চিয়ারলিডাররা শুধু মাঠের দর্শকদের বিনোদনই দেন না, তাদেরও আছে মন, আছে পছন্দ-অপছন্দ। ক্রিকেটকে ভালবেসেই তারা বেঁছে নেন এ কঠিন পেশা। কাঁধে তুলে নেন একটি দলের ভক্ত-সমর্থকদের আনন্দ দেওয়ার দায়িত্ব। মনপ্রাণ দিয়ে ভালবাসেন সেই দলকেও। গতকাল বুধবার হায়দরাবাদের কাছে সাকিববিহীন কলকাতা যখন হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নিল, তখন ক্রিকেটার ও ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে কেঁদে বুক ভাসালেন সাকিবদের চিয়ারলিডাররাও।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২২ রানের হার ফাইনালের দিকে আরো এক দফা এগিয়ে দিলো মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে। কিন্ত কেকেআরের বিদায়টা ভালো হয়নি। ম্যাচ শেষে কান্নাভেজা চোখ মুছেছেন ক্রিকেটাররা। ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে না নেওয়ায় গম্ভিরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ ভারতীয় গণমাধ্যম।
গতকাল রাতের ম্যাচে তিন বল বাকি থাকতেই যখন কেকেআর-এর পরাজয় একপ্রকার নিশ্চিত তখন ক্যামেরার ফোকাস গেল শাহরুখ খানের দলের চিয়ারলিডারদের দিকে। সেখানেই অনেকটা সময় আটকে ছিল ক্যামেরার লেন্স। এ যেন চোখে বান ডেকেছে। মুখ চেপে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছেন চিয়ারলিডাররা।
ওপাশে যখন নেচে গেয়ে মাঠ গরম করছেন 'অরেঞ্জ আর্মি' চিয়ারলিডারা, এপাশে তখন কেঁদে ভাসাচ্ছেন নীল পোশাকের কেকেআর রমণীরা। ঘটনাটি নাইটরাইডার্স দলের কর্ণধার বলিউড তারকা শাহরুখ খানের চোখকে এড়িয়ে যায়নি। তাই চিয়ারলিডারদের এ ভালবাসা ও আবেগকে সম্মান জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে। লিখেছেন, ''সবসময় চেয়েছি কেকেআরের ছেলেরাই সেরা হোক। কিন্তু ওই মেয়েগুলোকে নিয়ে কখনই কিছু বলা হয়নি (চিয়ারলিডার) যারা মাঠে এতো আনন্দ নিয়ে আসে। মেয়েরা, তোমাদেরকেও ভালোবাসি এবং ধন্যবাদ।''
প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে এই হায়দ্রাবাদকে হারিয়েই এলিমিনেটর রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছিলেন সাকিবরা। কিন্তু দিল্লীর ফিরোজ শাহ কোটলায় এলিমিনেটরেই হার মানতে হলো ওয়ার্নার-মুস্তাফিজদের বিপক্ষে। এদিন অবশ্য বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে একাদশের বাইরে রাখা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ এস আহমেদ