আগস্ট মাসে প্রতিদিন তেল উৎপাদন আরও পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল বৃদ্ধি করবে ওপেক প্লাস।
শনিবার জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সৌদি আরব, রাশিয়া এবং ওপেক প্লাস জোটের আরও ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আগস্ট মাসে প্রতিদিন তেল উৎপাদন আরও পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল বৃদ্ধি করবে।
গ্রুপটি এক বিবৃতিতে বলেছে, তেল উৎপাদন আরও বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কারণ হচ্ছে, একটি স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বর্তমান সুস্থ বাজারের মৌলিক বিষয়গুলো- যা কম তেল মজুদে প্রতিফলিত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা আশা করেছিলেন, ওপেক চার লাখ ১১ হাজার ব্যারেল দৈনিক উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেবে। তবে জোটের সিদ্ধান্ত তাদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।
রাইস্ট্যাড এনার্জির জর্জ লিওন বলেছেন, “ওপেক প্লাস বাজারকে অবাক করে চলেছে- এই সর্বশেষ বৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ছিল এবং সন্দেহের মধ্যে থাকা যে কারও জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠায়: গ্রুপটি দৃঢ়ভাবে বাজার শেয়ার কৌশলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাজারে এখন দুটি বড় প্রশ্ন ঝুলছে: প্রথমত, স্বেচ্ছায় প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল সম্পূর্ণ কাটছাঁট বন্ধ হয়ে গেলে, ওপেক প্লাস কি পরবর্তী স্তরের ১৬ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল লক্ষ্য করবে? এবং দ্বিতীয়ত, এর জন্য যথেষ্ট চাহিদা আছে কি? মূল্য ৬০ ডলারের উপরে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা এবং অস্থির ভূ-রাজনৈতিক পটভূমি- বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেন ও লিবিয়ায় বৃহত্তর ঝুঁকির কারণে- উভয় প্রশ্নের উত্তরই হ্যাঁ হতে পারে।”
ইউবিএস বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টাউনোভো শনিবার বলেছেন, “কার্যকরভাবে কাজাখস্তান এবং ইরাক এখনও তাদের উচ্চ কোটার অতিরিক্ত উৎপাদন করছে, যা কাট-আপ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে।”
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘর্ষের পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধের সময় হরমুজ প্রণালী বন্ধ হওয়ার উদ্বেগের মধ্যে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম স্বল্প সময়ের জন্য ৮০ ডলারের উপরে চলে যায়।
১২-জাতির তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক এবং তার মিত্রদের নিয়ে গঠিত বৃহত্তর ওপেক প্লাস গ্রুপ- দাম বাড়ানোর জন্য ২০২২ সালে উৎপাদন কমানো শুরু করে। কিন্তু নীতিগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট মে মাস থেকে উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বাজারকে অবাক করে দেয়, যার ফলে তেলের দাম কমে যায়। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ