দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় সব দেশের ভাষা স্প্যানিশ। ব্যতিক্রম শুধু ব্রাজিল। ভৌগলিক আয়তনে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশটির ভাষা পর্তুগিজ। ব্রাজিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্তুগিজভাষী দেশ। দেশটির ভাষা পর্তুগিজ হওয়ার কারণ একটাই, প্রায় ৩০০ বছর দেশটি ছিল পর্তুগিজ কলোনি। ১৮০৮ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে ঠিকই। তারপরও দেশটির মূল ভাষা পর্তুগিজ। এটা জেনেই বিশ্বসেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আসন্ন বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ানদের সমর্থন চাইছেন। 'সিআর সেভেন' বিশ্বাস করেন, ভাষাগত কারণেই তার দেশকে অকুণ্ঠ সমর্থন যোগাবে ব্রাজিলিয়ানরা। সেমিফাইনালের আগে আসরে দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইউরোপিয়ান কাপে পর্তুগালের কোচ ছিলেন বর্তমান ফিলিপ লুই স্কোলারি। স্কোলারি বর্তমানে ব্রাজিল দলের কোচ। তার কোচিংয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল খেলেছিলেন রোনালদোরা। সে সময় পর্তুগালের আরেক তারকা ফুটবলার ডেকো জন্মগতভাবে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান। সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক বিরাজমান। সেজন্যই বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ানদের সমর্থন চাইছেন ফিফা বিশ্বসেরা ফুটবলার রোনালদো, 'ব্রাজিল ও পর্তুগালের ভাষা ও সংস্কৃতি এক। দুটিই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। তাই আশা করছি বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ানদের অনেক সমর্থন পাব।' এবারের বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেমিফাইনালে। অবশ্য চার বছর আগে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। গ্রুপ পর্বের ওই লড়াইটি ড্র হয়েছিল। ড্র হলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল দুই দেশ। এবারের আসরে রোনালদোর গ্রুপ অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে লড়াই করতে হবে জার্মানি, ঘানা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে।