জয়ের জন্য রান প্রয়োজন ২৭৩। এর মধ্যে দুই ওপেনার অ্যালিস্টার কুক আর বেন ডাকেট মিলেই তুলে ফেললেন ১০০ রান। অথচ পুরো টেস্ট সিরিজে এই দু'জনের ব্যাটে রান নেই, সেই দুই ওপেনারই কিনা বাংলাদেশ দলের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালো। ১০০ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় দু'দল। আর ইংল্যান্ড অলআউট ১৬৪ রানে। অথাৎ বাকি ৬৪ রানে মধ্যে ইংলিশদের ১০ উইকেট তুলে নেন মিরাজ-সাকিব। কিন্তু বিরতিতে কী বার্তা দিয়েছিলেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, যে হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়টা পকেটে ভরে নিল বাংলাদেশ।
জয়ের পর এ বিষয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বলেন, "চা বিরতির সময় কোচ রেগে আগুন হয়েছিলেন। আমরা ভালো বল করত পারছিলাম না। এরপর বোলাররা ভালো জায়গায় বল করলো। দারুণ করলো। বোলাররা অসাধারণ এক কাজ করলো।"
যদিও ধমক খেলে যে কোনো দল আমূল বদলে যাবে এমন কিন্তু নয়। জিতা ম্যাচ হারতে থাকলে তো সব কোচই ধমক দিবেন সতীর্থদের। তবে, এদিন ধমকের পর টাইগাররা তাদের সাফল্য দেখাতে পেরেছেন বলেই কিনা সেটা বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।
চা বিরতি শেষ করে এসেই প্রথম বলে ডাকেটকে বিদায় করে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৯ বছরের এই তরুণের চোখে-মুখে তখন উইকেট তোলার নেশা। সেই নেশায় জ্বলতে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। এরপর বাকি সেশন শেষ হওয়ার আগেই অলআউট ইংল্যান্ড। ১০০ থেকে ১৬৪ রান পর্যন্ত যেতেই সব শেষ। মিরাজের ঝুলিতে তখন জ্বল জ্বল করছে ৬ উইকেট। আর সাকিব আল হাসান এক ওভারে ৩টিসহ মোট ৪ উইকেট তুলে নিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ অক্টোবর, ২০১৬/মাহবুব-১৮