বাংলাদেশ প্রতিদিন : বাজারে বর্তমানে ওয়ালটনের কত মডেলের এসি রয়েছে? সেগুলোর দাম সম্পর্কে বলুন?
মো. তানভীর রহমান : ক্রেতাদের জন্য চলতি বছর আমরা ছয়টি সিরিজের ৭৪টি মডেলের ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী স্পিøট এসি বাজারে ছেড়েছি। এর মধ্যে ওয়ালটনের ১ টনের ইনভার্টার এসির দাম ৪৯,৯০০ থেকে শুরু হয়েছে। ১.৫ টন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৬৫,৯০০ টাকা থেকে ৮১,৯০০ টাকার মধ্যে এবং গ্রাহকরা ২ টনের এসি ৭৯,৯০০ টাকা থেকে ৯৫,৯৯০ টাকায় পাচ্ছেন। স্পিøট এসি সাধারণত বাসাবাড়ি এবং ছোটো প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। মাঝারি এবং বড় স্থাপনায় লাইট কমার্শিয়াল এবং কমার্শিয়াল এসি ব্যবহৃত হয়। এসব স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ভিআরএফ এবং চিলার।
ওয়ালটন এসির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো কী, যার জন্য ক্রেতারা আপনাদের এসি কিনবেন?
-ওয়ালটন এসির বিশেষত্ব হচ্ছে- ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তিসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যবহার, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, সর্বোচ্চ পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও দীর্ঘস্থায়িত্ব, দামে সাশ্রয়ী, অসংখ্য মডেল ও রুচিশীল ডিজাইন এবং দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্বোচ্চ সংখ্যক সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা। এসিতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র উৎপাদনে ভারত ও চীন থেকে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ওয়ালটন এসিতে রয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে, অফলাইন বাংলা এবং ইংরেজি ভয়েস কন্ট্রোল, ব্লুটুথ কন্ট্রোল, এআই ডক্টর, কোটেক টেকনোলজি, স্মার্ট টেকনোলজি ইত্যাদি অসংখ্য প্রযুক্তি ও ফিচার।
গ্রাহকদের জন্য এসি ক্রয়ে ওয়ালটন কী ধরনের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে?
-প্রতি বছরই গরম এবং ঈদ উপলক্ষে এসির গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে ওয়ালটন। কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ওয়ালটন এসি ক্রয়ে গ্রাহকদের জন্য রয়েছে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ। এছাড়া বছরজুড়েই গ্রাহকদের এসি এক্সচেঞ্জ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এ সুবিধার আওতায় যে কোনো ব্র্যান্ডের পুরোনো এসির বদলে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে গ্রাহকরা ওয়ালটনের নতুন এসি কিনতে পারছেন। পাশাপাশি ওয়ালটন এসিতে ফ্রি ইন্সটলেশন, জিরো ইন্টারেস্টে সহজ কিস্তি ও ইএমআই সুবিধা রয়েছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে এসির কত টাকার বাজার রয়েছে? এতে ওয়ালটনের অবস্থান কত?
-সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের এসি বাজারের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রতি বছরই অসহনীয় গরম, দ্রুত বিকাশমান নগরায়ণ, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি-সংবলিত এসির সহজলভ্যতা ইত্যাদি নানা কারণে বাংলাদেশে এসির চাহিদা বাড়ছে। ২০২৪ সালে দেশে ৬.৫ লাখ এসির চাহিদা ছিল। চলতি বছর (২০২৫) বাংলাদেশে এসির চাহিদা ৭.৫ লাখে পৌঁছাবে বলে আমরা ধারণা করছি। সামনের বছরগুলোতে ২০ শতাংশ হারে এসির বাজার বাড়বে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এসির বাজারে ওয়ালটন দেশের নম্বর ওয়ান ব্র্যান্ড। রেসিডেনসিয়াল এসির পাশাপাশি লাইট কমার্শিয়াল এবং কমার্শিয়াল এসি উৎপাদনে ওয়ালটন শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। দেশের এসি বাজারে ৩০ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার ওয়ালটনের। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ওয়ালটন এসি দেশের বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে ভূসিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত এসির মোট চাহিদার ৮০ শতাংশেরও বেশি পূরণ করছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে ওয়ালটন।
এসি উৎপাদন ও বিপণনে আপনারা কোন কোন বিষয় প্রাধান্য দেন।
-ওয়ালটন দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। ২০১১ সালে বাংলাদেশে প্রথম এয়ারকন্ডিশনার প্রোডাকশন প্ল্যান্ট স্থাপন করে ওয়ালটন। শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতারা যেন বিশ্বমানের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও সেবাসাশ্রয়ী মূল্যে পেতে পারেন।
বিশ্ববাজারে ওয়ালটন এসি রপ্তানি সম্পর্কে বলুন।
-গ্লোবাল এসি মার্কেটে ওয়ালটনের উপস্থিতি বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বৃদ্ধিতে আমরা শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড উদ্বোধন করেছি। নতুন নতুন শোরুম চালু হচ্ছে সেখানে। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে কাজ করছি।