ইউরো ২০১৬ অাসরে ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার ফুটবল ভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ফরাসি শহর মারসেইয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো গতকাল রাতেও এ সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। গতরাতে ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার ম্যাচের আগে-পরেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দাঙ্গা পুলিশ উচ্ছৃঙ্খল ভক্তদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে তিন পুলিশ কর্মকতাসহ উভয় দেশের ৩১ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে মারসেই পুুলিশের একজন মুখপাত্র জানান। দেশ দুটির ফুটবল ভ্ক্তদের মধ্যে সংঘর্ষে গত দু'দিনে কমপক্ষে ১৭ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলেও গতকাল পুলিশ জানায়। খবর সিএনএন'র
ইউরোর চলমান ১৫তম আসরে মারসেইয়ে গতরাতে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ইংল্যান্ড প্রথমে গোল করে এগিয়ে ছিল। পরে ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে অর্থাৎ অতিরিক্ত তিন মিনিট সময়ের শেষ মিনিটে রাশিয়া কর্নার থেকে হেডে গোল করে ম্যাচে সমতায় ফিরে। এর প্রেক্ষিতে মাঠের ভেতরেও উভয় দেশের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় দেশের সমর্থকরা একে অপরের দিকে তেড়ে গেছেন। এমনকি নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদেরকে লক্ষ্য করেও বোতল এবং অন্যান্য বস্তু ছোড়া হয়েছে।
মারসেই পুলিশের মুখপাত্র মাথিও দুখসেল জানান, সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩১ জন আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা মারাত্মক। আহতদের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্য রয়েছেন যারা কিছুটা আঘাত পেয়েছেন। সংঘর্ষে গত দু'দিনে ১৭ জনকে গ্রেফতারের কথাও জানান তিনি।
রাশিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচকে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করে ম্যাচের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করেছিল। পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, 'ম্যাচের নিরাপত্তায় প্রায় এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। মাঠের চারপাশের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।'
এদিকে, ইউরোপীয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা রাশিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের শৃঙ্খলা ঘিরে আজ একটি ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে। এতে রাশিয়া বা ইংল্যান্ড কিংবা উভয় দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসতে পারে। এক বিবৃতিতে উয়েফা জানায়, যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত তাদের ফুটবলে কোনো স্থান নেই।'
বিডি-প্রতিদিন/১২ জুন ২০১৬/শরীফ