রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকাকে জেতালেন ফিনিশার নাসির

নাসির হোসেনের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে সহজ জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা। ৫ বল হাতে রেখেই ঢাকা হারায় খুলনাকে। বল হাতে ২৯ রানে ২ উইকেট ও ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন নাসির।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঢাকাকে জেতালেন ফিনিশার নাসির

নাসির হোসেন

কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে গোটা দেশ। সূর্যের দেখা নেই দিনভর। ঘোলাটে ছিল পুরোটা দিন। তাপমাত্রা খুব কম না হলেও বাতাস ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। মিরপুর স্টেডিয়ামে বিপিএলের খেলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে ঘন কুয়াশায়। এই কুয়াশার জন্য বিপিএলের খেলা সময় এগিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল কুয়াশায় খেলা পিছিয়ে যায় আধা ঘণ্টা। ঢাকা ডমিনেটর ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ শুরুর কথা ছিল দুপুর দেড়টায়। কিন্তু মাঠে গড়ায় ২ টায়। খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু না হলেও জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি ঢাকার। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাসির হোসেনের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে সহজ জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা। ৫ বল হাতে রেখেই ঢাকা হারায় খুলনাকে। বল হাতে ২৯ রানে ২ উইকেট ও ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন নাসির।    

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে এক সময় সবচেয়ে অপরিহার্য ক্রিকেটার ছিলেন নাসির। ব্যাট হাতে দুরন্ত সব ইনিংস খেলে বহু জয় উপহার দিয়েছেন দেশকে। কিন্তু ছন্দ হারিয়ে এখন দলের বাইরে। বিপিএলের গত আসরে ছিলেন দর্শক। এবার তাকে দলভুক্ত করে ঢাকা ডমিনেটর। নেতৃত্বও তুলে দেয় তার হাতে। নেতৃত্ব পেয়ে তার প্রতিদান দেন প্রথম ম্যাচেই। দারুণ দল পরিচালনা এবং সর্বোপরি ব্যাটিং ও বোলিংয়ে কার্যকারিতা প্রমাণ করেন। অধিনায়ক নাসিরের ভাগ্যটাও সুপ্রসন্ন ছিল। কুয়াশার চাদরে ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আমন্ত্রণ জানান ইয়াসির আলির খুলনাকে। খুলনাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটার ইয়াসির। অথচ দলে রয়েছেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেন ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৩ রান করে খুলনা। ঢাকার পেসার তাসকিন আহমেদ, স্পিনার নাসির, পেসার আল আমিন ও বাঁ হাতি স্পিনার আরাফাত সানির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে খুলনার সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৩২ রান। প্রথম ৫০ রান করে ১০.১ ওভারে। শেষ ১০ ওভারে ৬৩ রান যোগ করেন অধিনায়ক ইয়াসিরের ২৫ বলে ২৪, সাইফুদ্দিনের ২৮ বলে ২৯ ও ওয়াহাব রিয়াজের ৩ বলে ১০ রানে ভর করে। তাসকিন ৪ ওভারে ১৪ রান দিলেও ছিলেন উইকেটশূন্য। নাসিরের স্পেল ছিল ৪-০-২৯-২। আল আমিনের স্পেল ছিল ৪-০-২৮-৪ এবং আরাফাত সানির স্পেল ৪-০-২৪-২। তামিম ওপেন করে ৮ রান করেন ১৫ বলে ১ চারে। ঢাকার টার্গেট ১১৪। দলীয় ১৬ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ। দিলশান মুনাভীরা ও সৌম্য সরকার জুটি গড়েন। দলীয় ৪১ রানের মাথায় সৌম্য সাজঘরে ফেরেন ওয়াহাব রিয়াজের বলে। ১৩ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ১টি ছক্কা। মুনাভীরা ২২ রান করেন ২৮ বলে ৩ চারে। শেষ দিকে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাসির ৩৬ বলে ৪ চারে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতান নাসির। তাকে সহায়তা করেন উসমান গনি ১৫ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে। খুলনার সাইফুদ্দিন ২২ রানের খরচে নেন ২ উইকেট।

সর্বশেষ খবর