গত এক মাসে অনেক কিছু ঘটে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজে। কখনও ড্রেসিংরুমের বাইরে দু’দলের ক্রিকেটারদের হাতাহাতি, কখনও বিপক্ষ অধিনায়ককে আউট করে ধাক্কা মেরে দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারের নির্বাসন এবং ফের দলে ফিরে আসা, যার শেষটা হল বল বিকৃতি কাণ্ডে তিন অসি ক্রিকেটারের নির্বাসন দিয়ে। বারবার এই সিরিজে কলঙ্কিত হয়েছে ক্রিকেট।
চতুর্থ টেস্টে যাতে সেরকম কিছু না ঘটে, তার সুরটা আগে থেকেই বেঁধে দিলেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। সাধারণত ফুটবল মাঠে যা দেখা যায়, পেইন তা এনে ফেললেন ক্রিকেটের ২২ গজে। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এক নতুন ধরনের অধিনায়কত্বের সূচনা করলেন তিনি।
প্রথম দিনের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে পেইন জানান, ‘আসলে টিভিতে একটা ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়ে এই হ্যান্ডশেকের ব্যাপারটা দেখে আমার ভাল লেগে গেল। ভাবলাম, ক্রিকেটকে তো ভদ্রলোকের খেলা বলা হয়। তাহলে এখানেই বা এটা হবে না কেন? সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলে দেখলাম, সবাই রাজি। ফাফের সঙ্গে কথা বললাম, সেও রাজি হয়ে গেল। আমাকে বলেও ফেলল, ভবিষ্যতে দক্ষিণ আফ্রিকাও এটা চালু করতে পারে।’
পেইন আরও বলেন, ‘প্রত্যেক ম্যাচে তো আর এটা হবে না। কিন্তু একটা টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে এরকম হলে মন্দ হয় না। এই সিরিজে নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। অনেক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেগুলো শেষ করার জন্য এর থেকে ভাল উপায় ছিল না। বাকি দলগুলোও চাইলে এটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।’
স্মিথের পরিবর্তে অন্তর্বর্তী অধিনায়কের দায়িত্ব তার হাতেই তুলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। পেইন জানিয়েছেন, যদি তাকেই ভবিষ্যতে নেতা রাখা হয়, তাহলে অধিনায়কত্বের সংজ্ঞাটাই বদলে দিতে চান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর