আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে পরিবর্তন আনার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের মাধ্যমে এসব কর্মসূচি চলছে। মূলত বিএনপিপন্থি ক্রীড়া সংগঠকদের এখানে দেখা যাচ্ছে। তবে আওয়ামী সরকার থেকে সুবিধা নেওয়া কর্মকর্তাদেরও দেখা মিলছে। সুর বদল করে তারা বলছেন, ‘এতদিন আমাদের মুখ বন্ধ রাখা হয়েছিল। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর এখন সত্য বলার সুযোগ এসেছে। কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।’ গতকাল ক্রীড়া পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি ঘুরে ফিরে একটাই নির্বাচিত হলেও ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো ভেঙে দিতে হবে। কেননা অনিয়ম ও লুটপাটের কারণে দেশের ক্রীড়াঙ্গন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে ফেডারেশন বিলুপ্ত ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। অন্তর্বর্তী কিংবা অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে তারা ফেডারেশন পরিচালনার দাবি তুলেছেন। পরবর্তীতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি হোক। তবে দুর্নীতিবাজদের ক্রীড়াঙ্গনে আর কোনো স্থান নেই। মানববন্ধনে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয়করণ করার কারণে প্রতিটি জায়গায় শুধু হতাশা। সব খেলাতেই মানের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এদের আর কোনোভাবে ফেডারেশনে রাখা নিরাপদ নয়। সরকারের কাছে বলব, এদের বিদায় করেন। তা না হলে ক্রীড়াঙ্গন শেষ হয়ে যাবে।’ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ও ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, ফুটবলে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিএনপি ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক।