মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

তদন্তের নামে বাফুফের নাটক!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তদন্তের নামে বাফুফের নাটক!

আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু

বাফুফের তদন্ত কমিটি গঠন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু বলেছেন, ‘এ কমিটি সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ ফিফার অর্থ দুর্নীতি করেছে বাফুফে। এ কমিটিতে তাদের সব সদস্য থাকেন কীভাবে? কমিটিতে চার সহসভাপতিই আছেন। নির্বাহী কমিটির তিন সদস্যকে রাখা হয়েছে। তাছাড়া তদন্ত কমিটি এত লম্বা, এটাই প্রথম দেখলাম। এ কমিটি কী করবে সেটাই প্রশ্ন। আবু নাঈম সোহাগকে এক নম্বর আসামি করা হবে, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। হয়তোবা তালিকায় দোষী হিসেবে বেতনভুক কর্মচারীর নাম আসতে পারে। সোহাগের এমন কাণ্ডে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সিনিয়র সহসভাপতি, ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদীকে দোষী সাব্যস্ত করছে সচেতন ক্রীড়া মহল। ব্যক্তিগতভাবে আমিও তাই মনে করি। মনে রাখতে হবে সোহাগ সাধারণ সম্পাদক হলেও বেতনভুক কর্মচারী। একজন কর্মচারী সাহস পাবেন না ফিফার ফান্ড নিয়ে এত বড় দুর্নীতি করতে। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সভাপতির দেখাটা যেমন বাধ্যতামূলক তেমনি ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সালামের স্বাক্ষর তো থাকবেই। এমনকি তা নির্বাহী কমিটির বৈঠকে অনুমতি নেওয়ারও কথা। সে ক্ষেত্রে তো বাফুফের পুরো কমিটিই দায়ী। এরপর তাদের দিয়েই তদন্ত করা, তা কি বিশ্বাসযোগ্য হবে?

চুন্নুর মতে, ‘তদন্তে বাফুফের কর্মকর্তা থাকতেই পারেন কিন্তু ১০ জনই তাদের সব, এটা হাস্যকর নয়? এত বড় কমিটিই যখন করা হলো তখন তো যে কেলেঙ্কারীর সঙ্গে দেশের ইমেজ জড়িত সেখানে তা বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে একজন সাবেক বিচারপতিকে প্রধান করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পুলিশ র‌্যাব বা দুর্নীতি দমন কমিশনের বড় অফিসারকে রাখাই যেত। তাহলে আমরা বুঝতাম তদন্ত হবে পুরোপুরি স্বচ্ছভাবে। এদের তদন্তে রাখলে বড় কর্মকর্তাদের ফেঁসে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই যেত। তাই তাড়াহুড়ো করে লোক দেখানো তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।’

চুন্ন বলেন, ‘যে কমিটি হয়েছে তাতে গ্রহণযোগ্য ও কলুষমুক্ত কর্মকর্তারাও আছেন। যাদের একজনের সহযোগিতায় ঘরোয়া আসরগুলোর বড় অঙ্কের স্পন্সরশিপ পাচ্ছে বাফুফে। তিনিই জাগিয়ে রেখেছেন ঘরোয়া ফুটবলকে। তবু ফুটবলে নিবেদিত যেসব কর্মকর্তা আছেন তারা কি পারবেন সোহাগ যে কাণ্ডে ফেঁসে গেছেন সেখানে কারও স্বাক্ষর থাকলে তাঁকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করতে। পারবেন কি সেই লোককে চিহ্নিত করতে যার প্রশ্রয়ে সোহাগ ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছিলেন। বাফুফে তো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনেই। তাই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বান জানাব এ কমিটি বিলুপ্ত করে এমন লোকদের দিয়ে তদন্ত করা হোক যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে। মনে রাখতে হবে এর সঙ্গে দেশের ইমেজ জড়িত।’

সর্বশেষ খবর