বাংলাদেশের কাছে ৭৯ রানে হারে হতাশায় রাতে না খেয়ে থাকেন টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, হারের ধকল কাটিয়ে উঠার আগেই পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে ধাক্কা দেওয়ার ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমান গুণতে হয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। যদি এখানেই শান্ত থাকতো ধোনিসহ টিম ইন্ডিয়া, তাহলে অযথা ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা গুনতে হতো না অভিষিক্ত পেসার মুস্তাফিজকে। কারণ ভারতীয় জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, ধোনিসহ টিম ইন্ডিয়ার চাপেই নাকি বাংলাদেশের তরুণ পেসার মুস্তাফিজকে জরিমানা করেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট!
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন রতেই ম্যাচ রেফারি এবং আম্পায়াররা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ নিয়ে বসে পড়েন। বারবার চালিয়ে দেখা হয় ভারতীয় ইনিংসের পঁচিশ নম্বর ওভার। যেখানে মুস্তাফিজুরকে সজোরে ধাক্কা মেরে রান নিতে যাচ্ছেন ধোনি। ভারতীয় শিবিরে আবার বৈঠকের পর বৈঠক চলতে থাকে। সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে পড়েন চার জন। অধিনায়ক ধোনি। টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রী, সহ অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং টিমের প্রশাসনিক ম্যানেজার বিশ্বরূপ দে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রেকফাস্ট টেবলে সবচেয়ে উত্তেজিত চরিত্রের নাম ছিল বিরাট কোহলি। যিনি নাকি বলতে থাকেন, দোষ যে করল সে শাস্তি পাচ্ছে না। যে করেনি, সে পাচ্ছে। ম্যাচ রেফারির ঘরে শুনানির জন্য ঢোকার আগে পরবর্তী প্ল্যান অব অ্যাকশনও ঠিক করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। পাইক্রফটের সামনে ঘটনার অ্যাকশন রিপ্লে ধোনি করে দেখাবেন। নিজের। বোলারের। রায়নার। শাস্ত্রী তুলবেন বোলারের পজিশনের ব্যাপারটা। আর টিম ম্যানেজার আইনি প্যাঁচে ফেলবেন পাইক্রফটকে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নানাবিধ যুক্তিতর্কের পর ম্যাচ রেফারি সুর নরম করে বলেন, ধোনি এটা ইচ্ছে করে করেননি বোঝা গেল। কিন্তু আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টেই আছে যে, ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ধাক্কাধাক্কি হলে জরিমানা অবধারিত। ধোনির তাই ম্যাচ ফি-র পঁচাত্তর শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। শাস্ত্রীরা তখন বলেন যে, ধোনি দোষী হলে মুস্তাফিজুরও সম্পূর্ণ নির্দোষ নন। ভারত ঠিক করে ফেলে বাংলাদেশকে যদি না ডাকা হয়, তা হলে আইসিসির কাছে রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হবে। এ সময় যুদ্ধে মহানাটকীয় মোড় এনে ম্যাচ রেফারি এ বার ডেকে পাঠান মুস্তাফিজুরকে। যার আম্পায়ার্স রিপোর্টে নামই ছিল না! কিন্তু ভারতের শুনানির পরে মুস্তাফিজুরকে ডেকে তারও পঞ্চাশ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেয়া হয়।
তবে বাংলাদেশ যে সেটা খুব ভালভাবে নেয়নি বলাই বাহুল্য। শুনানি শেষে হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলাদেশ বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলে দেন, এটা মাঠের ব্যাপার। তবে যা হল সেটা আমাদের পছন্দ নয়। সূত্র: আনন্দবাজার।
বিডি-প্রতিদিন/২০ জুন, ২০১৫/মাহবুব