ভারতীয় ক্রিকেট দল যেখানে খেলে, সেখানেই তাকে দেখা যায়। ভারতের পতাকার রংয়ে নিজেকে মুড়িয়ে জাতীয় পতাকা হাতে গ্যালারিতে দেখা যায় এই ক্রিকেটভক্তকে। ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকে সুধীর নামেই চেনেন।
তার পিঠে শচীন টেন্ডুলকরের নাম লেখা। মুম্বাইকরের সঙ্গে তার আত্মিক যোগ। অনেকেই তাকে শচীনের ‘সুপারফ্যান’ বলে থাকেন। শচীন খেলা থেকে অবসরে গেছেন। কিন্তু তার ভারত-প্রেম এতটুকুও কমেনি। গ্যালারিতে পতাকা হাতে তিনি দেশের জন্য গলা ফাটান। ভারত জিতলে হাসেন। হারলে দুঃখ পান। চোখ দিয়ে জল নেমে আসে তার।
এমন ক্রিকেটভক্ত যে কোনও দেশেরই সম্পদ! সুধীরের জীবনের খবর কি কেউ রাখেন? ভারতীয় ক্রিকেটদলের জন্য তিনি নিবেদিত প্রাণ। আর ভারতের জন্য দেশে বিদেশে ছুটতে ছুটতে তার ব্যক্তিগত জীবন বলে এখন আর কিছুই নেই। ৩৪ বছর বয়স হয়েছে। অথচ বিয়ে হয়নি সুধীরের। তিন-তিনটি চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই চাকরি ছেড়ে দিতে হয় তাকে। বাড়ির আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও কথাবার্তা বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো দিন কেটে গেছে। বাবার সঙ্গেও কথা হয়নি ভারতের এই ক্রিকেটভক্তের। রাখি পূর্ণিমাতে বোন ফোন করেন ভাই সুধীরকে। কিন্তু তার ফোন বেজে যায়। কথা হয় না বোনের সঙ্গে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই ভক্ত অবলীলায় বলে ফেলতে পারেন, পরিবারের জন্য আমার হাতে সময় নেই।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন