ফুটবলে সুপার কাপের দেখা মিলবে কবে? ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্ট মাঠে নামার আগে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতি বছরই সুপার কাপের আয়োজন হবে। প্রথম দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন দলকে ১ কোটি টাকার প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছিল। কথা ছিল পরবর্তীতে প্রাইজমানি বৃদ্ধি করা হবে। শুধু তাই নয়, সুপার কাপের আকর্ষণ বাড়াতে ভারতীয় ফুটবলে জনপ্রিয় দুই দল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। না, এ ঘোষণা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। নিয়মিতভাবে টুর্নামেন্ট মাঠে নামছে না। ২০০৯ সাল থেকে সুপার কাপের মাত্র তিনটি আসর মাঠে নেমেছে। বাড়ানোর বদলে প্রাইজমানি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১২-১৩ মৌসুমে শেষবারের মতো এ আসর মাঠে নেমেছিল। বাফুফের শিডিউলে আছে এবার সুপার কাপ মাঠে নামবে। কিন্তু সংশয় রয়েছে এবারও টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে কিনা। কেননা সামনে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের ব্যস্ত সময় যাবে। আগামী মাস থেকেই বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্ব শুরু হবে। চলবে সামনের মার্চ পর্যন্ত। ডিসেম্বরে আবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এর মধ্যে আবার মালদ্বীপেও একটি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। পেশাদার লিগের প্রথম পর্ব শেষের পরই বাছাইপর্বে কিরগিস্তান ও তাজিকিস্তানের সঙ্গে খেলার লক্ষ্যে অনুশীলন শুরু হয়ে যাবে। তার আগে আফগানিস্তান ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুটো প্রীতিম্যাচ খেলবে। পেশাদার লিগের দ্বিতীয় পর্ব শেষ হতে কম করে হলেও দেড় মাসের বেশি সময় লাগবে। তারপর আবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। এ অবস্থায় সুপার কাপ মাঠে নামানো কি সম্ভব হবে? এ ব্যাপারে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী গতকাল দৃঢ়ভাবেই বলেছেন, এবার সুপার কাপের জমজমাট আসর বসবে এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। ২০ জুন থেকে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। লিগ শেষের পরই স্বাধীনতা কাপ করব। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় দলের ব্যস্ততা ও শেখ জামাল আবার বাইরে খেলতে যাবে। এ জন্য সুপার কাপের শিডিউল ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না। বাস্তব চিত্রটা সালাম নিজেই তুলে ধরেছেন। তাই এত ব্যস্ততার মধ্যে সুপার কাপ আয়োজন করা সম্ভব হবে কি? হতে পারে জানুয়ারিতে। তাও আবার সমস্যা রয়েছে। কেননা বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন এখন থেকে প্রতি জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ সুপার কাপকে ঘিরে জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। বাফুফে এখন কী করবে সেটাই দেখার বিষয়।