বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আরও ক্ষিপ্র হয়ে উঠছেন। বক্সের ভিতর বল পেলে কয়েক সেকেন্ডেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। তার বল কাটানোর সক্ষমতার প্রশংসা করতে দিয়ে মারাদোনা বলেছিলেন, ‘বল তার পায়ের সঙ্গে আঠার মতো লেগে থাকে।’
ডিফেন্ডাররা ধাক্কা মেড়ে মাটিতে ফেলে রক্তাক্ত করলেও মাথা গরম করেন না। ঠান্ডা মাথায় মাপা সেট পিসে গোল কিংবা শেষ মুহুর্তে বিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়ে জার্সি খুলে সেলিব্রেশনে মাতেন। তিনি ফুটবল দুনিয়ার লিওনেল আন্দ্রেস ‘জাদুকর’ মেসি। ৩০ এ পা রাখলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
১৯৮৭ সালে ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন মেসি। ছোটবেলায় গ্রোথ হরমোনের ডেফিসিয়েন্সি। ডাক্তাররা তাই জানিয়েই দিয়েছিল ছোট্ট মেসির পক্ষে ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। এরপরই মেসির ফুটবল কেরিয়ারের স্বার্থেই আর্জেন্টিনার রোজারিও থেকে বার্সেলোনায় পারি দেয় তার পরিবার। বার্সেলোনা ক্লাব খুদে মেসির চিকিৎসার খরচ নেয়। অনেক ছোট থেকেই লা-মাসিয়া অ্যাকাডেমিতে শুরু হয় তার ফুটবল প্রশিক্ষণ।
১৬ অক্টেবর ২০০৪ সালে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেক। খুদে মেসির বয়স তখন ১৭ বছর ৩ মাস ২২ দিন। অভিষেকের সাত মাস পর ক্লাবের জার্সিতে প্রথম গোল পান এই ওয়ান্ডার কিড। ১ মে ২০০৫ ঘরের মাঠ ন্যূ-ক্যাম্পে আলবাকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রথম গোল। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
দেশের জার্সিতে ১৭ অগাস্ট ২০০৫ -এ অভিষেক। হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে সে ম্যাচে মাত্র ৯০ সেকেন্ড মাঠে ছিলেন ১৮এ তে পা দেওয়া মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন। এরপর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ফিফা অনূর্ধ্ব২০ বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকা রাখেন। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ছয়টি গোল করে সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। নিল সাদা জার্সিতে অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন। আজেন্টিনার শীর্ষ গোলদাতাও হয়েছেন। পাঁচবার ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার ব্যালন ডি’ওর জিতেছেন।