গ্রীষ্মে যখন ঘরের বাইরে তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই, তখন ঘরের এসির ঠান্ডা বাতাস যেন এক টুকরো স্বর্গ। কিন্তু এ আরামদায়ক শীতলতা দীর্ঘদিন উপভোগ করতে এসির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। কেননা ঠিকভাবে পরিচর্যা না করলে এসি যেমন দ্রুত নষ্ট হতে পারে, তেমন বাড়তে পারে বিদ্যুৎ বিল, ঠান্ডার কার্যকারিতাও কমে যেতে পারে।
কেন রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন?
এসির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ শুধু তার আয়ু বাড়ায় না, বরং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এবং ঘরের বায়ু করে স্বাস্থ্যকর। জমে থাকা ধুলাবালি বা লিকেজের কারণে কমপ্রেসারে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, ফলে এটি দ্রুত বিকল হয়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কার ও চেকআপে ছোটখাটো সমস্যা ধরা পড়ে এবং বড় ক্ষতির শঙ্কা কমে।
যা করতে হবে
♦ এসির ফিল্টার বাতাস থেকে ধুলো, পোলেন এবং অন্যান্য অ্যালার্জেন ছেঁকে ফেলে। এ ফিল্টারটি এক মাস পরপর পরিষ্কার না করলে এসির কার্যকারিতা কমে যায়। তাই সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করাই ভালো।
♦ অনেকেই কেবল ঘরের ভিতরের ইউনিট পরিষ্কার রাখেন, অথচ আউটডোর ইউনিটও সমান গুরুত্বের দাবি রাখে। প্রতি তিন মাস অন্তর এটি পরিষ্কার করা উচিত।
♦ এসি ঠান্ডা করার জন্য ব্যবহৃত হয় রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। সময়ের সঙ্গে লিকেজের কারণে এ গ্যাস কমে যেতে পারে। একবার যদি ঠান্ডা কম মনে হয়, তাহলে টেকনিশিয়ান ডেকে গ্যাসের পরিমাণ পরীক্ষা করিয়ে নিন।
♦ বছরে অন্তত দুবার পেশাদার টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে এসি সার্ভিস করানো উচিত। এতে কনডেনসার, ইভ্যাপরেটর কয়েল, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ইত্যাদি ভালোভাবে পরিষ্কার হয় এবং ভবিষ্যতের বড় মেরামতের প্রয়োজন কমে।
♦ কিছুক্ষণ পরপর এসি বন্ধ রেখে বিশ্রাম দিন।