দীর্ঘ বিরতির পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে আবারও বড় ফরম্যাটে ফিরছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ১৪ মাসের এই বিরতিটা ইংল্যান্ডের জন্য সহায়ক হবে মনে করছেন সফরকারী দলের অধিনায়ক অ্যালিষ্টার কুক।
চট্টগ্রাম টেস্টের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে কুক বলেন, ‘গত জুলাইয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের এই দীর্ঘবিরতি আমাদের অনেকখানি এগিয়ে রাখবে।’
২০১৫ সালের ৩০ জুলাই সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর আর কোনো টেস্ট খেলার সৌভাগ্য হয়নি টাইগারদের। তবে ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪টি টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ড। তাই এমন পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে- টেস্ট ক্রিকেটে কোন দল এগিয়ে বা কোন দলের অভিজ্ঞতাটা সাম্প্রতিক সময়ে বেশি। উত্তরটা সহজ- ইংল্যান্ডের।
এমন পরিসংখ্যানের দিকে চোখ পড়েছে ইংল্যান্ড অধিনায়ক কুকেরও। তাইতো বাংলাদেশের দীর্ঘ বিরতিতে নিজেদেরকেই এগিয়ে রাখছেন তিনি।
কুক বলেন, ‘গত জুলাইয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এসময় আমরা অনেকগুলো টেস্ট খেলেছি। দেশে ও দেশের বাইরে বেশক’টি ম্যাচ খেলি আমরা। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। তাই টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশের দীর্ঘবিরতি আমাদের অনেকখানি এগিয়ে রাখবে।’
পরিসংখ্যানে চোখ দিয়ে নিজেদের এগিয়ে রাখলেও টাইগারদের ব্যাপারে বেশ সর্তক জানিয়ে কুক বলেন, ‘দীর্ঘদিন টেস্টে খেলেনি বাংলাদেশ। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে ওয়ানডেতে অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে তারা। দল হিসেবে গত তিন-চার বছরে অনেক উন্নতিও করেছে বাংলাদেশ। তাই টেস্টে আক্রমণাত্মক থাকবে তারা, যেটা আমরা ওয়ানডে সিরিজেও দেখেছি। আমার মনে হয় খুব ভালো একটা পরীক্ষাই দিতে হবে আমাদের।’
এছাড়া চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট ও কন্ডিশন নিয়ে কথাও বলেন কুক। তার মতে, ‘উপমহাদেশের কন্ডিশন আমাদের জন্য মোটেও আদর্শ নয়। তারপরও এখানে মানিয়ে নিয়েই খেলতে হবে। এখানকার উইকেট স্পিন সহায়ক। প্রথম দু’দিন ব্যাটসম্যানদের পক্ষে থাকলেও, পরের দিকে উইকেট থেকে স্পিনাররা অনেক সুবিধা পায়। তাই সর্তকভাবেই আমাদের খেলতে হবে। কারন বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন ভালো স্পিনার রয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/১৯ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম