প্রশ্ন : কর্মব্যস্ত জীবন সহজ করে তুলতে রেফ্রিজারেটরের ভূমিকা কী?
উত্তর : কর্মব্যস্ত আধুনিক জীবনে রেফ্রিজারেটর একটি অপরিহার্য যন্ত্র। এটি শুধু খাবার সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয় না বরং দৈনন্দিন জীবন সহজ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রেফ্রিজারেটরের মাধ্যমে রান্না করা বা কাঁচা খাবার দীর্ঘসময় তাজা রাখা সম্ভব। এতে প্রতিদিন বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন কমে এবং সময় বাঁচে। কর্মজীবী মানুষ একবারে বেশি রান্না করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারে, যা সময় ও পরিশ্রম দুটোই সাশ্রয় করে।
প্রশ্ন : গরমে রেফ্রিজারেটর বিক্রি বেশি হয়। আবার সামনেই ঈদুল আজহা। এ সময়ে নতুন প্রযুক্তির কী কী ফ্রিজ বাজারে এনেছেন? এর দরদাম কেমন? গরম ও ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কোনো অফার আছে কি না?
উত্তর : মিনিস্টার রেফ্রিজারেটরে নতুন নতুন আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রাহকের সুবিধা, বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব- এ তিনটি মূল স্তম্ভ কেন্দ্র করে প্রতিটি পণ্য আরও উন্নত করা হচ্ছে। মিনিস্টার গ্রাহকদের জন্য পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিয়ে এসেছে ‘ফ্রিজ কিনুন, হাম্বা জিতুন’ অফার, সিজন-২। গত বছরের পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ‘ফ্রিজ কিনুন, হাম্বা জিতুন’ অফারটি সম্মানিত গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। গ্রাহকদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার জন্য এ বছর নিয়ে এসেছি ‘ফ্রিজ কিনুন, হাম্বা জিতুন’ অফার সিজন-২। এ অফারে গ্রাহকরা ফ্রিজ কিনলেই পাবেন স্ক্র্যাচ কার্ড। আর কার্ড ঘষলেই পেতে পারেন ফ্রি গরু অথবা একটি ফ্রিজ কিনে আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি, নিশ্চিত বিশাল মূল্যছাড় এবং আকর্ষণীয় উপহার।
প্রশ্ন : ব্যবহারকারী ফ্রিজ যাতে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারেন এমন কিছু পরামর্শ দিন।
উত্তর : রেফ্রিজারেটর আধুনিক জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। তবে শুধু ভালো ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনলেই হবে না, এর যত্নও নিতে হবে সঠিকভাবে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও সচেতন ব্যবহারের মাধ্যমে যে কেউ তার ফ্রিজ দীর্ঘদিন কার্যক্ষম ও টেকসই রাখতে পারে। ফ্রিজের চারপাশে পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে যাতে বাতাস ভালোভাবে চলাচল করতে পারে। এটা ফ্রিজের কুলিং সিস্টেমের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ফ্রিজে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত খাবার রাখা যাবে না। খাবারের প্যাকেজিং সঠিকভাবে সিল করতে হবে।
প্রশ্ন : বর্তমানে দেশে ফ্রিজের বাজার কেমন যাচ্ছে? বিদেশে বাংলাদেশি ফ্রিজের ভবিষ্যৎ বাজার সম্পর্কে বলুন।
উত্তর : পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ফ্রিজের বাজার এখন প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি, যার বার্ষিক চাহিদা ৩০ লাখ ইউনিটেরও বেশি। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ফ্রিজের বাজারের বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হারে। রেফ্রিজারেটরের চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশই বর্তমানে পূরণ হয় দেশীয় কোম্পানির রেফ্রিজারেটর দ্বারা, যার ভিতরে মিনিস্টারের উল্লেখযোগ্য মার্কেট শেয়ার রয়েছে, বাকি ১০ শতাংশ আমদানির ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন : বাজারে এখন ফ্রিজের অনেক ব্র্যান্ড। এত ব্র্যান্ডের ভিড়ে অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আপনারা কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন?
উত্তর : বর্তমানে বাজারে ফ্রিজের অনেক ব্র্যান্ড থাকলেও আমাদের উদ্ভাবনী চিন্তা, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উন্নত প্রযুক্তি, সুলভ মূল্য এবং উন্নত গ্রাহকসেবার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য শুধু ফ্রিজ বিক্রি নয়, বরং গ্রাহকের জীবনযাত্রায় পজিটিভ পরিবর্তন আনা।
প্রশ্ন : ক্রেতার চাহিদা পূরণে আপনাদের কোম্পানির ফ্রিজ কতটা সক্ষম?
উত্তর : আমরা বুঝি যে প্রতিটি পরিবারের চাহিদা ভিন্ন, তাই আমাদের ফ্রিজের ডিজাইন, ধারণক্ষমতা এবং ফিচারগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তা শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে শুরু করে গ্রামের সাধারণ ব্যবহারকারী পর্যন্ত সবার প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। এনার্জি সেভিং প্রযুক্তি, দ্রুত কুলিং ব্যবস্থা, ফ্রেশ ফুড কিপিং, ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজি, ভিটামিন প্রটেকশন টেকনোলজি, স্মার্ট টেম্পারেচার কন্ট্রোল এবং দীর্ঘমেয়াদি ওয়ারেন্টি এসব সুবিধার মাধ্যমে আমাদের ফ্রিজ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে সফল হয়েছে।
প্রশ্ন : গ্রাহকসেবা ও সার্ভিসিং সুবিধার ক্ষেত্রে আপনারা ক্রেতার থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
উত্তর : আমরা মিনিস্টার ফ্রিজে উন্নতমানের কম্প্রেসার ও এনার্জি সেভিং টেকনোলজি ব্যবহার করছি। ফলে ফ্রিজ ব্যবহারে ৭৫% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। এতে ভোক্তার বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করে তোলে।