবহিত পরে এখানে কবি আবদুর রশীদ কানের ‘আইডিয়াল প্রিন্টিং প্রেস’ অধ্যাপক একরামুল হকের ‘মডার্ন প্রিন্টিং প্রেস’ ইত্যাদি প্রকাশনালয় থেকে বেশ কিছু প্রতিনিধিত্বশীল বই প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে কবি আবদুর রশীদ খানের ‘নিরন্তন স্বর’ আবদুর হাফিজের ‘সুকান্তের সমগ্র কবিতা’ ও ‘লোক-কাহিনির দিগ-দিগন্ত’ ড. মযহারুল ইসলামের ফোকলোর পরিচিত ও লোকসাহিত্যের পঠন-পাঠন, ড. কাজী আবদুল মান্নানের ‘মুসলিম সাহিত্য সাধনা’, ড. এবনে গোলাম সামাদের ‘বাঙালীর জন্ম পরিচয়’, মুস্তাফিজুর রহমানের ‘নিরবধি আলোকে আঁধারে (কাব্য), কবি বন্দে আলী মিয়ার ‘দক্ষিণ দিগন্ত’ (কাব্য), শামসুল হক কোরায়শীর ‘গোধূলির কান্না’ (কাব্য), জুলফিকার মতিনের স্বৈরিণী স্বদেশ দুই’ (কাব্য), এস এম আবদুল লতিফের ‘ছন্দ পরিচিত’, কবি রুহুল আমিন প্রামাণিকের ‘না তুমি না আমি না ঈশ্বর’ (কাব্য), শেখ আতাউর রহমানের ‘একজন হত্যাকারীর গল্প’ (কাব্য), প্রবীণ সাংবাদিক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আবদুস সামাদের ‘দিক-দিগন্ত’, তসিকুল ইসলামের ‘শিশু সাহিত্যে বন্দে আলী মিয়া’, ড. মুহম্মদ মজির উদ্দিনের ‘ডকটর মুহম্মদ এনামুল হক’, বরেন্দ্র একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ‘রাজশাহী পরিচিত,’ রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগারের শত বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রকাশিত ‘শতবর্ষ স্মারক গ্রন্থ : ১৯৮৪’ এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস’ উল্লেখযোগ্য।

প্রসঙ্গত বলা দরকার, ‘রাজশাহীর লোকসাহিত্য ও লোক-সংস্কৃতি নানা উপাদান ও উপকরণে সমৃদ্ধ’। লোকজ জীবনযাপনে রাজশাহী অঞ্চলের প্রকৃতি, আবহাওয়া এবং পরিবেশ কৃষিনির্ভর হলেও তাদের নানারকম বিশ্বাস বা সংস্কার লোকসাহিত্যের মূল্যবান সম্পদ। লোকসাহিত্য লোক-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ’। নানা ধরনের ছড়া, সারি, জারি গম্ভীরা, কবি বা ছন্দ (কবিগান), হাপু, জাগ, মেয়েলি গীত বা বিয়ের গান, বারোমাসি, আলকাপ, প্রভৃতির দ্বারা রাজশাহীর লোক-সাহিত্য ভান্ডার পূর্ণ।

 

তিন

সাহিত্য ও সমাজের মধ্যে সম্পর্ক চিরন্তর। এই সম্পর্কের চিরন্তনী রূপকে বলিষ্ঠতর করে তুলতে সাহিত্য পত্রিকা, লিটল ম্যাগাজিন ইত্যাদির ভূমিকা প্রশংসনীয়। মানুষের জীবনযাত্রার আর্থিক সামাজিক রূপ, তার মানসিক রূপ, তার মানসিক ও আধ্যাত্মিক, নানা বৈজ্ঞানিক আবিষ্ক্রিয়া আর শিল্প-সৃষ্টি সমস্ত কারুকলা ও চারুকলা ইত্যাদি প্রয়াসকে টিকিয়ে রেখেছে। পত্রপত্রিকার ইতিহাসে অতীত ঐতিহ্যের দিকে চোখ ফেরালে দেখা যাবে রাজশাহীতে ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাবু শ্রীনাথ সিংহ রায়ের সম্পাদনায় ধর্মীয় মাসিক পত্রিকা ‘হিন্দু-রঞ্জিকা’ প্রকাশ হয়। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে ‘জ্ঞানাঙ্কুর’ পরে ১২৮২ বাংলা সালে সাপ্তাহিক আকারে ‘জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব’ নামকরণে নামসর্বস্ব বিদ্যাভূষণের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে মাসিক ‘শিক্ষা পরিচয়’ কুমার মৈত্রের সম্পাদনায় ‘ত্রৈমাসিক সমাচার,’ চিকিৎসা নামে মাসিক চিকিৎসা বাংলা ভাষার পত্রপত্রিকার ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ‘আঞ্জুমানে হেমায়েত ইসলাম’-এর মুখপত্র ‘নূর-অল-ইমান’ নাট্যকার ও মোক্তার এম মেহেরুদ্দীনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ‘উৎসব’, ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘পল্লীবান্ধব’ এখানকার সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার জগতে আধুনিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে উপস্থিত হয়। মির্জা মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন। রাজশাহীতে ‘হেমা ক্লিয়ার প্রিন্টিং প্রেস’ (মুসলমানদের প্রথম ছাপাখানা) থেকে পত্রিকাটি ছাপা হতো। প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক ঋত্বি¡ক ঘটকও রাজশাহী থেকে ‘অভিধারা’ এবং ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে সাপ্তাহিক ‘দীপালী’ সম্পাদনা করেন।

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশ বিভাগের পর রাজশাহীতে সাহিত্যচর্চায় রক্ষণশীলতার পরিবর্তে প্রগতিশীল চিন্তা-ভাবনার উন্মেষ ঘটতে দেখা যায়। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে দিশারী সাহিত্য মজলিশ ‘দিশারী’ মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করে। প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাহিত্যকর্মীদের প্রচেষ্টায় দিশারী নতুন জীবনের স্বাদ উপলব্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শেলী, পরে অধ্যাপক একরামুল হক ও সাইদ উদ্দীন আহমেদ। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে মুহম্মদ আব্দুস সামাদের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মাসিক ‘প্রবাহ’, ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে খন্দকার সিরাজুল হকের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ত্রৈমাসিক ‘যাত্রী’। রাজশাহীর পত্রপত্রিকার জীবনে সবচেয়ে গৌরবের কথা ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে মুস্তাফা নুরুউল ইসলাম ও জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর সম্পাদনায় ও রাজশাহী জেলা পরিষদের অর্থানুকূল্যে ‘রাজশাহী বার্তা’, মোহসীন রেজার ‘সুনিকেত মল্লার,’ ডক্টর মযহারুল ইসলামের সম্পাদনায় ‘উত্তর অন্বেষা’, শাহ নজমুল হক চৌধুরীর সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘উত্তর বাংলা’, সরদার আমজাদের সম্পাদনায় ‘সোনার বাংলা’ এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কবি ও মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুর রহমানের ‘বাংলার কথা,’ সাইদ উদ্দীনের সম্পাদনায় ‘নতুন কাল’ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়াও সাপ্তাহিক ‘আন্তরিক,’ উত্তরা সাহিত্য মজলিশের মুখপত্র ‘প্রভীতি’ এবং পূর্ণাশা, চিৎকার, কোষিক এক উল্লাস, মুখোমুখি চেতনা, নব প্রবাহ, সুপ্রীতি, সিঁড়ি, নন্দিনী রবিবাসরীয় সাহিত্য সংসদের মুখপত্র পরিলেখ ইত্যাদি পত্রপত্রিকা সংকলন স্মরণিকা প্রকাশ সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে অবদান রেখেছে। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ অক্টোবর রাজশাহীর জীবনে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা এদিন রাজশাহী থেকে প্রকাশিত হয় জাতীয় ‘দৈনিক বার্তা’। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত ‘সাহিত্যকী’তে গবেষণা ও মননশীল প্রবন্ধ প্রকাশ করে সারা দেশে বিশেষ স্থান লাভ করেছে। এসব পত্রপত্রিকাকে কেন্দ্র করে সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্র নানাভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শ্রীবৃদ্ধি ও উৎকর্ষ সাধনে অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

 

চার

রাজশাহীতে সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার থেকে লালিত হয়ে আজকের রাজশাহীতে কাব্য কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ সাহিত্য সংগীত, নৃত্যশিল্প, চিত্রকর্ম প্রভৃতি শাখায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবু বলা যায়, মুদ্রণ ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে নানা সংকট ও জটিলতার কারণে আশানুরূপ ফল লাভ হয়নি।

রাজশাহী শহরে কবিতা চর্চা করে একসময় মীর আজিজুর রহমান মাস্তানা (১৯০০-১৯৭৮) রবীন্দ্র সান্নিধ্য আশীর্বাদধন্য কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তীতে লক্ষ করা যায়, চাকরি কিংবা পড়াশোনার প্রয়োজনে রাজশাহী অবস্থানকালে সাহিত্য সাধনা করে যারা দেশ ও বিদেশে খ্যাতি লাভ করেছেন তাদের মধ্যে প্রয়াত বন্দে আলী মিয়া, মযহারুল ইসলাম, সৈয়দ আলী আহসান, আতাউর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, ওমর আলী, মহাদেব সাহা, আবুবকর সিদ্দিক, আসাদুজ্জামান, জুলফিকার মতিন, কাব্যজগতে স্বনাম-খ্যাত ব্যক্তিত্ব কথাসাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, প্রবন্ধ ও গবেষণায় মুহম্মদ আবু তালিব, ড. মখলেসুর রহমান, ড. মুহম্মদ এনামুল হক, ড. গোলাম মকসুদ হিলালী’ প্রমুখ মনীষী রাজশাহীতে বসে সাহিত্যচর্চা করেছেন এটা রাজশাহীবাসীর জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।

বর্তমানে ইতিহাস, সমাজসেবা, গবেষণা ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক কর্মপ্রয়াস ও কর্মকাণ্ডের দ্বারা যারা দেশ-বিদেশে সুখ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন তাদের মধ্যে ড. কাজী আবদুল মান্নান, ড. মুহম্মদ মজিরউদ্দীন, অধ্যাপক এস এম আবদুল লতিফ, ড. এবনে গোলাম সামাদ, ড. খোন্দকার সিরাজুল হক, ড. সারোয়ার জাহান, ড. খন্দকার আবদুস রহীম প্রমুখ ব্যক্তি এবং সংগীতে ওস্তাদ সারদাকিংকর মজুমদার, ওস্তাদ আবদুল আজিজ বাচ্চু, শামসুজ্জামান, শেখ আবদুল আলীম, রবিউল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, রঘুনাথ দাস, আমানুল্লাহ, তালেবর আলী, তোফাজুল হোসেন, ফজলুল হক, আবদুর রশীদ, নূর আহমদ বদিউল আলম ভুলু, মুস্তাকিম উদ্দীন আহমেদ টুলু, মাহমুদুল ইসলাম সাজু, মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী এবং নৃত্যে বাদল ও আবদুল হাসিব পান্না প্রমুখ শিল্পী গুণী ব্যক্তি রাজশাহীতে সফল পদচারণ দ্বারা আমাদের জীবনে স্মরণীয় হয়ে আছেন, স্মরণীয় হয়েই থাকবেন।

সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় রাজশাহীর নারীরাও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তাঁদের মধ্যে দৌলতুন্নেছা, চৌধুরী শামসুন্নাহার বকুল, ডা. রাজিয়া সালাম, রওশন সুলতানা হক, সেলিনা হোসেন প্রমুখ খ্যাতির শীর্ষে রয়েছেন। রাজশাহীর ইতিহাস ঐতিহ্য থেকে স্বীকৃত, এ রাজশাহীর ‘রামপুর বোয়ালিয়ার থেকে প্রকাশিত ‘জ্ঞানাঙ্কুর’ পত্রিকায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম রচনা প্রকাশিত হয়েছিল। এই রাজশাহীতেই প্রথম ইংরেজি প্রথায় মঞ্চাভিনয় আরম্ভ হয়। এভাবে সাহিত্য সাংস্কৃতিক জীবনধারা ও চেতনাকে সমৃদ্ধ করে রাজশাহীর সাহিত্য সংস্কৃতিসেবী সাধক ও কর্মীরা গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

১৯৮৪ সালে রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগারের শতবর্ষ উদযাপন ও ‘শতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ : ১৯৮৪’ প্রকাশ এবং রাজশাহীতে ২০০৬ সালে প্রথম বৈশাখী মেলার আয়োজন ও স্মরণিকা প্রকাশ সাহিত্য-সংস্কৃতি কর্মী ও সচেতন মানুষের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দেশের ও বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের প্রথিতযশা কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, সমাজসেবক গুণী, ব্যক্তিদের পুরস্কার, পদক, সনদপত্র প্রদান ও সংবর্ধনার, মাধ্যমে তাঁদের কর্ম ও সাধনায়, মূল্যায়ন, করে যথার্থ সম্মান প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। এ বিষয় স্পন্দন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের ‘মাদার বখশ স্মৃতি পুরস্কার,’ তরুণদের জন্য ‘স্পন্দন সংসদ পুরস্কার,’ প্রফেসর আবদুল হাই সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের ‘আবদুল হাই স্মৃতি পুরস্কার’ রাজশাহী লেখিকা সংঘের ‘আবদুর রাজ্জাক ২১ স্মৃতি পুরস্কার,’ উত্তরা সাহিত্য মজলিশের ‘উত্তরা সাহিত্য পুরস্কার’ সারা দেশে সাহিত্য সংস্কৃতিসেবী মানুষের হৃদয়ে বিশেষ মর্যাদার সমজ্জ্বল হয়ে আছে। এ ধরনের মহৎ পদক্ষেপের ফল সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

আশা ও আনন্দের কথা, রাজশাহী শহরের বিভিন্ন শিক্ষা সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী তরুণ ছাত্রছাত্রী ও কিছুসংখ্যক শিক্ষক সাহিত্যচর্চা, সংস্কৃতিচর্চা, পত্রিকা প্রকাশ, চিত্রবিদ্যা, আবৃত্তি ও সংগীত শিক্ষায় আত্মনিয়োগ করে, অনেকের প্রশংসাভাজন হয়েছেন। যেসব সংগঠক, কর্মী ও তরুণ লিখিয়ে বন্ধুরা এ ধরনের মহৎকর্মে নিয়োজিত থেকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, তাদের মধ্যে নাজিম মাহমুদ, হাসান আজিজুল হক, জুলফিকার মতিন, ড. মুহম্মদ মজিরউদ্দীন, অধ্যাপক এস এম আবদুল লতিফ, অধ্যাপক ফজলুল হক, অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক, অধ্যাপক তসিকুল ইসলাম এবং বিশেষত তরুণদের মধ্যে মামুন হুসাইন, নাজিব ওয়াদুদ, মোহাম্মদ কামাল, সরকার মাসুদ, তারিকউল ইসলাম, মোহাম্মদ মুসা, হাসনাত আমজাদ, মালেক মেহমুদ, মীর রবিউল ইসলাম পাভেল চৌধুরী, আশরাফুল আলম, পিন্টু, রাশেদ রাইন প্রমুখ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অধিকারী।

এই বিভাগের আরও খবর
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
তপ্ত রৌদ্রময়
তপ্ত রৌদ্রময়
নাকে যার নথ নেই
নাকে যার নথ নেই
পলিকন্যা
পলিকন্যা
সময়
সময়
নীরার উৎসব
নীরার উৎসব
স্বর্গে দাঁড়ানো নরকের কাক
স্বর্গে দাঁড়ানো নরকের কাক
তোমাকে ভালোবাসার পর
তোমাকে ভালোবাসার পর
রোদ বেয়ে বৃষ্টি নামে
রোদ বেয়ে বৃষ্টি নামে
বৃষ্টিসূত্রে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা
বৃষ্টিসূত্রে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা
রক্তমাংসের ফুল
রক্তমাংসের ফুল
সাহিত্যের রাষ্ট্রবিরোধিতা
সাহিত্যের রাষ্ট্রবিরোধিতা
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’ প্রকাশ: কারা ছিলেন মোসাদের টার্গেটে?
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’ প্রকাশ: কারা ছিলেন মোসাদের টার্গেটে?

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত, ১৮টি প্রস্তাব বাছাই
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত, ১৮টি প্রস্তাব বাছাই

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়ায় স্বস্তির সুবাতাস বইছে সবজির বাজারে
বগুড়ায় স্বস্তির সুবাতাস বইছে সবজির বাজারে

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গতি ফিরল সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথ নির্মাণের কাজ
গতি ফিরল সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথ নির্মাণের কাজ

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এশিয়া কাপ আর্চারিতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে স্বর্ণ জিতলেন আলিফ
এশিয়া কাপ আর্চারিতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে স্বর্ণ জিতলেন আলিফ

২৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রেললাইনে বসে আড্ডা দিয়ে গিয়ে প্রাণ গেল তিন যুবকের
রেললাইনে বসে আড্ডা দিয়ে গিয়ে প্রাণ গেল তিন যুবকের

৩৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রিভার ট্যুরিজমে সম্ভাবনার দ্বার খুলছে হাউজবোট, ঢাকায় প্রথমবারের মতো বিশেষ মেলা
রিভার ট্যুরিজমে সম্ভাবনার দ্বার খুলছে হাউজবোট, ঢাকায় প্রথমবারের মতো বিশেষ মেলা

৫৪ মিনিট আগে | পর্যটন

‘ঐতিহাসিক’ সফরে তুরস্কে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী
‘ঐতিহাসিক’ সফরে তুরস্কে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মানিকগঞ্জে একটি কাঁঠালের জন্য খুন
মানিকগঞ্জে একটি কাঁঠালের জন্য খুন

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘সংলাপের কোনো জায়গা নেই’, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করলো ইরান
‘সংলাপের কোনো জায়গা নেই’, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করলো ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হবিগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি; ভুয়া পরীক্ষার্থীর কারাদণ্ড
হবিগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি; ভুয়া পরীক্ষার্থীর কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছুটির দিনেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ
ছুটির দিনেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
সিরাজগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেধাবী শিক্ষার্থী মালিহার দায়িত্ব নিলেন লক্ষ্মীপুরের ডিসি
মেধাবী শিক্ষার্থী মালিহার দায়িত্ব নিলেন লক্ষ্মীপুরের ডিসি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও নবম পে-স্কেলের দাবি
৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও নবম পে-স্কেলের দাবি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লে. কর্নেল (অব.) গাজী সিরাজুল ইসলাম আর নেই
লে. কর্নেল (অব.) গাজী সিরাজুল ইসলাম আর নেই

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্গন্ধ ছড়ানোয় ফাঁস হলো রহস্য: অভিনেত্রী আয়েশা খানের মরদেহ উদ্ধার
দুর্গন্ধ ছড়ানোয় ফাঁস হলো রহস্য: অভিনেত্রী আয়েশা খানের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানি হামলায় পাত্তা পাচ্ছে না ইসরায়েলের আয়রন ডোম!
ইরানি হামলায় পাত্তা পাচ্ছে না ইসরায়েলের আয়রন ডোম!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৭৮২
সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৭৮২

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোন ভরসায় টিকে আছেন নেতানিয়াহু?
কোন ভরসায় টিকে আছেন নেতানিয়াহু?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৪ সালে শিশুদের প্রতি সহিংসতা ‘ভয়াবহ মাত্রায়’ পৌঁছেছে : জাতিসংঘ
২০২৪ সালে শিশুদের প্রতি সহিংসতা ‘ভয়াবহ মাত্রায়’ পৌঁছেছে : জাতিসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাসচাপায় ট্রাক চালক নিহত
বাসচাপায় ট্রাক চালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেওয়ার আহ্বান পাকিস্তান সেনাপ্রধানের
ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেওয়ার আহ্বান পাকিস্তান সেনাপ্রধানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দেশ ছাড়লেন মাহিয়া মাহি
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দেশ ছাড়লেন মাহিয়া মাহি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি
দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ধ্যার মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কসংকেত
সন্ধ্যার মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কসংকেত

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাঈমের ৫ শিকার; লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড
নাঈমের ৫ শিকার; লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে সেই ঘাতক ট্রাকচালক গ্রেফতার
সিলেটে সেই ঘাতক ট্রাকচালক গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ইরানের হামলায় ‘ক্লাস্টার বোমা’ ব্যবহারের অভিযোগ ইসরায়েলের
ইরানের হামলায় ‘ক্লাস্টার বোমা’ ব্যবহারের অভিযোগ ইসরায়েলের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজবাড়ীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ
রাজবাড়ীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল
সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করলে ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার
ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করলে ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধের খরচে নাজেহাল ইসরায়েল, বিপর্যস্ত অর্থনীতি
যুদ্ধের খরচে নাজেহাল ইসরায়েল, বিপর্যস্ত অর্থনীতি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালে কোন মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান, বুঝতেই পারছে না ইসরায়েল
সকালে কোন মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান, বুঝতেই পারছে না ইসরায়েল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও রহস্যজনক বার্তা দিলেন ট্রাম্প
আবারও রহস্যজনক বার্তা দিলেন ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পকে পিছু হটার আহ্বান স্টারমারের
ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পকে পিছু হটার আহ্বান স্টারমারের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরানের পর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাবে ইসরায়েল?
সত্যিই কি ইরানের পর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাবে ইসরায়েল?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে রুশ বিশেষজ্ঞরা, ইসরায়েলকে মস্কোর সতর্কবার্তা
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে রুশ বিশেষজ্ঞরা, ইসরায়েলকে মস্কোর সতর্কবার্তা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে সম্ভাব্য ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে তুরস্ক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে সম্ভাব্য ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে তুরস্ক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের এক রাতের হামলায় হাসপাতালে ২৭১ ইসরায়েলি
ইরানের এক রাতের হামলায় হাসপাতালে ২৭১ ইসরায়েলি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র ‘পরমাণু হামলার জবাব দেবে’ শুনেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া!
যুক্তরাষ্ট্র ‘পরমাণু হামলার জবাব দেবে’ শুনেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তান কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে, দাবি রিপোর্টে
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তান কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে, দাবি রিপোর্টে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর
পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প
ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফোর্ডো ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার বাস্টার চায় ইসরায়েল
ফোর্ডো ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার বাস্টার চায় ইসরায়েল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে : খামেনি
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে : খামেনি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লজ্জা ভুলে ট্রেন্ড! ইরানের টিভি স্টুডিওতে হামলা নিয়ে ইসরায়েলে ব্যঙ্গ, বিশ্বব্যাপী নিন্দা
লজ্জা ভুলে ট্রেন্ড! ইরানের টিভি স্টুডিওতে হামলা নিয়ে ইসরায়েলে ব্যঙ্গ, বিশ্বব্যাপী নিন্দা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাঁটুর বয়সী মেয়েকে বিয়ে, বিতর্কে জড়ান অভিনেতা ভরত
হাঁটুর বয়সী মেয়েকে বিয়ে, বিতর্কে জড়ান অভিনেতা ভরত

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরান ইস্যুতে পুতিন- শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ
ইরান ইস্যুতে পুতিন- শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলায় ‘ক্লাস্টার বোমা’ ব্যবহারের অভিযোগ ইসরায়েলের
ইরানের হামলায় ‘ক্লাস্টার বোমা’ ব্যবহারের অভিযোগ ইসরায়েলের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিল ইরান সমর্থিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়াগোষ্ঠী
যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিল ইরান সমর্থিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়াগোষ্ঠী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজ বাড়িতে মিলল ইসরায়েলি ২ নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ
নিজ বাড়িতে মিলল ইসরায়েলি ২ নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভয় না পেয়ে জনগণকে দৃঢ় থাকার আহ্বান খামেনির
ভয় না পেয়ে জনগণকে দৃঢ় থাকার আহ্বান খামেনির

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কূটনীতিক
ইরানে হামলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কূটনীতিক

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র ‘অর্জন করতে পারবে না' বলে একমত যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র ‘অর্জন করতে পারবে না' বলে একমত যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি হামলায় পাত্তা পাচ্ছে না ইসরায়েলের আয়রন ডোম!
ইরানি হামলায় পাত্তা পাচ্ছে না ইসরায়েলের আয়রন ডোম!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের কি ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করার সক্ষমতা আছে?
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের কি ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করার সক্ষমতা আছে?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের
ইসরায়েলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোন ভরসায় টিকে আছেন নেতানিয়াহু?
কোন ভরসায় টিকে আছেন নেতানিয়াহু?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কে সামান্থা, আলোচনায় প্রাক্তন স্ত্রী শ্যামলী
পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কে সামান্থা, আলোচনায় প্রাক্তন স্ত্রী শ্যামলী

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ধ্বংসযজ্ঞ তেল আবিব তেহরানে
ধ্বংসযজ্ঞ তেল আবিব তেহরানে

প্রথম পৃষ্ঠা

সুইস ব্যাংকে ২০২৪ সালে জমা ৮,৫৭০ কোটি টাকা
সুইস ব্যাংকে ২০২৪ সালে জমা ৮,৫৭০ কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

এনটিআরসিএর ছেলেখেলা লাখো চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে
এনটিআরসিএর ছেলেখেলা লাখো চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে

নগর জীবন

জ্বালানি খাতে বিপুর দুর্নীতির পারিবারিক উৎসব
জ্বালানি খাতে বিপুর দুর্নীতির পারিবারিক উৎসব

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না
সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

গ্যাস বিপর্যয় দুর্ভোগে গ্রাহক
গ্যাস বিপর্যয় দুর্ভোগে গ্রাহক

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘরোয়া ফুটবলে অশনিসংকেত
ঘরোয়া ফুটবলে অশনিসংকেত

মাঠে ময়দানে

জুভেন্টাস ফুটবলারদের একি বললেন ট্রাম্প
জুভেন্টাস ফুটবলারদের একি বললেন ট্রাম্প

মাঠে ময়দানে

আন্তর্জাতিক ট্রেকিংয়ে দেশের পাহাড়প্রেমীরা
আন্তর্জাতিক ট্রেকিংয়ে দেশের পাহাড়প্রেমীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে ঐকমত্য
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও পেছাল বাংলাদেশ
কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও পেছাল বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অলিভিয়া কেন অন্তরালে
অলিভিয়া কেন অন্তরালে

শোবিজ

ট্রাম্পের পাগলপন্থা ও ইরানি বাস্তবতা
ট্রাম্পের পাগলপন্থা ও ইরানি বাস্তবতা

সম্পাদকীয়

দেশজুড়ে বাহারি ফলের উৎসব
দেশজুড়ে বাহারি ফলের উৎসব

নগর জীবন

হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের সামনে নতুন ভারত
হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের সামনে নতুন ভারত

মাঠে ময়দানে

আরবীয় বাধায় আটকাল রিয়াল
আরবীয় বাধায় আটকাল রিয়াল

মাঠে ময়দানে

ব্যাটারদের দাপট অব্যাহত
ব্যাটারদের দাপট অব্যাহত

মাঠে ময়দানে

সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়া
সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়া

শোবিজ

রিপন মাহমুদের কথায় কুমার শানু
রিপন মাহমুদের কথায় কুমার শানু

শোবিজ

নির্বাচনের নির্দেশনা এখনো আসেনি
নির্বাচনের নির্দেশনা এখনো আসেনি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন
স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থা রেখেছেন হোবার্ট হারিকেন্স
আস্থা রেখেছেন হোবার্ট হারিকেন্স

মাঠে ময়দানে

টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী পালন করবে বিসিবি
টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী পালন করবে বিসিবি

মাঠে ময়দানে

৪০ টাকায় অরিজিৎ সিংয়ের আয়োজন
৪০ টাকায় অরিজিৎ সিংয়ের আয়োজন

শোবিজ

বিচারপ্রার্থীদের সেবায় গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা
বিচারপ্রার্থীদের সেবায় গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পারবেন কি সোনা জিততে
পারবেন কি সোনা জিততে

মাঠে ময়দানে

চ্যানেল আইতে কৃষকের ঈদ আনন্দ
চ্যানেল আইতে কৃষকের ঈদ আনন্দ

শোবিজ

ছাত্রদল নেতার মুক্তি দাবি বাবার
ছাত্রদল নেতার মুক্তি দাবি বাবার

দেশগ্রাম