জয়-পরাজয় নিয়েই ফুটবল। কিন্তু কিছু হারে শুধু বেদনা নয় ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশ বড় ধরনের সাফল্য পায়নি। কিন্তু ৯০ দশক পর্যন্ত দেশের ফুটবলে জমজমাট অবস্থা ছিল। লিগ বা আন্তর্জাতিক ম্যাচে গ্যালারি ভরে যেত। এখন আর সেই অবস্থা নেই। অনেকে আক্ষেপ করে বলেন, ফুটবলারদের মান নেই বলে দর্শকরা মাঠে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সত্যিই কি তাই? মাঝে করুণ দশা হলেও গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ মানসম্পন্ন ফুটবল খেলছে। বিশেষ করে ক্রুইফ কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর টেকনিক ও গতি দুটোই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারপরও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না। গত এশিয়ান গেমসে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফাইনালসহ চারটি ম্যাচে লক্ষ্য করা গেছে প্রতিপক্ষের ফ্রি কিকেই গোল খেয়ে মাঠ ছাড়ছে। তাও আবার এগিয়ে থেকে শেষ মুহূর্তে জয় হাত ছাড়া হচ্ছে।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ঘরের মাঠে কিরগিজস্তানের কাছে ১-৩ গোলে হার মানে। দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভরাডুবি ঘটাতে ক্রীড়াঙ্গনে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই বাছাই পর্বে লড়াই তাজিকিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল। র্যাঙ্কিং এবং শক্তির বিচারে তাজিককে ফেবারিট ধরা হয়েছিল। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন মামুনুলরা। এতটা গতিময় খেলা খেলেছিল যে তাজিকরা বাধ্য হচ্ছিল ফাউলের আশ্রয় নিতে। প্রথমার্ধে না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে এমিলির গোলে এগিয়ে যায়। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। অন্যদিকে সমতা ফেরাতে তাজিকরা মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালিয়েছে। কিন্তু ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক রাসেলের দৃঢ়তার কারণে বাংলাদেশের জালে বল জড়ায়নি। অথচ শেষ মুহূর্তে গোল খেল ফ্রি কিকেই। নিশ্চিত জয় হাত ছাড়া হয়ে গেল ফ্রি কিকে। বার বার কেন এ পরিণতি। ফ্রি কিক যেন বাংলাদেশের মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে জয় হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে কেন? জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ ছিলেন মেইন ডিফেন্ডার। প্রসঙ্গটি নিয়ে তার সঙ্গে আলাপ করা হয়। তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ নেই ফুটবলে আমাদের মানের উন্নয়ন ঘটেছে। তারপরও ভালো খেলেও জয় পাচ্ছে না। তাজিকিস্তানের ফ্রি কিক প্রসঙ্গে বলেন, ফুটবলে এগিয়ে থাকার অবস্থায় লক্ষ্য রাখতে হবে শেষ মুহূর্তে ডেঞ্জারেস জায়গায় যেন ফাউল করা না হয়। খেলার তখন ২ বা ৩ মিনিট বাকি ছিল, এ অবস্থায় বাংলাদেশ কেন ফাউলের আশ্রয় নিল তা বুঝে উঠতে পারেনি। কারণ বল এমন পজিশনে ছিল যেখানে গোল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। আর প্রতিপক্ষ যখন ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক মারে, তখন বুঝে শুনে ব্যারিকেড দিতে হয়। আর কোনো অবস্থায় গোল লাইনে গোলরক্ষককে একা রাখা যাবে না। দু’জন প্লেয়ারকে অন্তত পোস্টে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। গোলরক্ষক মিস করলে তারা যেমন বল ঠেকাতে পারেন। বাংলাদেশের এই ভুল আমার চোখে পড়েছে। তা ছাড়া শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়াটা যেন বাংলাদেশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ভালো খেলেও যদি শেষ মুহূর্তে জয় হাত ছাড়া হয়ে যায় তাহলে এর চেয়ে বড় ট্রাজেডি আর কি হতে পারে। ফুটবলে মানের পরিবর্তন এসেছে। আমার মনে হয় যে ভুলগুলো হচ্ছে তা ঠিক করতে পারলে হতাশা কেটে যাবে।
শিরোনাম
- পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির
- দীর্ঘ বিরতির পর বিটিভিতে ফিরলো ‘নতুন কুঁড়ি’
- কলাপাড়ায় চিরকুট লিখে দর্জির আত্মহত্যার অভিযোগ
- সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
- পাকিস্তানে ডনের সাংবাদিকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
- অবৈধ অনুপ্রবেশ: দীঘিনালায় ভারতীয় যুবক আটক
- ‘আওয়ামী লীগের ভয়ংকর নির্যাতনের কাছে আদর্শচ্যুত হননি খালেদা জিয়া’
- বাংলাদেশকে ফোকলা করেছে এস আলম গ্রুপ: জোনায়েদ সাকি
- নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন জেসি
- সেই রিকশাচালককে কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার, ওসির ব্যাখ্যা তলব
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে কমছে পদ্মার পানি, দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবারের সংকট
- একনেক সভায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- বিতর্ক যেন জাতীয় স্বার্থে আঘাত না হানে : আলাল
- অক্টোবরে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু
- হাঁস খামার করে স্বাবলম্বী আখাউড়ার যুবক
- সরাইলে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত
- দুই গুণী শিল্পীকে নিয়ে ‘বেলা ও বিকেল’
- নড়াইলে নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
- ভাদ্র ফিরেছে স্বরুপে, খরতাপে রাস্তা ফাঁকা
- ভরাডুবির ভয়ে নির্বাচন চাচ্ছে না কিছু খুচরা পার্টি : দুদু
ফ্রি কিক যেন মরণ ফাঁদ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর